গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর থেকে ৪ সেপ্টেম্বর থেকে মামলার ভার কমতে শুরু করেছে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার। ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। সেদিনই রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সেনাপ্রধান, নৌপ্রধান ও বিমান বাহিনীর প্রধান এবং দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় বঙ্গভবনে। সেই বৈঠকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে মুক্তির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এর পর দিন ৬ আগস্ট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা একটি প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন সংবিধানের ৪৯ অনুচ্ছেদের ক্ষমতাবলে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার দণ্ড মওকুফ করেছেন। এতে করে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা থেকে মুক্তি মেলে খালেদা জিয়ার।
ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার দণ্ড মওকুফপূর্বক মুক্তির বিষয়ে আইন ও বিচার বিভাগ, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মতামতের আলোকে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৪৯ অনুচ্ছেদে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে মহামান্য রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশের সুট্রিম কোর্ট হাই কোর্ট বিভাগের ক্রিমিনাল আপিল নং-১৬৭৬/১৮ (বিশেষ আদালত নং-৫, ঢাকা এর বিশেষ মামলা নং ১৭/২০১৭ থেকে উদ্ভূত) এবং বিশেষ আদালত নং-৫, ঢাকা এর বিশেষ মামলা নং-১৮/২০১৭ এ প্রদত্ত দণ্ডাদেশ মওকুফপূর্বক নির্দেশক্রমে মুক্তি প্রদান করা হল।’
এরপর গত ২১ আগস্ট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা খালেদা জিয়া গুলশানের বাসায় ফেরেন।
সবশেষ গত ৩ সেপ্টেম্বর মানহানির ৫টি মামলা থেকে খালাস পান খালেদা জিয়া। অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুল হকের আদালত চারটি মামলা থেকে খালেদা জিয়াকে খালাসের আদেশ দেন। এছাড়া অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেনের আদালত একটি মামলায় তাঁকে খালাস দেন।