ঢাকা ০৫:৫৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

আমরা ৮৩টি সুপারিশ করেছি : কর্নেল অলি

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৯:২০:০৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩১ অগাস্ট ২০২৪
  • / ৩৫৭ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) প্রেসিডেন্ট ড. কর্নেল (অব.) অলি আহমেদ বলেছেন, এলডিপির পক্ষ থেকে আমরা ৮৩টি সুপারিশ করেছি। এগুলো দলীয় কোনো উপকারের জন্য না, রাজনৈতিক ফায়দার জন্য না। আমাদের ব্যক্তিগত কোনো সুবিধার জন্য না।

আজ (শনিবার) বিকেলে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, স্বৈরাচারী সরকার অতীতে ছিল। ফ্যাসিবাদী কায়দায় পরিচালিত হতো। জনগণের মানবাধিকার ছিল না, স্বাধীনতা ছিল না।

অলি আহমেদ বলেন, আমরা ৮৩টি সুপারিশ করেছি। আর বলেছি যে, অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কারের জন্য যা যা প্রয়োজন, বা নিয়মিত রুটিন কাজের জন্য প্রয়োজন, গ্রহণ করবেন। বাকিগুলো গ্রহণ করার প্রয়োজন নেই।

তিনি বলেন, আমাদের মূল লক্ষ্য হলো একটা পরিচ্ছন্ন বাংলাদেশ। দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ, চাঁদাবাজ মুক্ত বাংলাদেশ। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশকে আমরা চাঁদাবাজ মুক্ত করতে পারিনি। স্বৈরাচার মুক্ত হয়েছে, চাঁদাবাজ মুক্ত এখনো হয়নি। এখনও কোর্ট কাচারিতে ন্যায় বিচার হচ্ছে না। সাধারণ মানুষ যতদিন পারতো ন্যায়বিচার পাবো না, ততদিন পর্যন্ত এই স্বাধীনতার কোনো মূল্য নেই। প্রত্যেক মানুষকে বুঝতে হবে যে আমি একটা স্বাধীন দেশের নাগরিক। সেই বিবেচনা রেখে আমরা ৮৩টি প্রস্তাব দিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, জামায়াতকে যদি ছোট তুচ্ছ কারণে তাদের নিবন্ধন বাতিল করা যায়, আমাদের হাজার ছেলে-মেয়েদের হত্যা করার জন্য, ১৫ বছরে আরও কয়েক হাজার গুম করার জন্য তাদেরটার (আওয়ামী লীগ) কেন বাতিল হবে না? তাদের বাতিল হওয়া অত্যন্ত প্রয়োজন। বাতিল না হলে আগামীতেও স্বৈরাচারের জন্ম হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আমরা ৮৩টি সুপারিশ করেছি : কর্নেল অলি

আপডেট সময় : ০৯:২০:০৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩১ অগাস্ট ২০২৪

লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) প্রেসিডেন্ট ড. কর্নেল (অব.) অলি আহমেদ বলেছেন, এলডিপির পক্ষ থেকে আমরা ৮৩টি সুপারিশ করেছি। এগুলো দলীয় কোনো উপকারের জন্য না, রাজনৈতিক ফায়দার জন্য না। আমাদের ব্যক্তিগত কোনো সুবিধার জন্য না।

আজ (শনিবার) বিকেলে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, স্বৈরাচারী সরকার অতীতে ছিল। ফ্যাসিবাদী কায়দায় পরিচালিত হতো। জনগণের মানবাধিকার ছিল না, স্বাধীনতা ছিল না।

অলি আহমেদ বলেন, আমরা ৮৩টি সুপারিশ করেছি। আর বলেছি যে, অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কারের জন্য যা যা প্রয়োজন, বা নিয়মিত রুটিন কাজের জন্য প্রয়োজন, গ্রহণ করবেন। বাকিগুলো গ্রহণ করার প্রয়োজন নেই।

তিনি বলেন, আমাদের মূল লক্ষ্য হলো একটা পরিচ্ছন্ন বাংলাদেশ। দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ, চাঁদাবাজ মুক্ত বাংলাদেশ। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশকে আমরা চাঁদাবাজ মুক্ত করতে পারিনি। স্বৈরাচার মুক্ত হয়েছে, চাঁদাবাজ মুক্ত এখনো হয়নি। এখনও কোর্ট কাচারিতে ন্যায় বিচার হচ্ছে না। সাধারণ মানুষ যতদিন পারতো ন্যায়বিচার পাবো না, ততদিন পর্যন্ত এই স্বাধীনতার কোনো মূল্য নেই। প্রত্যেক মানুষকে বুঝতে হবে যে আমি একটা স্বাধীন দেশের নাগরিক। সেই বিবেচনা রেখে আমরা ৮৩টি প্রস্তাব দিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, জামায়াতকে যদি ছোট তুচ্ছ কারণে তাদের নিবন্ধন বাতিল করা যায়, আমাদের হাজার ছেলে-মেয়েদের হত্যা করার জন্য, ১৫ বছরে আরও কয়েক হাজার গুম করার জন্য তাদেরটার (আওয়ামী লীগ) কেন বাতিল হবে না? তাদের বাতিল হওয়া অত্যন্ত প্রয়োজন। বাতিল না হলে আগামীতেও স্বৈরাচারের জন্ম হবে।