ঢাকা ১১:১৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে আনুষ্ঠানিক আসন পেলো ফিলিস্তিন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৮:৫৪:৫৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩১ অগাস্ট ২০২৪
  • / ৩৬০ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

৭৯তম অধিবেশন সামনে রেখে প্রথমবারের মতো জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে আনুষ্ঠানিক আসন পেলো ফিলিস্তিন। এদিকে, গাজায় পোলিও’র বিস্তার বাড়তে থাকায় প্রথম দফায় আগামীকাল (রোববার, ১ সেপ্টেম্বর) থেকে সাড়ে ছয় লাখের বেশি শিশুকে টিকা দেয়ার কাজ শুরু করবে জাতিসংঘ। সেইসঙ্গে, টিকা কর্মসূচি সামনে রেখে উপত্যকাটিতে শুরু হতে যাচ্ছে সীমিত পরিসরে যুদ্ধবিরতি। যদিও, যুদ্ধের মধ্যে জটিল এ কর্মসূচির সাফল্য নিয়ে বাড়ছে শঙ্কা।

ইসরাইলি ভূখণ্ড লক্ষ্য করে ছোঁড়া একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্রে আলোকোজ্জ্বল রাতের আকাশ। লেবানন থেকে এসব ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরাইলের সেনাবাহিনী। তাদের আগ্রাসন অব্যাহত আছে অবরুদ্ধ গাজা, পশ্চিম তীর, পূর্ব জেরুজালেমেও।

যুদ্ধের মধ্যেই গাজায় টাইপ টু পোলিও ভাইরাসে আক্রান্ত শিশুর শরীর অবশ হয়ে যাওয়ার খবর মেলে গেলো সপ্তাহে। সংক্রামক বলে ২৫ বছরে প্রথমবার এ রোগ শনাক্তে উদ্বেগ ছড়াচ্ছে সব মহলে।

পোলিও’র বিস্তার ঠেকাতে দ্রুত টিকাদানের উদ্যোগ নেয়া হলেও ১১ মাসের যুদ্ধে ধ্বংসস্তূপে রূপ নেয়া গাজায় এ কর্মসূচির জটিলতা উদ্বেগের বড় কারণ। টিকাদান কর্মসূচি সফল করতে চার সপ্তাহের মধ্যে উপত্যকার অন্তত ৯০ শতাংশ শিশুকে দু’বার টিকা দিতে হবে। ইসরাইলি আগ্রাসনের মধ্যে নির্দিষ্ট কয়েকটি এলাকায় প্রতিদিন অস্ত্রবিরতির আট ঘণ্টার মধ্যে যা টিকা দেয়ার, দিয়ে ফেলতে হবে। রোববার থেকে শুরু হতে যাওয়া কর্মসূচির আওতায় ১০ বছরের কমবয়সী সাড়ে ছয় লাখ শিশুকে টিকা দেয়াই মূল লক্ষ্য।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ফিলিস্তিন অঞ্চলের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা রিক পিপারকর্ন বলেন, ‘গাজায় ১২ লাখ ৬০ হাজার ডোজ টিকা, টিকা বহনে ৫০০ যান, টিকার তাপমাত্রা ধরে রাখার ব্যবস্থা- সব চলে গেছে। শিগগিরই আরও চার লাখ অতিরিক্ত ডোজ পৌঁছে দেয়া হবে। দুই হাজার ১৮০ জনের বেশি স্বাস্থ্যকর্মী ও মাঠকর্মীকে টিকাদান এবং কর্মসূচির বিষয়ে মানুষকে সচেতন করার প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে।’

শিশুদের পোলিও টিকাদান কার্যক্রমের জন্য ইসরাইল ও হামাস সাময়িক অস্ত্রবিরতিতে সম্মত হলেও অতীতে অস্ত্রবিরতি লঙ্ঘনের ইতিহাসের কারণে কর্মসূচির সাফল্য নিয়ে বাড়াছে শঙ্কা। মলের মাধ্যমে ছড়ানো অত্যন্ত সংক্রামক পোলিও ভাইরাসে পাঁচ বছরের কমবয়সী শিশুরা আক্রান্ত হয়, যা দেহের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ স্থায়ীভাবে বিকল করা থেকে শুরু করে প্যারালাইসিস, এমনকি মৃত্যুরও কারণ হতে পারে। কোনো চিকিৎসা নেই বলে টিকাই রোগ প্রতিরোধের সবচেয়ে কার্যকর ও একমাত্র সমাধান। টিকাদান কর্মসূচির জন্য ৫০ লাখ ডলার অনুদান দিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত।

এদিকে, অব্যাহত সংঘাতের মধ্যেই জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৯তম অধিবেশনে প্রথমবারের মতো আনুষ্ঠানিক আসন পেতে যাচ্ছে ফিলিস্তিন। ফিলিস্তিনের জাতিসংঘ সদস্যপদ পুনর্বিবেচনা এবং অধিকার বৃদ্ধির অনুমোদন চেয়ে গেলো মে মাসে পাস হওয়া প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে মিললো এ সুযোগ।

নিউজটি শেয়ার করুন

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে আনুষ্ঠানিক আসন পেলো ফিলিস্তিন

আপডেট সময় : ০৮:৫৪:৫৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩১ অগাস্ট ২০২৪

৭৯তম অধিবেশন সামনে রেখে প্রথমবারের মতো জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে আনুষ্ঠানিক আসন পেলো ফিলিস্তিন। এদিকে, গাজায় পোলিও’র বিস্তার বাড়তে থাকায় প্রথম দফায় আগামীকাল (রোববার, ১ সেপ্টেম্বর) থেকে সাড়ে ছয় লাখের বেশি শিশুকে টিকা দেয়ার কাজ শুরু করবে জাতিসংঘ। সেইসঙ্গে, টিকা কর্মসূচি সামনে রেখে উপত্যকাটিতে শুরু হতে যাচ্ছে সীমিত পরিসরে যুদ্ধবিরতি। যদিও, যুদ্ধের মধ্যে জটিল এ কর্মসূচির সাফল্য নিয়ে বাড়ছে শঙ্কা।

ইসরাইলি ভূখণ্ড লক্ষ্য করে ছোঁড়া একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্রে আলোকোজ্জ্বল রাতের আকাশ। লেবানন থেকে এসব ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরাইলের সেনাবাহিনী। তাদের আগ্রাসন অব্যাহত আছে অবরুদ্ধ গাজা, পশ্চিম তীর, পূর্ব জেরুজালেমেও।

যুদ্ধের মধ্যেই গাজায় টাইপ টু পোলিও ভাইরাসে আক্রান্ত শিশুর শরীর অবশ হয়ে যাওয়ার খবর মেলে গেলো সপ্তাহে। সংক্রামক বলে ২৫ বছরে প্রথমবার এ রোগ শনাক্তে উদ্বেগ ছড়াচ্ছে সব মহলে।

পোলিও’র বিস্তার ঠেকাতে দ্রুত টিকাদানের উদ্যোগ নেয়া হলেও ১১ মাসের যুদ্ধে ধ্বংসস্তূপে রূপ নেয়া গাজায় এ কর্মসূচির জটিলতা উদ্বেগের বড় কারণ। টিকাদান কর্মসূচি সফল করতে চার সপ্তাহের মধ্যে উপত্যকার অন্তত ৯০ শতাংশ শিশুকে দু’বার টিকা দিতে হবে। ইসরাইলি আগ্রাসনের মধ্যে নির্দিষ্ট কয়েকটি এলাকায় প্রতিদিন অস্ত্রবিরতির আট ঘণ্টার মধ্যে যা টিকা দেয়ার, দিয়ে ফেলতে হবে। রোববার থেকে শুরু হতে যাওয়া কর্মসূচির আওতায় ১০ বছরের কমবয়সী সাড়ে ছয় লাখ শিশুকে টিকা দেয়াই মূল লক্ষ্য।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ফিলিস্তিন অঞ্চলের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা রিক পিপারকর্ন বলেন, ‘গাজায় ১২ লাখ ৬০ হাজার ডোজ টিকা, টিকা বহনে ৫০০ যান, টিকার তাপমাত্রা ধরে রাখার ব্যবস্থা- সব চলে গেছে। শিগগিরই আরও চার লাখ অতিরিক্ত ডোজ পৌঁছে দেয়া হবে। দুই হাজার ১৮০ জনের বেশি স্বাস্থ্যকর্মী ও মাঠকর্মীকে টিকাদান এবং কর্মসূচির বিষয়ে মানুষকে সচেতন করার প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে।’

শিশুদের পোলিও টিকাদান কার্যক্রমের জন্য ইসরাইল ও হামাস সাময়িক অস্ত্রবিরতিতে সম্মত হলেও অতীতে অস্ত্রবিরতি লঙ্ঘনের ইতিহাসের কারণে কর্মসূচির সাফল্য নিয়ে বাড়াছে শঙ্কা। মলের মাধ্যমে ছড়ানো অত্যন্ত সংক্রামক পোলিও ভাইরাসে পাঁচ বছরের কমবয়সী শিশুরা আক্রান্ত হয়, যা দেহের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ স্থায়ীভাবে বিকল করা থেকে শুরু করে প্যারালাইসিস, এমনকি মৃত্যুরও কারণ হতে পারে। কোনো চিকিৎসা নেই বলে টিকাই রোগ প্রতিরোধের সবচেয়ে কার্যকর ও একমাত্র সমাধান। টিকাদান কর্মসূচির জন্য ৫০ লাখ ডলার অনুদান দিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত।

এদিকে, অব্যাহত সংঘাতের মধ্যেই জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৯তম অধিবেশনে প্রথমবারের মতো আনুষ্ঠানিক আসন পেতে যাচ্ছে ফিলিস্তিন। ফিলিস্তিনের জাতিসংঘ সদস্যপদ পুনর্বিবেচনা এবং অধিকার বৃদ্ধির অনুমোদন চেয়ে গেলো মে মাসে পাস হওয়া প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে মিললো এ সুযোগ।