নোয়াখালীতে গত দুই দিন থেকে বৃষ্টি না হলেও বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি। লোকজন বিভিন্ন জায়গায় খালের বাঁধ কেটে দিলেও পানি নামছে খুবই ধীর গতিতে। ফলে পানিবন্দি মানুষের দুর্ভোগ কমছে না। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে বানবাসী মানুষের ভিড় লেগেই আছে। কবে বাড়ি ফিরতে পারবেন জানেন না কেউ।
সরকারি হিসেবে, গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত জেলার ৮ উপজেলার ৮ পৌরসভা ও ৮৭টি ইউনিয়নে পানিবন্দি ৩ লাখ ৮৮ হাজার ১৫ পরিবারের ২০ লাখ ১৮ হাজার ৫০০ জন মানুষ। বানভাসি মানুষের জন্য সরকারিভাবে খোলা হয়েছে ১ হাজার ৩৬৬টি আশ্রয়কেন্দ্র। এসব আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন ২ লাখ ৯০ হাজার ৫১৩ জন মানুষ।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সরকারি ত্রাণ সহায়তা হিসেবে এ পর্যন্ত ৭৯৮ দশমিক ৫০০ মেট্রিক টন চাল, ৩০ লাখ ৯৪ হাজার টাকা ও ১ হাজার ১০০ প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে।
ওই এলাকার এক ব্যক্তি বলেন, ‘এলাকায় এখনও পানি আছে ৩ ফুট। বিভিন্ন জায়গা পানি আটকে আছে। বাড়িঘর ডুবানো অবস্থায় রয়েছে।’
আরেক ভুক্তভোগী বলেন, ‘এখন বৃষ্টি না হলেও পানি বাড়ছে। এতে কোনো সন্দেহ নাই। ফলে বাসাবাড়িতে নীচ তলার মানুষ থাকার অবস্থা নাই। আমি যে জায়গায় সেখানে নিচতলায় প্রায় একহাত পানি।’
আরেক এলাকাবাসী বলেন, ‘এলাকায় যা ত্রাণ আসছে তা মেইন রাস্তা থেকে দিয়ে চলে যাচ্ছে। ভেতরে যাওয়া উচিত। এই মুহূর্তে পানিবাহিত রোগ বাড়ছে, সে জন্য বিশুদ্ধ পানি, খাবার স্যালাইন দরকার। আমরা যে পানিবন্দি অবস্থায় আছি সেটির অবস্থা খুবই খারাপ।’