০৫:১৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দেশের সব নদীর পানি বিপদসীমার নিচে

  • অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট : ০১:২২:৪৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৪
  • ২২ দেখেছেন

বাংলাদেশের সব নদীর পানি এখন বিপদসীমার নিচে নেমে এসেছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী সরদার উদয় রায়হান। বুধবার (২৮ আগস্ট) সকালে বিবিসি বাংলায় তিনি এ কথা জানান।

তিনি বলেন, মঙ্গলবার শুধুমাত্র গোমতী নদীর কুমিল্লা পয়েন্টে পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিলো। কিন্তু এখন সেটিও নেমে এসেছে। উজানে গত ২৪ ঘণ্টায় ভারী বৃষ্টি হয়নি। আর আগামী ২৪ ঘণ্টায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাসও নেই। তাই আপাতত পানি বাড়ার সম্ভাবনা নেই।

বর্তমানে গঙ্গা ও পদ্মা নদীর পানি স্থিতিশীল অবস্থায় আছে। আর বাংলাদেশের যমুনা ও কুশিয়ারা নদীর পানি হ্রাস অব্যাহত আছে। এছাড়া, বাংলাদেশের বন্যা কবলিত এলাকাগুলো থেকেও পানি নেমে যাচ্ছে।

সরদার উদয় রায়হান বলেন, আগামী দুই-তিন দিনের মধ্যে বন্যা পরিস্থিতির আরও উন্নতি হবে। চাঁপাইনবাবগঞ্জের পাংখা পয়েন্টে মঙ্গলবার পানির উচ্চতা ছিল ২০ দশমিক ৫৫ সেন্টিমিটার, এখনো তাই আছে। সাধারণত এই পয়েন্টের পানি যদি ২২ দশমিক ০৫ সেন্টিমিটার অতিক্রম করে তখন সেটিকে বিপজ্জনক বিবেচনা করা হয়।

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) দুপুরে সচিবালয়ে চলমান বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ উপদেষ্টা ফারুক ই আজম জানিয়েছেন, দেশে চলমান বন্যায় ১১ জেলায় মারা গেছেন ২৭ জন। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ৫৬ লাখ ১৯ হাজার ৩৭৫ জন মানুষ।

বন্যা আক্রান্ত জেলার সংখ্যা ১১টি জানিয়ে দুর্যোগ উপদেষ্টা বলেন, বন্যায় প্লাবিত হয়েছে ৭৪ উপজেলা ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৫৪১টি ইউনিয়ন ও পৌরসভা। এছাড়া পানিবন্দী হয়েছে ১২ লাখ ৭ হাজার ৪২৯টি পরিবার।

উপদেষ্টা আরও বলেন, চলমান বন্যায় মৃত ২৭ জনের মধ্যে খাগড়াছড়িতে ১০ জন, চট্টগ্রামে ৫ জন, নোয়াখালীতে ৫ জন, কক্সবাজারে ৩ জন, কুমিল্লায় ১ জন, ফেনীতে ১ জন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১ জন এবং লক্ষ্মীপুরে ১ জন রয়েছে।

বিশ্বমঞ্চে মাহফুজকে বিপ্লবের ‘মাস্টারমাইন্ড’ হিসেবে পরিচয় করালেন ড. ইউনূস

দেশের সব নদীর পানি বিপদসীমার নিচে

আপডেট : ০১:২২:৪৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৪

বাংলাদেশের সব নদীর পানি এখন বিপদসীমার নিচে নেমে এসেছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী সরদার উদয় রায়হান। বুধবার (২৮ আগস্ট) সকালে বিবিসি বাংলায় তিনি এ কথা জানান।

তিনি বলেন, মঙ্গলবার শুধুমাত্র গোমতী নদীর কুমিল্লা পয়েন্টে পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিলো। কিন্তু এখন সেটিও নেমে এসেছে। উজানে গত ২৪ ঘণ্টায় ভারী বৃষ্টি হয়নি। আর আগামী ২৪ ঘণ্টায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাসও নেই। তাই আপাতত পানি বাড়ার সম্ভাবনা নেই।

বর্তমানে গঙ্গা ও পদ্মা নদীর পানি স্থিতিশীল অবস্থায় আছে। আর বাংলাদেশের যমুনা ও কুশিয়ারা নদীর পানি হ্রাস অব্যাহত আছে। এছাড়া, বাংলাদেশের বন্যা কবলিত এলাকাগুলো থেকেও পানি নেমে যাচ্ছে।

সরদার উদয় রায়হান বলেন, আগামী দুই-তিন দিনের মধ্যে বন্যা পরিস্থিতির আরও উন্নতি হবে। চাঁপাইনবাবগঞ্জের পাংখা পয়েন্টে মঙ্গলবার পানির উচ্চতা ছিল ২০ দশমিক ৫৫ সেন্টিমিটার, এখনো তাই আছে। সাধারণত এই পয়েন্টের পানি যদি ২২ দশমিক ০৫ সেন্টিমিটার অতিক্রম করে তখন সেটিকে বিপজ্জনক বিবেচনা করা হয়।

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) দুপুরে সচিবালয়ে চলমান বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ উপদেষ্টা ফারুক ই আজম জানিয়েছেন, দেশে চলমান বন্যায় ১১ জেলায় মারা গেছেন ২৭ জন। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ৫৬ লাখ ১৯ হাজার ৩৭৫ জন মানুষ।

বন্যা আক্রান্ত জেলার সংখ্যা ১১টি জানিয়ে দুর্যোগ উপদেষ্টা বলেন, বন্যায় প্লাবিত হয়েছে ৭৪ উপজেলা ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৫৪১টি ইউনিয়ন ও পৌরসভা। এছাড়া পানিবন্দী হয়েছে ১২ লাখ ৭ হাজার ৪২৯টি পরিবার।

উপদেষ্টা আরও বলেন, চলমান বন্যায় মৃত ২৭ জনের মধ্যে খাগড়াছড়িতে ১০ জন, চট্টগ্রামে ৫ জন, নোয়াখালীতে ৫ জন, কক্সবাজারে ৩ জন, কুমিল্লায় ১ জন, ফেনীতে ১ জন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১ জন এবং লক্ষ্মীপুরে ১ জন রয়েছে।