ঢাকা ০৪:৫৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

ফেনীতে বন্যায় ১৯ জনের মৃত্যু, রয়েছে জলাবদ্ধতা

ফেনী প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০১:৩৪:০৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ অগাস্ট ২০২৪
  • / ৩৫৫ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ফেনীতে বন্যায় এখন পর্যন্ত ১৯ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। জেলায় পানি নামলেও শহরতলীর পেট্রোবাংলা, তুলাবাড়িয়া, দক্ষিণ সোনাপুর ও দাগনভুঞার বেশ কিছু এলাকায় এখনও রয়েছে জলাবদ্ধতা। আটকাপড়া পানি বিবর্ণ রং ধারন করে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে।

এদিকে বানভাসি মানুষের শুকনো খাবারের চেয়ে প্রয়োজন চাল, ডাল তেল, আলু, পেঁয়াজের মতো নিত্য খাদ্য সামগ্রী। যেসব এলাকায় পানি নেমেছে সে এলাকায় তৈরি হয়েছে অবর্ণনীয় দুর্ভোগ। কর্দমাক্ত ঘরে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতায় বেগ পেতে হচ্ছে ক্ষতিগ্রস্তদের।

জানা গেছে, বন্যায় প্লাবিত এলাকাগুলোতে বেড়েছে রোগের প্রকোপ। রোগীদের ভিড় বেড়েছে হাসপাতাল ও ক্যাম্পগুলোতে। জেলায় একটি ও ৬ উপজেলায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোর বাইরে স্থাপন করা হয়েছে সেনা, নৌ, বিজিবির বিশেষ মেডিকেল ক্যাম্প। এ ছাড়াও ৭টি বেসরকারি হাসপাতালকে বিনামূল্যে বিশেষ সেবার আওতায় আনা হয়েছে।

ভুক্তভোগী এক গৃহবধূ বলেন, বন্যার পানি নেমে গেলেও ছেলে-মেয়ে তিনজনেরই জ্বর, পাতলা পায়খানা হয়েছে। বিষাক্ত পানির কারণে অসুস্থ হয়েছে তারা। ঘরের যা কিছু ছিল সব নষ্ট হয়ে গেছে। এখন পর্যন্ত ঘরে থাকার মতো উপযুক্ত হয়নি, আরও ১০-১২ দিন লাগবে।

আরেক নারী বলেন, ‘পানি ঘরের চালা পর্যন্ত উঠেছিল। এই জন্য বিছানা, কাঁথা সবকিছু চলে গেছে। শুধুমাত্র পরনের কাপড় রয়েছে। খাওয়া দাওয়াও এখন সেরকম হচ্ছে না। সম্পূর্ণ ক্ষতি হয়ে গেছে আমাদের।

জেলা প্রশাসক মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তার বলেন, ‘বন্যায় আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত জেলায় ১৯ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হতে হয়েছি। এরই মধ্যে মৃতদের প্রত্যেক পরিবারকে আর্থিক সহায়তার জন্য ইউএনওকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’

নিউজটি শেয়ার করুন

ফেনীতে বন্যায় ১৯ জনের মৃত্যু, রয়েছে জলাবদ্ধতা

আপডেট সময় : ০১:৩৪:০৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ অগাস্ট ২০২৪

ফেনীতে বন্যায় এখন পর্যন্ত ১৯ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। জেলায় পানি নামলেও শহরতলীর পেট্রোবাংলা, তুলাবাড়িয়া, দক্ষিণ সোনাপুর ও দাগনভুঞার বেশ কিছু এলাকায় এখনও রয়েছে জলাবদ্ধতা। আটকাপড়া পানি বিবর্ণ রং ধারন করে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে।

এদিকে বানভাসি মানুষের শুকনো খাবারের চেয়ে প্রয়োজন চাল, ডাল তেল, আলু, পেঁয়াজের মতো নিত্য খাদ্য সামগ্রী। যেসব এলাকায় পানি নেমেছে সে এলাকায় তৈরি হয়েছে অবর্ণনীয় দুর্ভোগ। কর্দমাক্ত ঘরে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতায় বেগ পেতে হচ্ছে ক্ষতিগ্রস্তদের।

জানা গেছে, বন্যায় প্লাবিত এলাকাগুলোতে বেড়েছে রোগের প্রকোপ। রোগীদের ভিড় বেড়েছে হাসপাতাল ও ক্যাম্পগুলোতে। জেলায় একটি ও ৬ উপজেলায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোর বাইরে স্থাপন করা হয়েছে সেনা, নৌ, বিজিবির বিশেষ মেডিকেল ক্যাম্প। এ ছাড়াও ৭টি বেসরকারি হাসপাতালকে বিনামূল্যে বিশেষ সেবার আওতায় আনা হয়েছে।

ভুক্তভোগী এক গৃহবধূ বলেন, বন্যার পানি নেমে গেলেও ছেলে-মেয়ে তিনজনেরই জ্বর, পাতলা পায়খানা হয়েছে। বিষাক্ত পানির কারণে অসুস্থ হয়েছে তারা। ঘরের যা কিছু ছিল সব নষ্ট হয়ে গেছে। এখন পর্যন্ত ঘরে থাকার মতো উপযুক্ত হয়নি, আরও ১০-১২ দিন লাগবে।

আরেক নারী বলেন, ‘পানি ঘরের চালা পর্যন্ত উঠেছিল। এই জন্য বিছানা, কাঁথা সবকিছু চলে গেছে। শুধুমাত্র পরনের কাপড় রয়েছে। খাওয়া দাওয়াও এখন সেরকম হচ্ছে না। সম্পূর্ণ ক্ষতি হয়ে গেছে আমাদের।

জেলা প্রশাসক মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তার বলেন, ‘বন্যায় আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত জেলায় ১৯ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হতে হয়েছি। এরই মধ্যে মৃতদের প্রত্যেক পরিবারকে আর্থিক সহায়তার জন্য ইউএনওকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’