ঢাকা ০৭:২৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

ভিজিট ভিসার আমিরাত প্রবাসীরা পাচ্ছেন বৈধ হওয়ার সুযোগ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০১:১৬:১০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ অগাস্ট ২০২৪
  • / ৩৭৯ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

পহেলা সেপ্টেম্বর থেকে সাধারণ ক্ষমার আওতায় দেশে ফিরতে পারবেন সংযুক্ত আরব আমিরাতে অবৈধভাবে বসবাসরত অভিবাসীরা। পাশাপাশি ভিজিট ভিসায় আরব আমিরাতে যাওয়া অভিবাসীরা পাবেন বৈধ হওয়ার সুযোগ। জেল-জরিমানা ছাড়া দেশে প্রবেশের এই সুযোগ নিতে পারবেন বাংলাদেশি অভিবাসীরাও।

করোনা পরবর্তীসময়ে ভিসা উন্মুক্ত করে দেয়ায় ভিজিট ও অন্যান্য ভিসায় আরব আমিরাতে প্রবেশ করেন হাজার হাজার বাংলাদেশি। অনেকে ভিসা পরিবর্তন করে কাজের সুযোগ পেলেও বেশিরভাগেরই ভিসার মেয়াদ ফুরিয়ে যায়। এতে দেশটিতে অবৈধ হয়ে পড়েন কয়েক হাজার বাংলাদেশি।

গেল আগস্টে আটকে পড়া এই অবৈধ অভিবাসীদের জন্য সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করে সংযুক্ত আরব আমিরাত। ১ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে সাধারণ ক্ষমার এই কার্যক্রম। এতে করে মেয়াদ উত্তীর্ণ, অনিয়মিত বা কাগজপত্রবিহীন অভিবাসীরা জেল-জরিমানা ছাড়াই নিজ দেশে ফিরতে পারবেন। সুযোগ থাকছে বৈধ হওয়ারও।

দুবাইয়ের বাংলাদেশ কনস্যুলেট কনসাল জেনারেল বি এম জামাল হোসেন বলেন, ‘যারা এখানে কোনো কারণে আনডকুমেন্টেড হয়ে গেছে, যাদের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে বা ১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে তারা এই সুবিধার আওতায় বৈধতা পাবেন।’

তা’মিম বা নিয়োগকর্তাদের কাছ থেকে পালিয়ে যাওয়া ব্যক্তিদের জন্যেও বলবৎ থাকবে সাধারণ ক্ষমা। এছাড়া প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সরবরাহ করলে অবৈধ অভিবাসীদের ট্রাভেল পারমিট দেবে কনস্যুলেট। ট্রাভেল পারমিট পেলে সংশ্লিষ্ট ইমিগ্রেশন থেকে সংগ্রহ করা যাবে এক্সিট পারমিটও।

এক্সিট পারমিট পাওয়ার ১৪ দিনের মধ্যে দেশে ফিরতে হবে অভিবাসীদের। সাধারণ ক্ষমা চলাকালীন এক্সিট পারমিট নিয়ে দেশে গেলে কোনোপ্রকার নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়বেন না অনুপ্রবেশকারী।

বি এম জামাল হোসেন বলেন, ‘সাধারণ ক্ষমা চলাকালীন সময়ে এক্সিট পারমিট নিয়ে যারা যাবেন তাদের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা নেই। তারা আবার আসতে পারবেন।’

সাধারণ ক্ষমা চলাকালে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন হয় বৈধ পাসপোর্টের। এ কারণে, বাংলাদেশি অভিবাসীদের ১ হাজার ৩০০ পাসপোর্ট ইতোমধ্যেই কনস্যুলেটের কাছে হস্তান্তর করেছে স্থানীয় ইমিগ্রেশন অফিস। পাসপোর্ট উইংয়ে লোকবল বাড়ায় নিজেদের প্রস্তুতি নিয়ে সন্তুষ্ট দুবাই-বাংলাদেশ কনস্যুলেট।

তবে, যারা বৈধতার আবেদন করেছেন তাদেরকে প্রথমে ছয় মাস মেয়াদি চাকরি সন্ধানী ভিসা দেবে আরব আমিরাত। এসময় প্রতিষ্ঠান বা নিয়োগকর্তার মাধ্যমে বৈধতা অর্জন করতে হবে প্রার্থীকে। এজন্য শ্রমিক সংকটে থাকা প্রতিষ্ঠানগুলোকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে কনস্যুলেটের লেবার কাউন্সিলর আব্দুস সালাম।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশি যাদের পাসপোর্টের মেয়াদ নেই বা হারিয়ে গেছে, তাদের জন্য পাসপোর্ট লাগবে। আর শ্রম কল্যাণের পক্ষ থেকে আমরা ট্রাভেল পারমিট ভিসার বিষয়টি খুব গুরুত্ব সহকারে দেখছি। আমি একটা ফ্লোচার্ট তৈরি করেছি যেন এটা দেখে কোথায় কীভাবে সেবা পাবেন, খুব দ্রুতসময়ে সেবা পাবেন সে লক্ষ্য নিয়ে শ্রম কল্যাণ উইং আমরা কাজ করছি।’

১ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হতে যাওয়া এই সেবা গ্রহণের জন্য মেয়াদ উত্তীর্ণ ভিসাধারীদের যেতে হবে সংশ্লিষ্ট ইমিগ্রেশন সেন্টারে। এরপর, ইমিগ্রেশনের নির্দেশনা অনুযায়ী সরকার অনুমোদিত টাইপিং তাসহিল বা আমের সেন্টারে যাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা।

নিউজটি শেয়ার করুন

ভিজিট ভিসার আমিরাত প্রবাসীরা পাচ্ছেন বৈধ হওয়ার সুযোগ

আপডেট সময় : ০১:১৬:১০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ অগাস্ট ২০২৪

পহেলা সেপ্টেম্বর থেকে সাধারণ ক্ষমার আওতায় দেশে ফিরতে পারবেন সংযুক্ত আরব আমিরাতে অবৈধভাবে বসবাসরত অভিবাসীরা। পাশাপাশি ভিজিট ভিসায় আরব আমিরাতে যাওয়া অভিবাসীরা পাবেন বৈধ হওয়ার সুযোগ। জেল-জরিমানা ছাড়া দেশে প্রবেশের এই সুযোগ নিতে পারবেন বাংলাদেশি অভিবাসীরাও।

করোনা পরবর্তীসময়ে ভিসা উন্মুক্ত করে দেয়ায় ভিজিট ও অন্যান্য ভিসায় আরব আমিরাতে প্রবেশ করেন হাজার হাজার বাংলাদেশি। অনেকে ভিসা পরিবর্তন করে কাজের সুযোগ পেলেও বেশিরভাগেরই ভিসার মেয়াদ ফুরিয়ে যায়। এতে দেশটিতে অবৈধ হয়ে পড়েন কয়েক হাজার বাংলাদেশি।

গেল আগস্টে আটকে পড়া এই অবৈধ অভিবাসীদের জন্য সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করে সংযুক্ত আরব আমিরাত। ১ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে সাধারণ ক্ষমার এই কার্যক্রম। এতে করে মেয়াদ উত্তীর্ণ, অনিয়মিত বা কাগজপত্রবিহীন অভিবাসীরা জেল-জরিমানা ছাড়াই নিজ দেশে ফিরতে পারবেন। সুযোগ থাকছে বৈধ হওয়ারও।

দুবাইয়ের বাংলাদেশ কনস্যুলেট কনসাল জেনারেল বি এম জামাল হোসেন বলেন, ‘যারা এখানে কোনো কারণে আনডকুমেন্টেড হয়ে গেছে, যাদের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে বা ১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে তারা এই সুবিধার আওতায় বৈধতা পাবেন।’

তা’মিম বা নিয়োগকর্তাদের কাছ থেকে পালিয়ে যাওয়া ব্যক্তিদের জন্যেও বলবৎ থাকবে সাধারণ ক্ষমা। এছাড়া প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সরবরাহ করলে অবৈধ অভিবাসীদের ট্রাভেল পারমিট দেবে কনস্যুলেট। ট্রাভেল পারমিট পেলে সংশ্লিষ্ট ইমিগ্রেশন থেকে সংগ্রহ করা যাবে এক্সিট পারমিটও।

এক্সিট পারমিট পাওয়ার ১৪ দিনের মধ্যে দেশে ফিরতে হবে অভিবাসীদের। সাধারণ ক্ষমা চলাকালীন এক্সিট পারমিট নিয়ে দেশে গেলে কোনোপ্রকার নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়বেন না অনুপ্রবেশকারী।

বি এম জামাল হোসেন বলেন, ‘সাধারণ ক্ষমা চলাকালীন সময়ে এক্সিট পারমিট নিয়ে যারা যাবেন তাদের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা নেই। তারা আবার আসতে পারবেন।’

সাধারণ ক্ষমা চলাকালে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন হয় বৈধ পাসপোর্টের। এ কারণে, বাংলাদেশি অভিবাসীদের ১ হাজার ৩০০ পাসপোর্ট ইতোমধ্যেই কনস্যুলেটের কাছে হস্তান্তর করেছে স্থানীয় ইমিগ্রেশন অফিস। পাসপোর্ট উইংয়ে লোকবল বাড়ায় নিজেদের প্রস্তুতি নিয়ে সন্তুষ্ট দুবাই-বাংলাদেশ কনস্যুলেট।

তবে, যারা বৈধতার আবেদন করেছেন তাদেরকে প্রথমে ছয় মাস মেয়াদি চাকরি সন্ধানী ভিসা দেবে আরব আমিরাত। এসময় প্রতিষ্ঠান বা নিয়োগকর্তার মাধ্যমে বৈধতা অর্জন করতে হবে প্রার্থীকে। এজন্য শ্রমিক সংকটে থাকা প্রতিষ্ঠানগুলোকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে কনস্যুলেটের লেবার কাউন্সিলর আব্দুস সালাম।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশি যাদের পাসপোর্টের মেয়াদ নেই বা হারিয়ে গেছে, তাদের জন্য পাসপোর্ট লাগবে। আর শ্রম কল্যাণের পক্ষ থেকে আমরা ট্রাভেল পারমিট ভিসার বিষয়টি খুব গুরুত্ব সহকারে দেখছি। আমি একটা ফ্লোচার্ট তৈরি করেছি যেন এটা দেখে কোথায় কীভাবে সেবা পাবেন, খুব দ্রুতসময়ে সেবা পাবেন সে লক্ষ্য নিয়ে শ্রম কল্যাণ উইং আমরা কাজ করছি।’

১ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হতে যাওয়া এই সেবা গ্রহণের জন্য মেয়াদ উত্তীর্ণ ভিসাধারীদের যেতে হবে সংশ্লিষ্ট ইমিগ্রেশন সেন্টারে। এরপর, ইমিগ্রেশনের নির্দেশনা অনুযায়ী সরকার অনুমোদিত টাইপিং তাসহিল বা আমের সেন্টারে যাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা।