ঢাকা ১২:০৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

অবশেষে জয় পেল ফুটবলের সবচেয়ে বাজে দলটি

স্পোর্টস ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১১:৫৪:৫২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / ৩৫৪ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সান মারিনো, চারদিকে ইতালি বেষ্টিত ৬১ বর্গ কিলোমিটারের দেশ। নিয়মিত ফুটবলও খেলে তারা। তবে ফিফা র‍্যাঙ্কিংয়ের সবেচেয় বাজেদল তারা। সান মারিনো নিজেদের ফুটবল ইতিহাসে সবশেষ ম্যাচ জেতে ২০০৪ সালে। এরপর থেকে টানা ১৪০ ম্যাচ হেরেছে দলটি।

চলমান উয়েফা নেশনস লিগে এসে অবশেষে অধরা জয়ের দেখা পেল সান মারিনো। লিখটেনস্টাইনকে ১-০ গোলে হারিয়ে ছেদ টানল ১৪০ ম্যাচ পরাজিত থাকার রেকর্ডে। অবাক করা বিষয়, ২০০৪ সালে নিজেদের সবশেষ ম্যাচটাও তারা জেতে এই লিখটেনস্টাইনের বিপক্ষে। ম্যাচের ৫৩ মিনিটে নিকো সেনসোলির গোলে জয় নিশ্চিত করে সান মারিনো।

সান মারিনো বিশ্বের পঞ্চম ছোট দেশ। যাবে ঘিরে আছে ইতালি। দেশটির জনসংখ্যাও মাত্র ৩৩ হাজার। এমনকি ৬১ বর্গকিলোমিটার আকৃতির দেশটি আকারে ইংল্যান্ডের শহর ম্যানচেস্টারের অর্ধেক। ফিফা র‍্যাঙ্কিংয়ে তাকালে দেখা যাবে এটি ফুটবল বিশ্বের সবচেয়ে বাজে দল। ২০৫টি ম্যাচের মধ্যে ১৯৬টি ম্যাচেই হেরেছে তারা।

১৯ বছর বয়েসী সেনসোলির গোলের পেছনেও অবশ্য ভাগ্যের হাত আছে। ইতালিয়ান ফুটবলে চতুর্থ বিভাগে সেমি-প্রফেশনাল লিগের ক্লাবে খেলেন তিনি। ম্যাচে লিখটেনস্টাইন ডিফেন্ডার সান্দ্রো ওয়েজারের ভুলে বল পেয়ে তা থেকে সহজ গোল করেন সান মারিনোর এই মিডফিল্ডার।

গোলের পরপরই ছুটে আসেন সতীর্থরা। পুরো স্টেডিয়ামে তখন রীতিমতো গর্জন চলছে। এরপরই পুরোপুরি ডিফেন্সিভ খেলা উপহার দেয় সান মারিনো। ৯০ মিনিটের পর যোগ করা হয় আরও ৮ মিনিট। সেখানেও লিখটেনস্টাইন গোল করতে পারেনি।

ম্যাচ শেষের বাঁশি বাজতেই উল্লাসে ফেটে পড়ে সান মারিনোর মাঠ স্তাদিও অলিম্পিকো। ফুটবলারদের মধ্যেও চলতে থাকে উল্লাস। আর মাঠেই গড়িয়ে পড়ে লিখটেনস্টাইনের ফুটবলাররা। ১৯৯ র‍্যাঙ্কিংয়ে থাকা দলটাও ব্যাপক হতাশ এমন এক হারে। তারাও যে জয়ের মুখ দেখেনি গত ৪০ ম্যাচে।

নিউজটি শেয়ার করুন

অবশেষে জয় পেল ফুটবলের সবচেয়ে বাজে দলটি

আপডেট সময় : ১১:৫৪:৫২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সান মারিনো, চারদিকে ইতালি বেষ্টিত ৬১ বর্গ কিলোমিটারের দেশ। নিয়মিত ফুটবলও খেলে তারা। তবে ফিফা র‍্যাঙ্কিংয়ের সবেচেয় বাজেদল তারা। সান মারিনো নিজেদের ফুটবল ইতিহাসে সবশেষ ম্যাচ জেতে ২০০৪ সালে। এরপর থেকে টানা ১৪০ ম্যাচ হেরেছে দলটি।

চলমান উয়েফা নেশনস লিগে এসে অবশেষে অধরা জয়ের দেখা পেল সান মারিনো। লিখটেনস্টাইনকে ১-০ গোলে হারিয়ে ছেদ টানল ১৪০ ম্যাচ পরাজিত থাকার রেকর্ডে। অবাক করা বিষয়, ২০০৪ সালে নিজেদের সবশেষ ম্যাচটাও তারা জেতে এই লিখটেনস্টাইনের বিপক্ষে। ম্যাচের ৫৩ মিনিটে নিকো সেনসোলির গোলে জয় নিশ্চিত করে সান মারিনো।

সান মারিনো বিশ্বের পঞ্চম ছোট দেশ। যাবে ঘিরে আছে ইতালি। দেশটির জনসংখ্যাও মাত্র ৩৩ হাজার। এমনকি ৬১ বর্গকিলোমিটার আকৃতির দেশটি আকারে ইংল্যান্ডের শহর ম্যানচেস্টারের অর্ধেক। ফিফা র‍্যাঙ্কিংয়ে তাকালে দেখা যাবে এটি ফুটবল বিশ্বের সবচেয়ে বাজে দল। ২০৫টি ম্যাচের মধ্যে ১৯৬টি ম্যাচেই হেরেছে তারা।

১৯ বছর বয়েসী সেনসোলির গোলের পেছনেও অবশ্য ভাগ্যের হাত আছে। ইতালিয়ান ফুটবলে চতুর্থ বিভাগে সেমি-প্রফেশনাল লিগের ক্লাবে খেলেন তিনি। ম্যাচে লিখটেনস্টাইন ডিফেন্ডার সান্দ্রো ওয়েজারের ভুলে বল পেয়ে তা থেকে সহজ গোল করেন সান মারিনোর এই মিডফিল্ডার।

গোলের পরপরই ছুটে আসেন সতীর্থরা। পুরো স্টেডিয়ামে তখন রীতিমতো গর্জন চলছে। এরপরই পুরোপুরি ডিফেন্সিভ খেলা উপহার দেয় সান মারিনো। ৯০ মিনিটের পর যোগ করা হয় আরও ৮ মিনিট। সেখানেও লিখটেনস্টাইন গোল করতে পারেনি।

ম্যাচ শেষের বাঁশি বাজতেই উল্লাসে ফেটে পড়ে সান মারিনোর মাঠ স্তাদিও অলিম্পিকো। ফুটবলারদের মধ্যেও চলতে থাকে উল্লাস। আর মাঠেই গড়িয়ে পড়ে লিখটেনস্টাইনের ফুটবলাররা। ১৯৯ র‍্যাঙ্কিংয়ে থাকা দলটাও ব্যাপক হতাশ এমন এক হারে। তারাও যে জয়ের মুখ দেখেনি গত ৪০ ম্যাচে।