তাঁর আবির্ভাবে নড়েচড়ে বসেছিল অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট। টেস্টে ডেভিড ওয়ার্নারের যোগ্য সঙ্গী খুঁজে হয়রান অস্ট্রেলিয়া ভেবেছিল উইল পুকোভস্কিই তাদের ভরসা দেবে। ঘরোয়াতে ৫৫- এর উপরে গড় আর ব্যাটিং স্টাইলে রিকি পন্টিংকে মনে করানো তাঁকে নিয়ে আশা বাড়াচ্ছিল।
ক্রিকেটীয় দক্ষতা নিয়ে কখনো প্রশ্ন ছিল না। সাবেক সব ক্রিকেটারই তাঁর প্রশংসা করতেন। সেই পুকোভস্কি মাত্র ১ টেস্ট খেলে ২৬ বছর বয়সে ক্রিকেট থেকে অবসরে গেলেন। স্বাভাবিক কোনো অবসর নয়, পুকোভস্কির জন্য একটি নতুন শব্দই ব্যবহার করতে হচ্ছে, ‘মেডিক্যালি রিটায়ার!’
২০২০ সালে জাতীয় দলে প্রথম ডাক পেলেও খেলা হয়নি তখন। এক বছর পর যখন সুযোগ মিলল ‘প্রডিজি’র, খারাপ করেননি। ভারতের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ৬২ রানের পর দ্বিতীয় ইনিংসে ১০ রান করেছিলেন।
কিন্তু এরপর আর জাতীয় দলে খেলা হয়নি তাঁর। হবে কীভাবে? জাতীয় দলে ঢোকার মুহূর্তে একবার বল লেগে দীর্ঘদিনের জন্য খেলার বাইরে ছিলেন। জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়ার পর আবার একই ঘটনা। এরপর থেকে পুকোভস্কি যখনই সংবাদ শিরোনাম হয়েছেন, প্রতিবারই দেখা গেছে কারণটা মাথায় বল লাগা সংক্রান্ত। সর্বশেষ মার্চেও একবার মাথায় বল লেগেছে তাঁর। এরপর থেকেই খেলার বাইরে।
নির্বাচকদের নজরে পড়ার পর থেকে ম্যাচ ও অনুশীলন মিলিয়ে মাথায় দশবার ১০ লেগেছে তাঁর। বারবার একই ঘটনা তাঁর মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব ফেলেছে। ২০২২ সালে খেলা থেকে দীর্ঘ বিরতিও নিয়েছিলেন। কিন্তু ফেরার পরও সমস্যাটা যায়নি। বাউন্সারে অনায়াসে পুল ও হুক করতে পারেন। কিন্তু কীভাবে যেন বারবার তাঁর মাথায় বল আঘাত করত।
মার্চে নতুন করে আঘাত পাওয়ার পর ভিক্টোরিয়ার হয়ে এবার প্রাক-মৌসুম অনুশীলনেও যোগ দেননি। নিউজ মেলবোর্নের টম মরিস জানিয়েছেন, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের প্যানেলের পরামর্শে কয়েক মাস আগেই পুকোভস্কিকে অবসরে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে ক্রিকেট ভিক্টোরিয়া এই সপ্তাহেই নতুন চুক্তিতে তাঁকে না রেখে সেটা আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছে।