০৭:২৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দুর্গম এলাকায় খাবার-ত্রাণের সংকট

  • অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট : ০৪:৫৩:৩৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৪
  • ২২ দেখেছেন

দেশের পূর্বাঞ্চলে বন্যায় যাতায়াত ব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় ফেনী, নোয়াখালী, কুমিল্লা ও লক্ষীপুরের দুর্গম এলাকায় এখনও ত্রাণ সহায়তা পৌঁছায়নি। খাবার ও পানের পানির সংকটে ভুগছে বানভাসী মানুষ। প্রশাসন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ও শিক্ষার্থীরা ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে বন্যার্তদের কাছে পৌঁছার চেষ্টা করে যাচ্ছে।

বন্যাকবলিত ফেনী ও নোয়াখালীর অনেক এলাকায় মানবিক সংকট দেখা দিয়েছে। সেখানকার অধিকাংশ বাড়িতেই নেই রান্নার ব্যবস্থা। কয়েকদিন ধরে প্রায় না খেয়ে কাটছে পানিবন্দি মানুষের। আশ্রয় নিচ্ছে নিকটবর্তী আশ্রয়কেন্দ্রে। যে কারণে আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতেও দেখা দিয়েছে খাবার সংকট এবং বিশুদ্ধ পানির অভাব।

বন্যার্তদের সাহায্যে প্রশাসনের পাশাপাশি এগিয়ে এসেছে শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। ডাক্তারদের বিভিন্ন সংগঠন মেডিকেল টিম গঠন করে আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে রোগীদের চিকিৎসা দিচ্ছে। দেয়া হচ্ছে বিনামূল্যে ওষুধ ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র।

ভোগান্তিতে কুমিল্লার বন্যাকবলিত মানুষ। প্রচুর ত্রাণ সামগ্রী আসলেও নৌকা ও ট্রলার না থাকায় সহায়তা পৌঁছানো যাচ্ছে না দুর্গম এলাকায়। জেলা প্রশাসনের হিসেব মতে, এ জেলায় ১০ লাখ ৭৮ হাজার মানুষ পানিবন্দী। ৭শ ২৪টি আশ্রয় কেন্দ্রে ৭৮ হাজারেরও বেশি মানুষ আশ্রয় নিয়েছে।

চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলাসহ সেখানে প্রায় ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। সেখানে আশ্রয় কেন্দ্রে ২শ পরিবার আশ্রয় নিয়েছে। সীমান্তবর্তী এলাকা হওয়ায় সেখানে সবার জন্য পর্যাপ্ত ত্রাণ সহায়তা যাচ্ছে না।

মৌলভীবাজারের বন্যা কবলিত মানুষদের মাঝে সরকারি ভাবে ত্রাণ দেয়ার পাশাপাশি, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক সংগঠন ও ব্যক্তি উদ্যেগে ত্রাণ সামগ্রী বন্যার্থদের মাঝে বিতরণ অব্যাহত রয়েছে। মৌলভীবাজারে বন্যাদুর্গত এলাকার মানুষের মাঝে খাদ্যসামগ্রী ও ত্রাণ বিতরণ করছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল, পরিবেশবাদী সংগঠন সেফটি ফাস্টসহ বিভিন্ন সামাজিক রাজনৈতিক সংগঠনগুলো।

কুমিল্লায় বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। গোমতির নদীর ভাঙা বাঁধ দিয়ে এখনো পানি প্রবেশ করছে। এতে বুড়িচং ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার নিম্নাঞ্চলে পানি উঠছে । ত্রাণ যাচ্ছে না দুর্গম এলাকায়। এদিকে, বন্যায় পানিবন্দি হয়েছে পড়েছে জেলার ১০ লাখ ৭৮ হাজার মানুষ। তারা বর্তমানে মানবেতর জীবনযাপন করছে। ৭শ ২৪টি আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে ৭৮ হাজারেরও বেশি মানুষ।

পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, আজ মঙ্গলবার (২৭ শে আগষ্ট) গোমতি নদীর পানি বিপদসীমার ৪৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এদিকে, জেলার লাঙ্গলকোট, লাকসাম, মনোহরগঞ্জ, চৌদ্দগ্রামসহ বেশ কটি উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, বন্যদুর্গতদের জন্য দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে সামগ্রী আসছে। কিন্তু এসব সামগ্রী পরিবহনের জন্য যথেষ্ট সংখ্যক নৌকা ও ট্রলার না থাকায় দুর্গম এলাকায় পৌঁছানো যাচ্ছে না।

জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, ২২৫টি মেডিকেল টিম বন্যা কবলিকদের চিকিৎসা দিচ্ছে। এরই মধ্যে জেলা প্রশাসন থেকে ৩৩ লাখ নগদ টাকা ও ৬০০ মেট্টিকটন খাদ্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

বিশ্বমঞ্চে মাহফুজকে বিপ্লবের ‘মাস্টারমাইন্ড’ হিসেবে পরিচয় করালেন ড. ইউনূস

দুর্গম এলাকায় খাবার-ত্রাণের সংকট

আপডেট : ০৪:৫৩:৩৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৪

দেশের পূর্বাঞ্চলে বন্যায় যাতায়াত ব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় ফেনী, নোয়াখালী, কুমিল্লা ও লক্ষীপুরের দুর্গম এলাকায় এখনও ত্রাণ সহায়তা পৌঁছায়নি। খাবার ও পানের পানির সংকটে ভুগছে বানভাসী মানুষ। প্রশাসন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ও শিক্ষার্থীরা ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে বন্যার্তদের কাছে পৌঁছার চেষ্টা করে যাচ্ছে।

বন্যাকবলিত ফেনী ও নোয়াখালীর অনেক এলাকায় মানবিক সংকট দেখা দিয়েছে। সেখানকার অধিকাংশ বাড়িতেই নেই রান্নার ব্যবস্থা। কয়েকদিন ধরে প্রায় না খেয়ে কাটছে পানিবন্দি মানুষের। আশ্রয় নিচ্ছে নিকটবর্তী আশ্রয়কেন্দ্রে। যে কারণে আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতেও দেখা দিয়েছে খাবার সংকট এবং বিশুদ্ধ পানির অভাব।

বন্যার্তদের সাহায্যে প্রশাসনের পাশাপাশি এগিয়ে এসেছে শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। ডাক্তারদের বিভিন্ন সংগঠন মেডিকেল টিম গঠন করে আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে রোগীদের চিকিৎসা দিচ্ছে। দেয়া হচ্ছে বিনামূল্যে ওষুধ ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র।

ভোগান্তিতে কুমিল্লার বন্যাকবলিত মানুষ। প্রচুর ত্রাণ সামগ্রী আসলেও নৌকা ও ট্রলার না থাকায় সহায়তা পৌঁছানো যাচ্ছে না দুর্গম এলাকায়। জেলা প্রশাসনের হিসেব মতে, এ জেলায় ১০ লাখ ৭৮ হাজার মানুষ পানিবন্দী। ৭শ ২৪টি আশ্রয় কেন্দ্রে ৭৮ হাজারেরও বেশি মানুষ আশ্রয় নিয়েছে।

চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলাসহ সেখানে প্রায় ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। সেখানে আশ্রয় কেন্দ্রে ২শ পরিবার আশ্রয় নিয়েছে। সীমান্তবর্তী এলাকা হওয়ায় সেখানে সবার জন্য পর্যাপ্ত ত্রাণ সহায়তা যাচ্ছে না।

মৌলভীবাজারের বন্যা কবলিত মানুষদের মাঝে সরকারি ভাবে ত্রাণ দেয়ার পাশাপাশি, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক সংগঠন ও ব্যক্তি উদ্যেগে ত্রাণ সামগ্রী বন্যার্থদের মাঝে বিতরণ অব্যাহত রয়েছে। মৌলভীবাজারে বন্যাদুর্গত এলাকার মানুষের মাঝে খাদ্যসামগ্রী ও ত্রাণ বিতরণ করছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল, পরিবেশবাদী সংগঠন সেফটি ফাস্টসহ বিভিন্ন সামাজিক রাজনৈতিক সংগঠনগুলো।

কুমিল্লায় বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। গোমতির নদীর ভাঙা বাঁধ দিয়ে এখনো পানি প্রবেশ করছে। এতে বুড়িচং ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার নিম্নাঞ্চলে পানি উঠছে । ত্রাণ যাচ্ছে না দুর্গম এলাকায়। এদিকে, বন্যায় পানিবন্দি হয়েছে পড়েছে জেলার ১০ লাখ ৭৮ হাজার মানুষ। তারা বর্তমানে মানবেতর জীবনযাপন করছে। ৭শ ২৪টি আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে ৭৮ হাজারেরও বেশি মানুষ।

পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, আজ মঙ্গলবার (২৭ শে আগষ্ট) গোমতি নদীর পানি বিপদসীমার ৪৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এদিকে, জেলার লাঙ্গলকোট, লাকসাম, মনোহরগঞ্জ, চৌদ্দগ্রামসহ বেশ কটি উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, বন্যদুর্গতদের জন্য দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে সামগ্রী আসছে। কিন্তু এসব সামগ্রী পরিবহনের জন্য যথেষ্ট সংখ্যক নৌকা ও ট্রলার না থাকায় দুর্গম এলাকায় পৌঁছানো যাচ্ছে না।

জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, ২২৫টি মেডিকেল টিম বন্যা কবলিকদের চিকিৎসা দিচ্ছে। এরই মধ্যে জেলা প্রশাসন থেকে ৩৩ লাখ নগদ টাকা ও ৬০০ মেট্টিকটন খাদ্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।