রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) গ্রেপ্তারি পরোয়ানা মাথায় নিয়েই মঙ্গোলিয়া সফরে যাচ্ছেন। আগামী ৩ সেপ্টেম্বর তাঁর মঙ্গোলিয়া সফরে যাওয়ার কথা রয়েছে। তাঁর এই সফরকে ঘিরে সারা বিশ্বে শুরু হয়েছে নানা আলোচনা।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, আইসিসির গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর এই প্রথম কোনও আইসিসির সদস্য রাষ্ট্রে সফরে যাচ্ছেন পুতিন। রুশ প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে ২০২৩ সালের মার্চে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে হেগ-ভিত্তিক আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)। ইউক্রেনীয় শিশুদের রাশিয়া এবং রাশিয়া-নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে অবৈধভাবে নির্বাসনের অভিযোগে অভিযুক্ত করে তার বিরুদ্ধে এই আদেশ দেয়া হয়।
আইসিসির সদস্য রাষ্ট্র মঙ্গোলিয়া। সুতরাং মঙ্গোলিয়ার পা রাখার পর পুতিন গ্রেপ্তার হতে পারেন কি না, তা নিয়ে জল্পনা চলছে। কারণ রোম চুক্তি অনুযায়ী আইসিসি সদস্যরা তাদের মাটিতে পা রাখলে সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের আটক করতে বাধ্য, যাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। তবে আদালত কোনো দেশকে এ বিষয়ে চাপ প্রয়োগ করতে পারে না।
আইসিসির মুখপাত্র ড. ফাদি এল-আবদুল্লাহ বিবিসিকে বলেন, ‘সদস্যদেশ হিসেবে আইসিসির বিধান মেনে চলতে দায়বদ্ধ মঙ্গোলিয়ার কর্মকর্তারা। তবে অপরিহার্যভাবে এর অর্থ এই নয় যে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করতেই হবে।’
গতকাল শুক্রবার ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, ‘পুতিনের মঙ্গোলিয়া সফর নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন নই। মঙ্গোলিয়ার বন্ধুদের সঙ্গে আমাদের চমৎকার যোগাযোগ রয়েছে।’
এ দিকে পুতিনকে গ্রেপ্তার করতে মঙ্গোলিয়ার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ইউক্রেন। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘ইউক্রেনীয় পক্ষ আশা করে যে মঙ্গোলিয়া সরকার ভ্লাদিমির পুতিন যে একজন যুদ্ধাপরাধী এই সত্যটি সম্পর্কে সচেতন থাকবে। আমরা মঙ্গোলিয়ান কর্তৃপক্ষকে বাধ্যতামূলক আন্তর্জাতিক গ্রেপ্তারি পরোয়ানা কার্যকর করার আহ্বান জানাচ্ছি।’ তবে মঙ্গোলিয়া সরকার এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করেনি।
বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, মঙ্গোলিয়ার প্রেসিডেন্ট উখনা খুরেলসুখের আমন্ত্রণে মঙ্গোলিয়া সফরে যাচ্ছেন পুতিন।