০২:৪১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ছয় দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে সাবেক মন্ত্রী গাজী

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের স্কুল শিক্ষার্থী রোমান নময়া হত্যা মামলায় সাবেক বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী এবং গাজী গ্রুপের চেয়ারম্যান গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীককে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। ছয় দিনের রিমান্ড শেষে শুক্রবার (৩০ আগস্ট) দুপুরে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নুসরাত সাহারা বিথীর আদালত তাকে কারাগারে পাঠায়। এদিক সাবেক এমপির বিরুদ্ধে পুলিশ আর কোন মামলায় রিমান্ড আবেদন করেনি।

আদালত পুলিশের পরির্দশক আব্দুর রশীদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, শিক্ষার্থী রোমান নিয়া হত্যা মামলায় রূপগঞ্জ থানা পুলিশ দশ দিনের রিমান্ড আবেদন করে গত রোববার, সে দিন আদালত জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে। আজ রিমান্ড শেষে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এর আগে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সাবেক মন্ত্রী ও গাজী গ্রুপের চেয়ারম্যান গোলাম দস্তগীর গাজীকে ২৪ আগস্ট রাতে রাজধানীর শান্তিনগরের বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার কর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

মামলার সংক্ষিপ্ত এজাহারে উল্লেখ করা হয়, নিহত রোমান মিয়া (১৭) উপজেলার চনপাড়া পুনর্বাসন কেন্দ্রের আনোয়ার হোসেনের ছেলে। সে পুনর্বাসন কেন্দ্রের নব কিশলয় উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির ছাত্র ছিল। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশত্যাগের পর সন্ধ্যায় চনপাড়ায় ছাত্র-জনতার একটি আনন্দ মিছিল বের হয়। মিছিলকে পণ্ড করতে শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদের, গোলাম দস্তগীর ও গোলাম মূর্তজার নির্দেশে আওয়ামী লীগের লোকজন আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি গুলি করেন। এ সময় নিহত রোমানের গলা, ঘাড়, হাত, বুক ও পিঠে কয়েকটি গুলি লাগে। তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পরে বিনা ময়নাতদন্তেই তাকে দাফন করা হয়।

এ ঘটনায় ওই ছাত্রকে গুলি করে হত্যার অভিযোগে গত ২০ আগস্ট রূপগঞ্জ থানায় মামলায় দায়ের করেন নিহতের খালা রিনা খান। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ও সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীকসহ ৪৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৬০ জনকে আসামি করা হয়।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ-১ আসন থেকে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক নিয়ে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। তবে এবার তিনি মন্ত্রীত্ব পাননি। এর আগে আরও দুইবার একই আসনে তিনি এমপি ছিলেন। একবার বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী হন।

গার্মেন্টস খাতে অস্থিতিশীলতার জন্য প্রতিবেশী দেশের ইন্ধন রয়েছে: শ্রম সচিব

ছয় দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে সাবেক মন্ত্রী গাজী

আপডেট : ০৯:১৭:৩৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ অগাস্ট ২০২৪

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের স্কুল শিক্ষার্থী রোমান নময়া হত্যা মামলায় সাবেক বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী এবং গাজী গ্রুপের চেয়ারম্যান গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীককে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। ছয় দিনের রিমান্ড শেষে শুক্রবার (৩০ আগস্ট) দুপুরে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নুসরাত সাহারা বিথীর আদালত তাকে কারাগারে পাঠায়। এদিক সাবেক এমপির বিরুদ্ধে পুলিশ আর কোন মামলায় রিমান্ড আবেদন করেনি।

আদালত পুলিশের পরির্দশক আব্দুর রশীদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, শিক্ষার্থী রোমান নিয়া হত্যা মামলায় রূপগঞ্জ থানা পুলিশ দশ দিনের রিমান্ড আবেদন করে গত রোববার, সে দিন আদালত জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে। আজ রিমান্ড শেষে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এর আগে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সাবেক মন্ত্রী ও গাজী গ্রুপের চেয়ারম্যান গোলাম দস্তগীর গাজীকে ২৪ আগস্ট রাতে রাজধানীর শান্তিনগরের বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার কর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

মামলার সংক্ষিপ্ত এজাহারে উল্লেখ করা হয়, নিহত রোমান মিয়া (১৭) উপজেলার চনপাড়া পুনর্বাসন কেন্দ্রের আনোয়ার হোসেনের ছেলে। সে পুনর্বাসন কেন্দ্রের নব কিশলয় উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির ছাত্র ছিল। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশত্যাগের পর সন্ধ্যায় চনপাড়ায় ছাত্র-জনতার একটি আনন্দ মিছিল বের হয়। মিছিলকে পণ্ড করতে শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদের, গোলাম দস্তগীর ও গোলাম মূর্তজার নির্দেশে আওয়ামী লীগের লোকজন আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি গুলি করেন। এ সময় নিহত রোমানের গলা, ঘাড়, হাত, বুক ও পিঠে কয়েকটি গুলি লাগে। তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পরে বিনা ময়নাতদন্তেই তাকে দাফন করা হয়।

এ ঘটনায় ওই ছাত্রকে গুলি করে হত্যার অভিযোগে গত ২০ আগস্ট রূপগঞ্জ থানায় মামলায় দায়ের করেন নিহতের খালা রিনা খান। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ও সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীকসহ ৪৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৬০ জনকে আসামি করা হয়।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ-১ আসন থেকে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক নিয়ে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। তবে এবার তিনি মন্ত্রীত্ব পাননি। এর আগে আরও দুইবার একই আসনে তিনি এমপি ছিলেন। একবার বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী হন।