ঢাকা ০৮:২৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

বন্যায় ১১ জেলার গ্রামীণ ও আঞ্চলিক মহাসড়ক ক্ষতিগ্রস্ত

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৩:৫৯:৪০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ অগাস্ট ২০২৪
  • / ৩৬৫ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

কদিন ধরে বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় উন্নতির দিকে দেশের বন্যা পরিস্থিতি। আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নেয়া মানুষ ফিরতে শুরু করেছে নিজ ভিটায়। তবে, পানি নামতে শুরু করায় ফুটে উঠছে বন্যার ক্ষতচিহ্ন। স্মরণকালের ভয়াবহ এ বন্যায় অবকাঠামো খাতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশংকা করা হচ্ছে। বাড়িঘর, রাস্তাঘাট, কালভার্ট, বাঁধ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সবখানেই এখন শুধু গভীর ক্ষতচিহ্ন। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গ্রামীণ ও আঞ্চলিক মহাসড়ক। পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন রুটে প্রায় ৫৬ কিলোমিটার রেলপথ ডুবে যাওয়ায় এ পথের তিন রুটে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১৩ কিলোমিটার।

পূর্বাঞ্চলের ১১ জেলার যেদিকে চোখ যায়, সর্বত্রই ক্ষতচিহ্ন। স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যা যে কতটা তাণ্ডব চালিয়েছে এসব জেলার, দিনদিন তা স্পষ্ট হচ্ছে। রাস্তাÑঘাট, বসত-ভিটা যেমন বিলীন হয়েছে, তেমনি নষ্ট হয়েছে ক্ষেত-খামার, ফসলি জমি। কালভার্ট, নদীর বাঁধ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সবখানেই এখন শুধু গভীর ক্ষতচিহ্ন।

অনেক জায়গায় পানি নেমে গেলেও জীবন সেখানে এখনও ছন্নছাড়া। মানুষ বাড়ি ফিরছে ঠিকই, তবে থাকার মতো অবস্থা নেই। অনেক জায়গায় ছাদ আর দেয়াল ছাড়া কিছুই নেই। অবস্থাসম্পন্ন অনেক পরিবারও বন্যার কারণে হয়েছে ঘরছাড়া।

কুমিল্লায় গোমতী নদীর পানি শুক্রবার সকালে স্বাভাবিক ধারায় প্রবাহিত হচ্ছে। নদীর বুড়বুড়িয়ায় বাঁধ দিয়ে পানি প্রবেশ কমেছে। এতে বুড়িচং, ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার পানি কমে বন্যার উন্নতি হয়েছে। লাকসাম, মনোহরগঞ্জ ও চৌদ্দগ্রামের পরিস্থিতিও উন্নতির দিকে।

নোয়াখালীতে অনেক ঘরবাড়ি, দোকানপাট এখনও পানির নিচে। আশ্রয়কেন্দ্রে থাকা মানুষের ভোগান্তি দিনদিন বাড়ছে। খাবার সংকট, বিভিন্ন রোগ-বালাইয়ের প্রকোপ বাড়ায় তাদের ভোগান্তি এখন চরমে। মৌলভীবাজারে সবকটি নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। রাজনগর, কমলগঞ্জসহ বিভিন্ন উপজেলার নিুাঞ্চলের পানি কমেছে। তবে হাওর বেষ্টিত নিুাঞ্চলে কিছু কিছু আশ্রয় কেন্দ্রে এখনও অনেকে অবস্থান করছে অনেকে।

এদিকে, প্রবল বন্যার কারণে রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের ৫৬ কিলোমিটার রেলপথ পানিতে ডুবে যায়। এতে তিন রুটের ১৩ কিলোমিটার রেলপথ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত রেলপথ মেরামতে কাজ শুরু করছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।

বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের সবশেষ তথ্য বলছে, দেশেল সব নদীর পানি কমে বিপদসীমার নিচে নেমে এসেছে। ফলে বন্যা পরিস্থিতির এখন ক্রমান্বয়ে উন্নতি হবে। আবহাওয়া অফিসও বলছে, আগামী কদিন বৃষ্টি কম হবে বন্যা কবলিত এলাকায়।

নিউজটি শেয়ার করুন

বন্যায় ১১ জেলার গ্রামীণ ও আঞ্চলিক মহাসড়ক ক্ষতিগ্রস্ত

আপডেট সময় : ০৩:৫৯:৪০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ অগাস্ট ২০২৪

কদিন ধরে বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় উন্নতির দিকে দেশের বন্যা পরিস্থিতি। আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নেয়া মানুষ ফিরতে শুরু করেছে নিজ ভিটায়। তবে, পানি নামতে শুরু করায় ফুটে উঠছে বন্যার ক্ষতচিহ্ন। স্মরণকালের ভয়াবহ এ বন্যায় অবকাঠামো খাতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশংকা করা হচ্ছে। বাড়িঘর, রাস্তাঘাট, কালভার্ট, বাঁধ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সবখানেই এখন শুধু গভীর ক্ষতচিহ্ন। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গ্রামীণ ও আঞ্চলিক মহাসড়ক। পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন রুটে প্রায় ৫৬ কিলোমিটার রেলপথ ডুবে যাওয়ায় এ পথের তিন রুটে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১৩ কিলোমিটার।

পূর্বাঞ্চলের ১১ জেলার যেদিকে চোখ যায়, সর্বত্রই ক্ষতচিহ্ন। স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যা যে কতটা তাণ্ডব চালিয়েছে এসব জেলার, দিনদিন তা স্পষ্ট হচ্ছে। রাস্তাÑঘাট, বসত-ভিটা যেমন বিলীন হয়েছে, তেমনি নষ্ট হয়েছে ক্ষেত-খামার, ফসলি জমি। কালভার্ট, নদীর বাঁধ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সবখানেই এখন শুধু গভীর ক্ষতচিহ্ন।

অনেক জায়গায় পানি নেমে গেলেও জীবন সেখানে এখনও ছন্নছাড়া। মানুষ বাড়ি ফিরছে ঠিকই, তবে থাকার মতো অবস্থা নেই। অনেক জায়গায় ছাদ আর দেয়াল ছাড়া কিছুই নেই। অবস্থাসম্পন্ন অনেক পরিবারও বন্যার কারণে হয়েছে ঘরছাড়া।

কুমিল্লায় গোমতী নদীর পানি শুক্রবার সকালে স্বাভাবিক ধারায় প্রবাহিত হচ্ছে। নদীর বুড়বুড়িয়ায় বাঁধ দিয়ে পানি প্রবেশ কমেছে। এতে বুড়িচং, ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার পানি কমে বন্যার উন্নতি হয়েছে। লাকসাম, মনোহরগঞ্জ ও চৌদ্দগ্রামের পরিস্থিতিও উন্নতির দিকে।

নোয়াখালীতে অনেক ঘরবাড়ি, দোকানপাট এখনও পানির নিচে। আশ্রয়কেন্দ্রে থাকা মানুষের ভোগান্তি দিনদিন বাড়ছে। খাবার সংকট, বিভিন্ন রোগ-বালাইয়ের প্রকোপ বাড়ায় তাদের ভোগান্তি এখন চরমে। মৌলভীবাজারে সবকটি নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। রাজনগর, কমলগঞ্জসহ বিভিন্ন উপজেলার নিুাঞ্চলের পানি কমেছে। তবে হাওর বেষ্টিত নিুাঞ্চলে কিছু কিছু আশ্রয় কেন্দ্রে এখনও অনেকে অবস্থান করছে অনেকে।

এদিকে, প্রবল বন্যার কারণে রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের ৫৬ কিলোমিটার রেলপথ পানিতে ডুবে যায়। এতে তিন রুটের ১৩ কিলোমিটার রেলপথ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত রেলপথ মেরামতে কাজ শুরু করছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।

বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের সবশেষ তথ্য বলছে, দেশেল সব নদীর পানি কমে বিপদসীমার নিচে নেমে এসেছে। ফলে বন্যা পরিস্থিতির এখন ক্রমান্বয়ে উন্নতি হবে। আবহাওয়া অফিসও বলছে, আগামী কদিন বৃষ্টি কম হবে বন্যা কবলিত এলাকায়।