১২:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গুমের ঘটনার সঠিক তদন্ত ও নিখোঁজদের ফিরিয়ে আনার দাবি

বিগত সরকারের সময়ে যারা গুমের সাথে জড়িত ছিল তাদের অবিলম্বে বিচারের আওতায় আনার দাবি ভুক্তভোগী পরিবারের স্বজনদের সংগঠন মায়ের ডাকের। আন্তর্জাতিক গুম বিরোধী দিবস উপলক্ষে সকালে, বিচার চাইতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জড়ো হয়েছিলো স্বজনরা, কন্ঠে ছিলো প্রতিবাদের ভাষা। তাদের দাবি, তদন্ত কমিশনের মাধ্যমে গুমের ঘটনার সঠিক তদন্ত ও নিখোঁজদের ফিরিয়ে আনার।

আয়নাঘর ফেরত মাইকেল চাকমা। যার জীবনের ৫ বছরেরও বেশি সময় কেটেছে গোপন বন্দীশালায়। বিভীষিকাময় সেই অন্ধকার থেকে জীবিত ফিরবেন, হয়তো ভাবনায় ছিল না।

২০১৯-এর এপ্রিলে ঢাকার শ্যামলী থেকে সাদা পোশাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তাকে। ফিরে এসে সেই দুঃসহ জীবনের তিক্ত অভিজ্ঞতা বর্ণনা করলেন। চাইলেন বিচার।

স্বজনদের একজন বলেন, ‘নিশ্চিত করার মাধ্যমে জনগণের কাছে বার্তা দিবে যে এই ধরনের কাজে কেউ পার পাবে না।’

আওয়ামী শাসনামলে গুম হয়ে অমানবিক, মানসিক অত্যাচারের শিকার হয়েছেন অসংখ্য মানুষ। তাদের ফিরে পেতে সোচ্চার সংগঠন-মায়ের ডাক।

আন্তর্জাতিক গুম বিরোধী দিবসেও সংগঠনটির পক্ষ থেকে প্রতিবাদী আয়োজন করা হয় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। এতে অংশ নিয়ে স্বজনদের ফিরিয়ে দেয়ার দাবি জানান বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা।

স্বজনদের আরেকজন বলেন, ‘বাবা কেমন আমি জানিনা। আমি আমার দেখতে চায়, বাবাকে ছুঁঁতে চায়।’

গুমকে মানবতা বিরোধী অপরাধ উল্লেখ করে আয়োজকরা বলেন, আওয়ামী শাসনামলে বিচার বহির্ভূতভাবে অনেককেই গুম করা হয়। গুম বিরোধী তদন্ত কমিশনের মাধ্যমে সবগুলো ঘটনার সঠিক তদন্ত দাবি করে সংগঠনগুলো।

বেসরকারি বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থার প্রতিবেদন বলছে, বাংলাদেশে গেল ১৭ বছরে ৬ শতাধিক মানুষ গুমের শিকার হয়েছেন।

গুমের ঘটনার সঠিক তদন্ত ও নিখোঁজদের ফিরিয়ে আনার দাবি

আপডেট : ০৯:১১:৫৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ অগাস্ট ২০২৪

বিগত সরকারের সময়ে যারা গুমের সাথে জড়িত ছিল তাদের অবিলম্বে বিচারের আওতায় আনার দাবি ভুক্তভোগী পরিবারের স্বজনদের সংগঠন মায়ের ডাকের। আন্তর্জাতিক গুম বিরোধী দিবস উপলক্ষে সকালে, বিচার চাইতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জড়ো হয়েছিলো স্বজনরা, কন্ঠে ছিলো প্রতিবাদের ভাষা। তাদের দাবি, তদন্ত কমিশনের মাধ্যমে গুমের ঘটনার সঠিক তদন্ত ও নিখোঁজদের ফিরিয়ে আনার।

আয়নাঘর ফেরত মাইকেল চাকমা। যার জীবনের ৫ বছরেরও বেশি সময় কেটেছে গোপন বন্দীশালায়। বিভীষিকাময় সেই অন্ধকার থেকে জীবিত ফিরবেন, হয়তো ভাবনায় ছিল না।

২০১৯-এর এপ্রিলে ঢাকার শ্যামলী থেকে সাদা পোশাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তাকে। ফিরে এসে সেই দুঃসহ জীবনের তিক্ত অভিজ্ঞতা বর্ণনা করলেন। চাইলেন বিচার।

স্বজনদের একজন বলেন, ‘নিশ্চিত করার মাধ্যমে জনগণের কাছে বার্তা দিবে যে এই ধরনের কাজে কেউ পার পাবে না।’

আওয়ামী শাসনামলে গুম হয়ে অমানবিক, মানসিক অত্যাচারের শিকার হয়েছেন অসংখ্য মানুষ। তাদের ফিরে পেতে সোচ্চার সংগঠন-মায়ের ডাক।

আন্তর্জাতিক গুম বিরোধী দিবসেও সংগঠনটির পক্ষ থেকে প্রতিবাদী আয়োজন করা হয় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। এতে অংশ নিয়ে স্বজনদের ফিরিয়ে দেয়ার দাবি জানান বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা।

স্বজনদের আরেকজন বলেন, ‘বাবা কেমন আমি জানিনা। আমি আমার দেখতে চায়, বাবাকে ছুঁঁতে চায়।’

গুমকে মানবতা বিরোধী অপরাধ উল্লেখ করে আয়োজকরা বলেন, আওয়ামী শাসনামলে বিচার বহির্ভূতভাবে অনেককেই গুম করা হয়। গুম বিরোধী তদন্ত কমিশনের মাধ্যমে সবগুলো ঘটনার সঠিক তদন্ত দাবি করে সংগঠনগুলো।

বেসরকারি বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থার প্রতিবেদন বলছে, বাংলাদেশে গেল ১৭ বছরে ৬ শতাধিক মানুষ গুমের শিকার হয়েছেন।