ঢাকা ০৮:২৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

পান বিক্রেতা থেকে মাফিয়া ডন হাজী সেলিম

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৩:২৮:৪২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / ৩৬২ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

পুরান ঢাকার চকবাজার এলাকায় একচ্ছত্র আধিপত্য স্থানীয় সাবেক সংসদ সদস্য হাজী সেলিম ও তার পরিবারের। তিনি যেন এ এলাকার অঘোষিত বাদশা। যেখানে চলে আসছিল এই পরিবারের নিজস্ব শাসনব্যবস্থা। সোয়ারীঘাটের পান বিক্রেতা থেকে হয়ে উঠেন মাফিয়া ডন হাজী সেলিম। তার বিরুদ্ধে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের জায়গা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জমি, ভবন, মার্কেট দখলের অভিযোগ রয়েছে। ঢাকার আন্ডার ওয়ার্ল্ড আর আওয়ামী লীগের রাজনীতির দাপটে চলেছে তার দাপট-বাণিজ্য।

হাজি সেলিম একসময় ফেরী করে পান বিক্রি করতেন। বিভিন্ন সময়ে ক্ষমতাসীনদের আশ্রয়-প্রশ্রয়কে কাজে লাগিয়ে পুরান ঢাকার সোয়ারীঘাটের পানের ফেরিওয়ালা থেকে হাজী সেলিম হয়ে উঠেছেন মদিনা গ্রুপের মালিক। ঢাকার আন্ডারওয়ার্ল্ড কানেকশনে গত তিন দশকে আওয়ামী লীগর পৃষ্ঠপোষকতা পেয়েছেন হাজি সেলিম।

খুলনার কুখ্যাত খুনী এরশাদ শিকদারের সহচরও ছিলেন তার ব্যবসায়িক পার্টনার। বিএনপির রাজনীতিতে পাত্তা না পেয়ে আওয়ামী লীগে যোগ দেয় হাজী সেলিম ও তার পরিবার। ব্যবসার আড়ালে জবর দখলে হাজার হাজার কোটি টাকার সম্পদ গড়ে তুলেছেন।

সেলিমের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কার্যক্রম, জমি দখল, মার্কেট দখলের অভিযোগ গণমাধ্যম বা গোয়েন্দা প্রতিবেদনে উঠে আসে। মদিনা গ্রুপের আড়ালে অন্যের সম্পদ কেড়ে নেওয়ায় পারদর্শী হাজী সেলিমের দুই সন্তান ইরফান সেলিম ও সোলায়মান সেলিমের দাপটে অতীষ্ঠ পুরান ঢাকার মানুষ। সন্তানসহ হাজি সেলিম নানা অভিযোগে গ্রেফতার হলেও রাজনৈতিক ক্ষমতা দেখিয়ে মুক্তি পেয়ে যায়। পতিত আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ের পৃষ্ঠপোষকতায় রাজনৈতিক নেতা হয়ে ওঠেন হাজী সেলিম।

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতাকে হত্যার মামলায় গ্রেপ্তার করা হয় হাজি সেলিমকে। আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থী খালিদ হাসান সাইফুল্লাহ হত্যার ঘটনায় লালবাগ থানায় করা মামলায় পাঁচ দিনের রিমান্ডে আছেন।

হাজি সেলিম ও তাঁর স্ত্রী গুলশান আরার বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন এবং সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে ২০০৭ সালে মামলা করে দুদক। ২০০৮ সালে মামলায় রায়ে তাঁর ১৩ বছরের কারাদণ্ড দেয় বিচারিক আদালত। ২০২২ সালে ওই মামলায় ১০ বছরের কারাদণ্ড বহাল রেখে রায় দেন হাইকোর্ট। পরে আদালতে আত্মসমর্পণ করলে কিছুদিন কারাভোগের পর ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে উচ্চ আদালত তাঁকে জামিন দেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

পান বিক্রেতা থেকে মাফিয়া ডন হাজী সেলিম

আপডেট সময় : ০৩:২৮:৪২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪

পুরান ঢাকার চকবাজার এলাকায় একচ্ছত্র আধিপত্য স্থানীয় সাবেক সংসদ সদস্য হাজী সেলিম ও তার পরিবারের। তিনি যেন এ এলাকার অঘোষিত বাদশা। যেখানে চলে আসছিল এই পরিবারের নিজস্ব শাসনব্যবস্থা। সোয়ারীঘাটের পান বিক্রেতা থেকে হয়ে উঠেন মাফিয়া ডন হাজী সেলিম। তার বিরুদ্ধে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের জায়গা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জমি, ভবন, মার্কেট দখলের অভিযোগ রয়েছে। ঢাকার আন্ডার ওয়ার্ল্ড আর আওয়ামী লীগের রাজনীতির দাপটে চলেছে তার দাপট-বাণিজ্য।

হাজি সেলিম একসময় ফেরী করে পান বিক্রি করতেন। বিভিন্ন সময়ে ক্ষমতাসীনদের আশ্রয়-প্রশ্রয়কে কাজে লাগিয়ে পুরান ঢাকার সোয়ারীঘাটের পানের ফেরিওয়ালা থেকে হাজী সেলিম হয়ে উঠেছেন মদিনা গ্রুপের মালিক। ঢাকার আন্ডারওয়ার্ল্ড কানেকশনে গত তিন দশকে আওয়ামী লীগর পৃষ্ঠপোষকতা পেয়েছেন হাজি সেলিম।

খুলনার কুখ্যাত খুনী এরশাদ শিকদারের সহচরও ছিলেন তার ব্যবসায়িক পার্টনার। বিএনপির রাজনীতিতে পাত্তা না পেয়ে আওয়ামী লীগে যোগ দেয় হাজী সেলিম ও তার পরিবার। ব্যবসার আড়ালে জবর দখলে হাজার হাজার কোটি টাকার সম্পদ গড়ে তুলেছেন।

সেলিমের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কার্যক্রম, জমি দখল, মার্কেট দখলের অভিযোগ গণমাধ্যম বা গোয়েন্দা প্রতিবেদনে উঠে আসে। মদিনা গ্রুপের আড়ালে অন্যের সম্পদ কেড়ে নেওয়ায় পারদর্শী হাজী সেলিমের দুই সন্তান ইরফান সেলিম ও সোলায়মান সেলিমের দাপটে অতীষ্ঠ পুরান ঢাকার মানুষ। সন্তানসহ হাজি সেলিম নানা অভিযোগে গ্রেফতার হলেও রাজনৈতিক ক্ষমতা দেখিয়ে মুক্তি পেয়ে যায়। পতিত আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ের পৃষ্ঠপোষকতায় রাজনৈতিক নেতা হয়ে ওঠেন হাজী সেলিম।

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতাকে হত্যার মামলায় গ্রেপ্তার করা হয় হাজি সেলিমকে। আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থী খালিদ হাসান সাইফুল্লাহ হত্যার ঘটনায় লালবাগ থানায় করা মামলায় পাঁচ দিনের রিমান্ডে আছেন।

হাজি সেলিম ও তাঁর স্ত্রী গুলশান আরার বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন এবং সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে ২০০৭ সালে মামলা করে দুদক। ২০০৮ সালে মামলায় রায়ে তাঁর ১৩ বছরের কারাদণ্ড দেয় বিচারিক আদালত। ২০২২ সালে ওই মামলায় ১০ বছরের কারাদণ্ড বহাল রেখে রায় দেন হাইকোর্ট। পরে আদালতে আত্মসমর্পণ করলে কিছুদিন কারাভোগের পর ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে উচ্চ আদালত তাঁকে জামিন দেন।