ফারাক্কা বাঁধের ১০৯টি গেট খুলে দেয়ায় পদ্মা নদীর পানির স্তর হঠাৎ করেই বেড়ে গেছে। এতে নদীর তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধির পাঠানো খবরে এসব তথ্য জানা গেছে।
রাজশাহী: ফারাক্কা বাঁধের গেট খুলে দেয়ার খবরে সাধারণ মানুষের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। পদ্মাপাড়ের বাসিন্দারা জানান, গতকাল পদ্মার পানি বৃদ্ধির হার বেশি ছিল। তবে রাত ৯টার পর আর বাড়েনি বলে দাবি করেন তারা।
রাজশাহী নগরীর শহর রক্ষাবাঁধ সংলগ্ন বড়কুঠি পয়েন্টে পদ্মা নদীর পানির বিপৎসীমা ১৮ দশমিক ০৫ মিটার নির্ধারিত। সোমবার ভোর ৬টায় এখানে পানির উচ্চতা ছিল ১৬ দশমিক ২৭ মিটার, যা সকাল ৯টায় আরও এক সেন্টিমিটার বেড়ে যায়। বিকেল ৩টায় পানির উচ্চতা ১৬ দশমিক ৩০ মিটার রেকর্ড করা হয়। যা বিপদসীমার বিপৎসীমার ১ দশমিক ৭৫ মিটার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। যা আজ সকাল ৯টা পর্যন্ত একই ছিল।
উত্তরাঞ্চলীয় পানিবিজ্ঞান পরিমাপ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী রেজাউল করিম জানান, সাধারণত ১০ দিনের জন্য নদ-নদীর পানির পূর্বাভাস দেওয়া হয়। সেই হিসেবে আগামী ১০ দিনের মধ্যে পদ্মার পানি বিপদসীমা অতিক্রম করার আশঙ্কা নেই।
তিনি জানান, রোববার দুপুর থেকেই পানি বাড়ছে। আরও ২-৩ দিন পার হলে প্রকৃত অবস্থা বোঝা যাবে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ: জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার পাংখা এলাকা দিয়ে ভারতের গঙ্গা নদী পদ্মা নাম ধারণ করে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডে জানায়, পাংশায় পদ্মার পানির বিপদসীমা ২২ দশমিক ৫ মিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে গত ১২ ঘণ্টায় পানি বৃদ্ধি পেয়েছে ৪ সেন্টিমিটার।