আন্তর্জাতিক গুম বিরোধী কনভেনশনে সই করলো বাংলাদেশ
- আপডেট সময় : ০৩:২১:০৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ অগাস্ট ২০২৪
- / ৩৬৫ বার পড়া হয়েছে
বিশ্বব্যাপী মানুষের গুম হওয়ার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক গুম বিরোধী কনভেনশনে সই করেছে বাংলাদেশ। আজ (বৃহস্পতিবার, ২৯ আগস্ট) সকালে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় উপদেষ্টা পরিষদের সাপ্তাহিক সভায় এ কনভেনশনে সই করেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহম্মদ ইউনূস।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়। উপদেষ্টাদের করতালির মধ্য দিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। এসময় তিনি বলেন, এটি একটি ঐতিহাসিক ঘটনা।
তিনি জানান, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ১৫ বছরের কর্তৃত্ববাদী শাসনামলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গুম হওয়া ব্যক্তিদের বিচার নিশ্চিতে চলতি সপ্তাহে একটি কমিশন গঠন করেছে সরকার।
বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে গুমের ঘটনা তদন্তে সরকার ইতোমধ্যে হাইকোর্টের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নেতৃত্বে ইতোমধ্যে একটি কমিশন গঠন করেছে।
অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের ওই কমিটি গঠন করে ২৭ আগস্ট মঙ্গলবার প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
তদন্ত কমিশন আইন, ১৯৫৬ সালের ক্ষমতাবলে এই কমিটি গঠনের কথা উল্লেখ করে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘আইন-শৃঙ্খলা প্রয়োগকারী সংস্থা তথা বাংলাদেশ পুলিশ, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব), বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ, অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি), বিশেষ শাখা, গোয়েন্দা শাখা, আনসার ব্যাটালিয়ন, জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই), প্রতিরক্ষা বাহিনী, প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তর (ডিজিএফআই), কোস্ট গার্ডসহ দেশের আইন প্রয়োগ ও বলবৎকারী কোনো সংস্থার কোনো সদস্য কর্তৃক জোরপূর্বক গুম হওয়া ব্যক্তিদের সন্ধানের’ জন্য এ কমিশন।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে গুমবিরোধী সনদটি ২০০৬ সালের ডিসেম্বরে গৃহীত হলে ৩২টি দেশ এটি অনুস্বাক্ষর করে। পরে ২০১০ খ্রিষ্টাব্দে তা বাস্তবায়ন শুরু হয়। সামগ্রিকভাবে এই সনদের লক্ষ্য গুম বন্ধের পাশাপাশি এই অপরাধের জন্য দায়মুক্তি বন্ধ করা, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা ও ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের সহায়তা দেয়া। এখন পর্যন্ত বিশ্বের ৭৫টি দেশ এই সনদে যুক্ত হয়েছে।