ঢাকা ১২:২১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

গণহত্যায় উসকানিদাতা হিসেবে যে ৩২ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৪:০৭:০৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ অগাস্ট ২০২৪
  • / ৩৫৯ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যত্থানে এক শিক্ষার্থী নিহত হবার ঘটনায় শেখ হাসিনাসহ ৫২ জনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থায় অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৯ শে আগস্ট) আন্দোলনে নিহত নাসিফ হাসান রিয়াদের বাবা এ অভিযোগ দায়ের করেন। এরমধ্যে গণহত্যায় উস্কানি দেয়ায় ৩০ জন সিনিয়র সাংবাদিককে অভিযুক্ত করা হয়েছে।

এর আগে গত ১৪ আগস্ট গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থায় আবেদন করা হয়। কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহত সাভারের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী আরিফ আহমেদ সিয়ামের বাবা এ আবেদন করেন। পরে ট্রাইব্যুনালের ধানমন্ডিতে তদন্ত সংস্থার প্রধান কার্যালয়ে সংস্থার প্রধান কো-অডিনেটর বরাবর অ্যাডভোকেট গাজী এম এইচ তামিম আবেদনটি দায়ের করেন।

আবেদনে ১৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ঘটনার তারিখ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। পাশাপাশি এই সময়ে আহত হয়ে পরবর্তীতে বিভিন্ন তারিখে নিহতরাও এর আওতায় থাকবে বলেও আবেদনে উল্লেখ করা হয়। এ ছাড়া ঘটনার স্থান হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে সমগ্র বাংলাদেশকে।

অভিযোগে অপরাধের ধরনে বলা হয়েছে, এক থেকে নয় নম্বর আসামির নির্দেশে ও পরিকল্পনায় অন্যান্য আসামিরা দেশীয় এবং আগ্নেয়াস্ত্র দ্বারা নির্বিচারে গুলিবর্ষণ করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারী সাধারণ নিরস্ত্র ছাত্র-জনতাকে হত্যা করে তাদের সমূলে বা আংশিক নির্মূল করার উদ্দেশ্যে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছেন।

গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ছাড়াও অভিযুক্ত অন্যরা হলেন- সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত এবং আওয়ামী লীগ সরকারের কতিপয় মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও সংসদ সদস্যসহ সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক ও ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমান, ডিএমপির সাবেক ডিবি প্রধান হারুন অর রশীদ, কতিপয় অসাধু পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্য, র‌্যাবের সাবেক মহাপরিচালক ব্যারিস্টার মো. হারুন অর রশিদ।

অভিযুক্তরা হলেন- বাংলাদেশের সাবেক তথ্য কমিশনার মাসুদ ভাট্টি, অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট ও আইনজীবী নিঝুম মজুমদার, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব নাইমুল ইসলাম খান, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, বাংলাদেশ প্রতিদিনের সম্পাদক নইম নিজাম, সাবেক প্রধানমন্ত্রী তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবাহান চৌধুরী, প্রেসক্লাব সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, সাংবাদিক ও টিভি সঞ্চালক নবনিতা চৌধুরী, এবি নিউজ২৪ ডটকমের সম্পাদক সুভাষ সিংহ রায়, সময় টিভির সাবেক বার্তা প্রধান তুষার আবদুল্লাহ, ডিবিসির সম্পাদক জাহেদুল হাসান পিন্টু, ডিবিসির প্রধান সম্পাদক মঞ্জুরুল ইসলাম ও চ্যানেল আইয়ের সোমা ইসলাম।

এ ছাড়াও অভিযুক্ত অন্যরা হলেন- এটিএন নিউজের বার্তা প্রধান প্রভাষ আমিন, একাত্তর টিভির সাবেক প্রধান প্রতিবেদক ফারজানা রূপা, একাত্তর টিভির বার্তা প্রধান শাকিল আহমেদ, একাত্তর টিভির হেড ও কারেন্ট অ্যাফেয়ার্সের মিথিলা ফারজানা (মোবাশ্বিরা ফারজানা মিথিলা), ইন্ডপেনডেন্ট টিভির প্রধান বার্তা সম্পাদক আশীস সৈকত, এশিয়ান টিভির হেড অব নিউজ মানষ ঘোষ, ডিবিসির প্রনব শাহা, এটিএন নিউজের সাবেক প্রধান নির্বাহী সম্পাদক মুন্নি শাহা, এটিএন বাংলার সাবেক প্রধান নির্বাহী সম্পাদক জ ই মামুন (জাহিরুল ইসলাম মামুন), দৈনিক জনকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক স্বদেশ রায়, চ্যানেল আইয়ের সোমা ইসলাম, ইত্তেফাকের শ্যামল সরকার, সমকালের অজয় দাশ প্রমুখ।

নিউজটি শেয়ার করুন

গণহত্যায় উসকানিদাতা হিসেবে যে ৩২ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ

আপডেট সময় : ০৪:০৭:০৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ অগাস্ট ২০২৪

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যত্থানে এক শিক্ষার্থী নিহত হবার ঘটনায় শেখ হাসিনাসহ ৫২ জনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থায় অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৯ শে আগস্ট) আন্দোলনে নিহত নাসিফ হাসান রিয়াদের বাবা এ অভিযোগ দায়ের করেন। এরমধ্যে গণহত্যায় উস্কানি দেয়ায় ৩০ জন সিনিয়র সাংবাদিককে অভিযুক্ত করা হয়েছে।

এর আগে গত ১৪ আগস্ট গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থায় আবেদন করা হয়। কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহত সাভারের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী আরিফ আহমেদ সিয়ামের বাবা এ আবেদন করেন। পরে ট্রাইব্যুনালের ধানমন্ডিতে তদন্ত সংস্থার প্রধান কার্যালয়ে সংস্থার প্রধান কো-অডিনেটর বরাবর অ্যাডভোকেট গাজী এম এইচ তামিম আবেদনটি দায়ের করেন।

আবেদনে ১৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ঘটনার তারিখ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। পাশাপাশি এই সময়ে আহত হয়ে পরবর্তীতে বিভিন্ন তারিখে নিহতরাও এর আওতায় থাকবে বলেও আবেদনে উল্লেখ করা হয়। এ ছাড়া ঘটনার স্থান হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে সমগ্র বাংলাদেশকে।

অভিযোগে অপরাধের ধরনে বলা হয়েছে, এক থেকে নয় নম্বর আসামির নির্দেশে ও পরিকল্পনায় অন্যান্য আসামিরা দেশীয় এবং আগ্নেয়াস্ত্র দ্বারা নির্বিচারে গুলিবর্ষণ করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারী সাধারণ নিরস্ত্র ছাত্র-জনতাকে হত্যা করে তাদের সমূলে বা আংশিক নির্মূল করার উদ্দেশ্যে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছেন।

গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ছাড়াও অভিযুক্ত অন্যরা হলেন- সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত এবং আওয়ামী লীগ সরকারের কতিপয় মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও সংসদ সদস্যসহ সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক ও ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমান, ডিএমপির সাবেক ডিবি প্রধান হারুন অর রশীদ, কতিপয় অসাধু পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্য, র‌্যাবের সাবেক মহাপরিচালক ব্যারিস্টার মো. হারুন অর রশিদ।

অভিযুক্তরা হলেন- বাংলাদেশের সাবেক তথ্য কমিশনার মাসুদ ভাট্টি, অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট ও আইনজীবী নিঝুম মজুমদার, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব নাইমুল ইসলাম খান, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, বাংলাদেশ প্রতিদিনের সম্পাদক নইম নিজাম, সাবেক প্রধানমন্ত্রী তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবাহান চৌধুরী, প্রেসক্লাব সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, সাংবাদিক ও টিভি সঞ্চালক নবনিতা চৌধুরী, এবি নিউজ২৪ ডটকমের সম্পাদক সুভাষ সিংহ রায়, সময় টিভির সাবেক বার্তা প্রধান তুষার আবদুল্লাহ, ডিবিসির সম্পাদক জাহেদুল হাসান পিন্টু, ডিবিসির প্রধান সম্পাদক মঞ্জুরুল ইসলাম ও চ্যানেল আইয়ের সোমা ইসলাম।

এ ছাড়াও অভিযুক্ত অন্যরা হলেন- এটিএন নিউজের বার্তা প্রধান প্রভাষ আমিন, একাত্তর টিভির সাবেক প্রধান প্রতিবেদক ফারজানা রূপা, একাত্তর টিভির বার্তা প্রধান শাকিল আহমেদ, একাত্তর টিভির হেড ও কারেন্ট অ্যাফেয়ার্সের মিথিলা ফারজানা (মোবাশ্বিরা ফারজানা মিথিলা), ইন্ডপেনডেন্ট টিভির প্রধান বার্তা সম্পাদক আশীস সৈকত, এশিয়ান টিভির হেড অব নিউজ মানষ ঘোষ, ডিবিসির প্রনব শাহা, এটিএন নিউজের সাবেক প্রধান নির্বাহী সম্পাদক মুন্নি শাহা, এটিএন বাংলার সাবেক প্রধান নির্বাহী সম্পাদক জ ই মামুন (জাহিরুল ইসলাম মামুন), দৈনিক জনকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক স্বদেশ রায়, চ্যানেল আইয়ের সোমা ইসলাম, ইত্তেফাকের শ্যামল সরকার, সমকালের অজয় দাশ প্রমুখ।