ফেনীতে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। জেলার বেশ কয়েকটি উপজেলার কমতে শুরু করেছে পানি। আশ্রয় কেন্দ্র থেকে বেশিরভাগ পরিবার ফিরেছে ঘরে। তবে ঘরে ফিরলেও চোখে দেখছেন আগ্রাসী বন্যার রেখে যাওয়া সীমাহীন ক্ষতির দাগ। বন্যার কবলে রাস্তাঘাটের বেহাল দশায় ভুগছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। শূন্য থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টায় এখানকার মানুষ।
ফেনীতে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। জেলার বেশ কয়েকটি উপজেলার কমতে শুরু করেছে পানি। আশ্রয়কেন্দ্র থেকে বেশিরভাগ পরিবার ফিরেছে ঘরে। তবে ঘরে ফিরলেও চোখে দেখছেন আগ্রাসী বন্যার রেখে যাওয়া সীমাহীন ক্ষতির দাগ।
বন্যার কবলে রাস্তাঘাটের বেহাল দশায় ভুগছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। শূন্য থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টায় এখানকার মানুষ।কিছু এলাকায় এখনও পানি রয়েছে। কোথাও কোমর আবার কোথাও হাঁটু সমান। এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে নেই বিদ্যুৎ, গ্যাস ও ইন্টারনেট সংযোগ।
এদিকে বন্যার পর চর্ম, ডায়রিয়া, আমাশয়সহ বিভিন্ন রোগের প্রাদুর্ভাব ছড়িয়ে পড়ছে। রোগীদের চিকিৎসা সেবায় কাজ করছে সেনা, নৌবাহিনী ও কোস্ট গার্ডসহ বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।
কুমিল্লার বন্যা পরিস্থিতির অনেকটাই উন্নতি হয়েছে, কমতে শুরু করেছে পানি। তবে, তিনটি উপজেলায় কোনো উন্নতি হয়নি। এখনো প্রায় ৭৬ হাজার মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করছেন।
নোয়াখালীতে নতুন করে বাড়েনি পানি। তবে খাল দখল হওয়ায় পানি নামায় ধীর গতি দেখা দিয়েছে। এখনো হাঁটু সমান পানির দেখা মিলছে অনেক জায়গায়। তলিয়ে আছে বাড়িঘর, দোকানপাট থেকে শুরু করে রাস্তাঘাট।
ধীরে ধীরে আশ্রয়কেন্দ্র থেকে ফিরতে শুরু করেছে মানুষ। বেড়েছে পানিবাহিত রোগ ও সাপে কাটা রোগীর সংখ্যা। যাতায়াত ব্যবস্থা সচল না হওয়া, খাদ্য সংকট, সুপেয় পানির অভাব, পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থাসহ রান্না-বান্না নিয়ে ভোগান্তিতে বন্যাদুর্গত বাসিন্দারা। বন্যায় বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মৎস্য ও কৃষি খাত।
এদিকে মৌলভীবাজারে বন্যায় এখন পর্যন্ত কৃষি খাতে প্রায় ১৮৭ কোটি টাকা, মৎস্যখাতে ১৭ কোটি ৮১ লাখ টাকা ও প্রাণী সম্পদ খাতে ৯৪ লাখ টাকার ক্ষতি নিরুপণ করা হয়েছে। এছাড়া সড়ক বিভাগের এলজিইডি ও সড়ক জনপথ মিলিয়ে প্রায় ৫৩১ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতির হিসাব করা হয়েছে।