অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে আগামী ৪ সেপ্টম্বর বুধবার থেকে অভিযান পরিচালনা করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
আজ রোববার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আগামী ৪ সেপ্টেম্বর থেকে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান পরিচালনা করা হবে।
এরআগে গত ২৬ আগস্ট উপদেষ্টা জানিয়েছিলেন, বিভিন্ন থানা থেকে লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধারে শিগগিরই অভিযান পরিচালনা করা হবে। এ ছাড়া বিগত সরকারের আমলে কিছু লাইসেন্স করা অস্ত্রের অপব্যবহার করা হয়েছে। সেগুলোর বিষয়েও পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
গত ৫ আগস্ট ছাত্র জনতার তীব্র গণ আন্দোলনের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। এরপর থেকে ক্ষমতাচ্যুত সরকারের মন্ত্রী–প্রতিমন্ত্রী–সংসদ সদস্যরা আত্মগোপনে আছেন। অনেকেই বিভিন্ন হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন।
এ অবস্থায় গত ২৫ আগস্ট ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত বেসামরিক জনগণকে দেওয়া আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স স্থগিত করা হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত যাঁদের লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে, তাঁদের ৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে গোলাবারুদসহ আগ্নেয়াস্ত্র সংশ্লিষ্ট থানায় জমা দিতে হবে। দেশে এখন বৈধ অস্ত্রের সংখ্যা ৫০ হাজারের মতো বলে জানা গেছে।
এদিকে, পুলিশের লুট হওয়া অস্ত্র ও গোলাবারুদ ইতোমধ্যে কিছু উদ্ধার করা হয়েছে। লুণ্ঠিত অবশিষ্ট অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
শনিবার পর্যন্ত উদ্ধার হয়েছে লুট হওয়া ৩ হাজার ৮৭২টি অস্ত্র ও প্রায় তিন লাখ গোলাবারুদ। এছাড়া ২ লাখ ৮৬ হাজার ২১৬ রাউন্ড গুলি, ২২ হাজার ২০১টি টিয়ার শেল এবং ২ হাজার ১৩৯ সাউন্ড গ্রেনেড উদ্ধার করা হয়েছে।
অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনের পর লুট হওয়া অস্ত্র ফেরত দিতে আহ্বান জানিয়ে আসছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর।