০১:৩৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৩ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সাধারণ ক্ষমার সুযোগে মালয়েশিয়া থেকে ফিরছেন প্রবাসীরা

  • অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট : ০৩:১১:১৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • ২০ দেখেছেন

অবৈধ অভিবাসীদের সাধারণ ক্ষমার আওতায় প্রত্যাবাসন কর্মসূচি চলছে মালয়েশিয়ায়। এই সুযোগে জরিমানা দিয়ে নিজ দেশে ফিরছেন সেখানে অবৈধভাবে বসবাসরত বহু প্রবাসী। তালিকায় আছেন নতুন করে মালয়েশিয়া যাওয়া কর্মীরাও। প্রবাসীদের অভিযোগ, দীর্ঘদিনের কর্মহীনতা ও নানা শোষণ-নির্যাতনের শিকার হয়ে দেশে ফিরতে বাধ্য হয়েছেন তারা।

স্বপ্নের দেশ মালয়েশিয়া গেলেই মিলবে কাজ। মুছবে দারিদ্রতা, ঘুচবে কষ্ট। এমন স্বপ্নে আসা বহু যুবক ফিরছেন চোখের পানি নিয়ে। সহায় সম্বল বিক্রির পাশাপাশি ঋণের বোঝা নিয়ে এখন নিঃস্ব বহু অবৈধ প্রবাসী। তালিকায় আছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরাও। আর তাই এই মুহূর্তে দেশে ফেরাটাই একমাত্র প্রত্যাশা তাদের।

চলতি বছরের জুনে বন্ধ হওয়া মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে প্রবেশ করেছেন ৪ লাখ ৭২ হাজারেরও বেশি বাংলাদেশি। দেশটির পক্ষ থেকে শূন্য অভিবাসন ব্যয়ের কথা বলা হলেও বাংলাদেশের প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় থেকে নির্ধারিত ব্যয় প্রায় ৭৯ হাজার টাকা। যা নানা হাত বদলে জনপ্রতি পৌঁছায় সাড়ে ৩ লাখ থেকে শুরু করে প্রায় ৬ লাখ টাকা পর্যন্ত । অভিযোগ রয়েছে, হাত বদলের বড় অংশ যায় সিন্ডিকেটের ১০০টি রিক্রুটিং এজেন্সির পকেটে।

সাধারণ ক্ষমার আওতায় মালয়েশিয়ার অবৈধ অভিবাসীদের জন্য চলমান প্রত্যাবাসন কর্মসূচির সুযোগে দেশে ফিরছেন অন্যান্য দেশের নাগরিকদের পাশাপাশি প্রবাসী বাংলাদেশিরাও। যা চলবে আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত। এ দলে আছেন নতুন করে আসা বহু প্রবাসীও। যথাযথ কাজ না পাওয়া, দীর্ঘদিনের বেকারত্বসহ কর্মস্থলে শোষণ-নির্যাতন থেকে বাঁচতে কোনোরকম জীবন নিয়ে দেশে ফিরছেন বলেও জানান তারা। দেশে ফেরার খরচ মেটাতে শেষ সম্বলটুকুও বিক্রি করেছেন কেউ কেউ।

প্রবাসীদের একজন বলেন, ‘ক্লিনারের কাজের কথায় এনে আমাকে কনস্ট্রাকশন কাজের একটা ফ্যাক্টরিতে কাজ ধরিয়েছে। এই কাজটা খুবই কষ্টের।’ যাওয়া আসা দিয়ে ১৫ লাখ টাকা খরচ। দেনা করে এখানে এসেছি।

দেশটিতে অবস্থানরত প্রবাসীরা বলছেন, বিপুল অর্থ ব্যয় করেও প্রতারণার শিকার হওয়ার অন্যতম কারণ সিন্ডিকেট বাণিজ্য ও সরকারের উদাসীনতা। পাশাপাশি কর্মসংস্থান নিশ্চিত না করে কর্মীদের মালয়েশিয়া পাঠানোয় তৈরি হয়েছে বড় ধরনের জটিলতা।

মালয়েশিয়ায় প্রবাসী বাংলাদেশি ব্যবসায়ী মো. রুবেল আলম বলেন, ‘কর্মসংস্থানের চিন্তা না করে শুধুমাত্র খাওয়ার চিন্তা করে এখানে লোক পাঠিয়েছে। যারা ফলে এসব লোকের পরিবার একদম ধ্বংস হয়ে গিয়েছে।’

স্বপ্নভঙ্গের ক্ষত আর ঋণের বোঝা নিয়ে ফেরা প্রবাসীদের প্রত্যাশা মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার দুর্নীতিতে জড়িতদের আইনের আওতায় আনবে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার।

সাধারণ ক্ষমার সুযোগে মালয়েশিয়া থেকে ফিরছেন প্রবাসীরা

আপডেট : ০৩:১১:১৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪

অবৈধ অভিবাসীদের সাধারণ ক্ষমার আওতায় প্রত্যাবাসন কর্মসূচি চলছে মালয়েশিয়ায়। এই সুযোগে জরিমানা দিয়ে নিজ দেশে ফিরছেন সেখানে অবৈধভাবে বসবাসরত বহু প্রবাসী। তালিকায় আছেন নতুন করে মালয়েশিয়া যাওয়া কর্মীরাও। প্রবাসীদের অভিযোগ, দীর্ঘদিনের কর্মহীনতা ও নানা শোষণ-নির্যাতনের শিকার হয়ে দেশে ফিরতে বাধ্য হয়েছেন তারা।

স্বপ্নের দেশ মালয়েশিয়া গেলেই মিলবে কাজ। মুছবে দারিদ্রতা, ঘুচবে কষ্ট। এমন স্বপ্নে আসা বহু যুবক ফিরছেন চোখের পানি নিয়ে। সহায় সম্বল বিক্রির পাশাপাশি ঋণের বোঝা নিয়ে এখন নিঃস্ব বহু অবৈধ প্রবাসী। তালিকায় আছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরাও। আর তাই এই মুহূর্তে দেশে ফেরাটাই একমাত্র প্রত্যাশা তাদের।

চলতি বছরের জুনে বন্ধ হওয়া মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে প্রবেশ করেছেন ৪ লাখ ৭২ হাজারেরও বেশি বাংলাদেশি। দেশটির পক্ষ থেকে শূন্য অভিবাসন ব্যয়ের কথা বলা হলেও বাংলাদেশের প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় থেকে নির্ধারিত ব্যয় প্রায় ৭৯ হাজার টাকা। যা নানা হাত বদলে জনপ্রতি পৌঁছায় সাড়ে ৩ লাখ থেকে শুরু করে প্রায় ৬ লাখ টাকা পর্যন্ত । অভিযোগ রয়েছে, হাত বদলের বড় অংশ যায় সিন্ডিকেটের ১০০টি রিক্রুটিং এজেন্সির পকেটে।

সাধারণ ক্ষমার আওতায় মালয়েশিয়ার অবৈধ অভিবাসীদের জন্য চলমান প্রত্যাবাসন কর্মসূচির সুযোগে দেশে ফিরছেন অন্যান্য দেশের নাগরিকদের পাশাপাশি প্রবাসী বাংলাদেশিরাও। যা চলবে আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত। এ দলে আছেন নতুন করে আসা বহু প্রবাসীও। যথাযথ কাজ না পাওয়া, দীর্ঘদিনের বেকারত্বসহ কর্মস্থলে শোষণ-নির্যাতন থেকে বাঁচতে কোনোরকম জীবন নিয়ে দেশে ফিরছেন বলেও জানান তারা। দেশে ফেরার খরচ মেটাতে শেষ সম্বলটুকুও বিক্রি করেছেন কেউ কেউ।

প্রবাসীদের একজন বলেন, ‘ক্লিনারের কাজের কথায় এনে আমাকে কনস্ট্রাকশন কাজের একটা ফ্যাক্টরিতে কাজ ধরিয়েছে। এই কাজটা খুবই কষ্টের।’ যাওয়া আসা দিয়ে ১৫ লাখ টাকা খরচ। দেনা করে এখানে এসেছি।

দেশটিতে অবস্থানরত প্রবাসীরা বলছেন, বিপুল অর্থ ব্যয় করেও প্রতারণার শিকার হওয়ার অন্যতম কারণ সিন্ডিকেট বাণিজ্য ও সরকারের উদাসীনতা। পাশাপাশি কর্মসংস্থান নিশ্চিত না করে কর্মীদের মালয়েশিয়া পাঠানোয় তৈরি হয়েছে বড় ধরনের জটিলতা।

মালয়েশিয়ায় প্রবাসী বাংলাদেশি ব্যবসায়ী মো. রুবেল আলম বলেন, ‘কর্মসংস্থানের চিন্তা না করে শুধুমাত্র খাওয়ার চিন্তা করে এখানে লোক পাঠিয়েছে। যারা ফলে এসব লোকের পরিবার একদম ধ্বংস হয়ে গিয়েছে।’

স্বপ্নভঙ্গের ক্ষত আর ঋণের বোঝা নিয়ে ফেরা প্রবাসীদের প্রত্যাশা মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার দুর্নীতিতে জড়িতদের আইনের আওতায় আনবে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার।