ঢাকা ০১:২৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

আন্দোলন আর ধর্মঘটে স্থবির ইসরাইলের অর্থনীতি

আর্ন্তজাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০১:৪৯:৫২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / ৩৬১ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

গাজায় বন্দি নাগরিকদের জীবিত ফিরিয়ে আনতে না পারা আর অস্ত্রবিরতি কার্যকরে ব্যর্থতার জেরে নজিরবিহীন তোপের মুখে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী। দেশজুড়ে বয়ে যাওয়া গণবিক্ষোভের জোয়ার দমনে আইনের আশ্রয়ও নিয়েছেন বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু। ধর্মঘটে ইতি টানতে শ্রম আদালত নির্দেশ দিলেও এতে ক্ষোভের আগুন নেভে নাকি আরও জ্বলে ওঠে, সেটাই দেখার অপেক্ষা। সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) আন্দোলন আর ধর্মঘটে কার্যত স্থবির ছিল ইসরাইলের অর্থনীতি।

গাজায় ১১ মাস ধরে চলমান যুদ্ধের শুরু থেকেই ইসরাইলি নাগরিকদের তোপের মুখে দেশটির সরকার। গেল ক’মাসে প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রায় নিয়মিত ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। অস্ত্রবিরতি কার্যকরে ব্যর্থতার জেরে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় গণআন্দোলনের আঁচ পৌঁছে গেছে প্রধানমন্ত্রীর মসনদ পর্যন্ত।

অবরুদ্ধ উপত্যকায় শাসকদল হামাস ও অন্যান্য ফিলিস্তিনি সশস্ত্র সংগঠনের হাতে বন্দি পাঁচ ইসরাইলিসহ ছয়জনের মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় বিক্ষোভ ছড়িয়েছে পুরো ইসরাইল জুড়ে। সঙ্গে যোগ হয়েছে সাধারণ ধর্মঘট। ছয় বন্দিকে হামাস হত্যা করেছে বলে ইসরাইলি সেনাবাহিনী দাবি করলেও জনতার ক্ষোভের কেন্দ্রে প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু আর তার মন্ত্রিসভা। কারণ, বারবার অস্ত্রবিরতি কার্যকরে ব্যর্থ না হলে হয়তো বন্দিরা মুক্তি পেয়ে ঘরে ফিরতেন।

বিক্ষোভকারীদের একজন বলেন, ‘আমরা শোকস্তব্ধ। ছয় বন্দির মৃত্যু আমাদের স্তব্ধ করে দিয়েছে। তাদের জীবিত ফিরে আসার কথা ছিল। তারা জীবিত ফিরে আসতে পারতেন। এখনই চুক্তি করতে হবে। বাকিদের জীবিত ফিরিয়ে আনতে হবে।’

দেশের সর্ববৃহৎ শ্রমিক ইউনিয়নের ডাকে সোমবার দিনভর সাধারণ ধর্মঘটে স্থবির ছিল পুরো ইসরাইল। সংগঠনটির সদস্যসংখ্যা প্রায় আট লাখ। ধর্মঘটে সমর্থন জানায় ইসরাইলের বেসরকারি খাতের শীর্ষ দুই শতাধিক শিল্প ও প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের উদ্যোক্তা ও কর্মজীবীরা। বন্ধ ছিল দেশটির প্রধান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। সরকারি অনেক অফিস-আদালতও বন্ধ ছিল এদিন। দেশের সবচেয়ে বড় অর্থনৈতিক অঞ্চল রাজধানী তেল আবিবসহ বিভিন্ন পৌরসভা, শিক্ষকদের কেন্দ্রীয় সংগঠন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রধানদের সংগঠনগুলোও একযোগে সমর্থন জানায় এই শাটডাউনে। সড়ক-রেলসহ পরিবহন খাত, শপিং মলও বাদ ছিল না। সবমিলিয়ে কার্যত অচল ছিল ইসরাইলি অর্থনীতির বিশাল একটি অংশ।

ইসরাইলের সর্ববৃহৎ শ্রমিক ইউনিয়নের প্রধান আর্নন বার-ডেভিড বলেন, ‘অর্থনৈতিক শাটডাউন কোনো সহজ ঘটনা না। গত ১১ মাস ধরে কতোটা দায়িত্ববোধের পরিচয় আমরা দিয়েছি, আপনারা জানেন। কিন্তু আর নয়।’

বাকি প্রায় শ’খানেক বন্দিকে জীবিত ফিরিয়ে আনতে সরকারের কৌশল পরিবর্তনের দাবিতে রাজপথেও সোচ্চার ছিলেন লাখ লাখ মানুষ। বন্দিদের জীবিত ফিরিয়ে আনার নৈতিক দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতার অভিযোগে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি জানান ইসরাইল বার অ্যাসোসিয়েশনের আইনজীবীরা। বন্দি ও নিখোঁজ ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যরাও গুরুত্বপূর্ণ সড়ক, কেন্দ্রীয় ও আঞ্চলিক সরকারি দপ্তর, এমনকি প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের প্রবেশপথ অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষেও জড়ায় পুলিশ। এর আগে রোববারও দেশের বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভে যোগ দেয় প্রায় পাঁচ লাখ মানুষ। এদের মধ্যে তিন লাখই ছিলেন রাজধানীর বাসিন্দা, গেলো অক্টোবরে গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসন শুরুর পর থেকে প্রতি সাপ্তাহিক ছুটিতে নিয়মিত গণবিক্ষোভ চলছে প্রায় এক বছর ধরে।

বিক্ষোভকারীদের আরেকজন বলেন, ‘নিরীহ মানুষগুলোকে জীবিত ফিরিয়ে আনতে আমাদের সরকার কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। জীবন বাঁচানোর সুযোগ পেয়েও সে সুযোগ তারা নেয়নি। দিনশেষে সবাই ব্যর্থ, তাদের সবার হাতে রক্তের দাগ লেগে আছে।’

এমন পরিস্থিতিতেও হামাসের বিরুদ্ধে গাজায় অভিযান চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তে অনড় নেতানিয়াহু; যে উপত্যকায় চলমান যুদ্ধেই ৪০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরাইলি বাহিনী, যার ৬০ শতাংশের বেশি নারী আর শিশু। রক্তের বন্যা নেতানিয়াহুর নিজ দেশের মানুষকে স্পর্শ করলেও নমনীয়তা ছুঁতে পারেনি পাঁচ বারের প্রধানমন্ত্রী ও সবচেয়ে দীর্ঘমেয়াদি এ শাসককে। উল্টো বিক্ষোভ দমনে আইনের আশ্রয় নিয়েছেন ৭৪ বছর বয়সী এ প্রধানমন্ত্রী। ইসরাইলের শ্রম আদালত ধর্মঘটে ইতি টানার নির্দেশ দিলেও এতে ক্ষোভের আগুন নেভে নাকি আরও জ্বলে ওঠে, সেটাই এখন দেখার অপেক্ষা।

এদিকে, গাজায় মানবিক সংকট তীব্রতর হতে থাকায় গেল কয়েক সপ্তাহে বারবার থমকে গেছে কাতার ও মিশরের মধ্যস্থতায় অস্ত্রবিরতির আলোচনা। ইসরাইলের ভেতরে-বাইরে অভিযোগ জোরালো হচ্ছে, রাজনৈতিক স্বার্থ উদ্ধারে অস্ত্রবিরতির আলোচনায় উদ্ভট সব শর্ত জুড়ে দিচ্ছেন নেতানিয়াহু।

যুদ্ধকবলিত অঞ্চলে পোলিও রোগের বিস্তার বাড়তে থাকায় জাতিসংঘের টিকাদান কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে ক্ষণস্থায়ী অস্ত্রবিরতিতে সম্মতি দিলেও দু’দিন পরই সম্মতি দেননি বলে উল্টে যান কট্টর ইহুদিবাদী এ নেতা। মিশরের সঙ্গে গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় সীমান্তে ফিলাডেলফি করিডোর আর গাজাকে দু’ভাহে ভাগ করে ফেলা ইসরাইলি সেনাবাহিনীর কথিত নাৎজারিম করিডোর থেকে সেনা প্রত্যাহারেও রাজি নন তিনি। বন্দিবিনিময় চুক্তির অংশ হিসেবে বয়োবৃদ্ধ ফিলিস্তিনি বন্দিদেরও নেতানিয়াহু মুক্তি দিতে চান না বলে অভিযোগ হামাসের।

নিউজটি শেয়ার করুন

আন্দোলন আর ধর্মঘটে স্থবির ইসরাইলের অর্থনীতি

আপডেট সময় : ০১:৪৯:৫২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪

গাজায় বন্দি নাগরিকদের জীবিত ফিরিয়ে আনতে না পারা আর অস্ত্রবিরতি কার্যকরে ব্যর্থতার জেরে নজিরবিহীন তোপের মুখে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী। দেশজুড়ে বয়ে যাওয়া গণবিক্ষোভের জোয়ার দমনে আইনের আশ্রয়ও নিয়েছেন বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু। ধর্মঘটে ইতি টানতে শ্রম আদালত নির্দেশ দিলেও এতে ক্ষোভের আগুন নেভে নাকি আরও জ্বলে ওঠে, সেটাই দেখার অপেক্ষা। সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) আন্দোলন আর ধর্মঘটে কার্যত স্থবির ছিল ইসরাইলের অর্থনীতি।

গাজায় ১১ মাস ধরে চলমান যুদ্ধের শুরু থেকেই ইসরাইলি নাগরিকদের তোপের মুখে দেশটির সরকার। গেল ক’মাসে প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রায় নিয়মিত ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। অস্ত্রবিরতি কার্যকরে ব্যর্থতার জেরে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় গণআন্দোলনের আঁচ পৌঁছে গেছে প্রধানমন্ত্রীর মসনদ পর্যন্ত।

অবরুদ্ধ উপত্যকায় শাসকদল হামাস ও অন্যান্য ফিলিস্তিনি সশস্ত্র সংগঠনের হাতে বন্দি পাঁচ ইসরাইলিসহ ছয়জনের মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় বিক্ষোভ ছড়িয়েছে পুরো ইসরাইল জুড়ে। সঙ্গে যোগ হয়েছে সাধারণ ধর্মঘট। ছয় বন্দিকে হামাস হত্যা করেছে বলে ইসরাইলি সেনাবাহিনী দাবি করলেও জনতার ক্ষোভের কেন্দ্রে প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু আর তার মন্ত্রিসভা। কারণ, বারবার অস্ত্রবিরতি কার্যকরে ব্যর্থ না হলে হয়তো বন্দিরা মুক্তি পেয়ে ঘরে ফিরতেন।

বিক্ষোভকারীদের একজন বলেন, ‘আমরা শোকস্তব্ধ। ছয় বন্দির মৃত্যু আমাদের স্তব্ধ করে দিয়েছে। তাদের জীবিত ফিরে আসার কথা ছিল। তারা জীবিত ফিরে আসতে পারতেন। এখনই চুক্তি করতে হবে। বাকিদের জীবিত ফিরিয়ে আনতে হবে।’

দেশের সর্ববৃহৎ শ্রমিক ইউনিয়নের ডাকে সোমবার দিনভর সাধারণ ধর্মঘটে স্থবির ছিল পুরো ইসরাইল। সংগঠনটির সদস্যসংখ্যা প্রায় আট লাখ। ধর্মঘটে সমর্থন জানায় ইসরাইলের বেসরকারি খাতের শীর্ষ দুই শতাধিক শিল্প ও প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের উদ্যোক্তা ও কর্মজীবীরা। বন্ধ ছিল দেশটির প্রধান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। সরকারি অনেক অফিস-আদালতও বন্ধ ছিল এদিন। দেশের সবচেয়ে বড় অর্থনৈতিক অঞ্চল রাজধানী তেল আবিবসহ বিভিন্ন পৌরসভা, শিক্ষকদের কেন্দ্রীয় সংগঠন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রধানদের সংগঠনগুলোও একযোগে সমর্থন জানায় এই শাটডাউনে। সড়ক-রেলসহ পরিবহন খাত, শপিং মলও বাদ ছিল না। সবমিলিয়ে কার্যত অচল ছিল ইসরাইলি অর্থনীতির বিশাল একটি অংশ।

ইসরাইলের সর্ববৃহৎ শ্রমিক ইউনিয়নের প্রধান আর্নন বার-ডেভিড বলেন, ‘অর্থনৈতিক শাটডাউন কোনো সহজ ঘটনা না। গত ১১ মাস ধরে কতোটা দায়িত্ববোধের পরিচয় আমরা দিয়েছি, আপনারা জানেন। কিন্তু আর নয়।’

বাকি প্রায় শ’খানেক বন্দিকে জীবিত ফিরিয়ে আনতে সরকারের কৌশল পরিবর্তনের দাবিতে রাজপথেও সোচ্চার ছিলেন লাখ লাখ মানুষ। বন্দিদের জীবিত ফিরিয়ে আনার নৈতিক দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতার অভিযোগে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি জানান ইসরাইল বার অ্যাসোসিয়েশনের আইনজীবীরা। বন্দি ও নিখোঁজ ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যরাও গুরুত্বপূর্ণ সড়ক, কেন্দ্রীয় ও আঞ্চলিক সরকারি দপ্তর, এমনকি প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের প্রবেশপথ অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষেও জড়ায় পুলিশ। এর আগে রোববারও দেশের বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভে যোগ দেয় প্রায় পাঁচ লাখ মানুষ। এদের মধ্যে তিন লাখই ছিলেন রাজধানীর বাসিন্দা, গেলো অক্টোবরে গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসন শুরুর পর থেকে প্রতি সাপ্তাহিক ছুটিতে নিয়মিত গণবিক্ষোভ চলছে প্রায় এক বছর ধরে।

বিক্ষোভকারীদের আরেকজন বলেন, ‘নিরীহ মানুষগুলোকে জীবিত ফিরিয়ে আনতে আমাদের সরকার কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। জীবন বাঁচানোর সুযোগ পেয়েও সে সুযোগ তারা নেয়নি। দিনশেষে সবাই ব্যর্থ, তাদের সবার হাতে রক্তের দাগ লেগে আছে।’

এমন পরিস্থিতিতেও হামাসের বিরুদ্ধে গাজায় অভিযান চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তে অনড় নেতানিয়াহু; যে উপত্যকায় চলমান যুদ্ধেই ৪০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরাইলি বাহিনী, যার ৬০ শতাংশের বেশি নারী আর শিশু। রক্তের বন্যা নেতানিয়াহুর নিজ দেশের মানুষকে স্পর্শ করলেও নমনীয়তা ছুঁতে পারেনি পাঁচ বারের প্রধানমন্ত্রী ও সবচেয়ে দীর্ঘমেয়াদি এ শাসককে। উল্টো বিক্ষোভ দমনে আইনের আশ্রয় নিয়েছেন ৭৪ বছর বয়সী এ প্রধানমন্ত্রী। ইসরাইলের শ্রম আদালত ধর্মঘটে ইতি টানার নির্দেশ দিলেও এতে ক্ষোভের আগুন নেভে নাকি আরও জ্বলে ওঠে, সেটাই এখন দেখার অপেক্ষা।

এদিকে, গাজায় মানবিক সংকট তীব্রতর হতে থাকায় গেল কয়েক সপ্তাহে বারবার থমকে গেছে কাতার ও মিশরের মধ্যস্থতায় অস্ত্রবিরতির আলোচনা। ইসরাইলের ভেতরে-বাইরে অভিযোগ জোরালো হচ্ছে, রাজনৈতিক স্বার্থ উদ্ধারে অস্ত্রবিরতির আলোচনায় উদ্ভট সব শর্ত জুড়ে দিচ্ছেন নেতানিয়াহু।

যুদ্ধকবলিত অঞ্চলে পোলিও রোগের বিস্তার বাড়তে থাকায় জাতিসংঘের টিকাদান কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে ক্ষণস্থায়ী অস্ত্রবিরতিতে সম্মতি দিলেও দু’দিন পরই সম্মতি দেননি বলে উল্টে যান কট্টর ইহুদিবাদী এ নেতা। মিশরের সঙ্গে গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় সীমান্তে ফিলাডেলফি করিডোর আর গাজাকে দু’ভাহে ভাগ করে ফেলা ইসরাইলি সেনাবাহিনীর কথিত নাৎজারিম করিডোর থেকে সেনা প্রত্যাহারেও রাজি নন তিনি। বন্দিবিনিময় চুক্তির অংশ হিসেবে বয়োবৃদ্ধ ফিলিস্তিনি বন্দিদেরও নেতানিয়াহু মুক্তি দিতে চান না বলে অভিযোগ হামাসের।