১১:২৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাজারে কিছুটা কমেছে সবজির দাম

  • অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট : ০২:৫৫:৩৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • ১৭ দেখেছেন

সপ্তাহের ব্যবধানে রাজধানীর বাজারে বেড়েছে চাল, মুরগি ও ডিমের দাম। আগের দামেই বিক্রির হচ্ছে আলু ও পেঁয়াজের দাম। শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, সরু চালের দাম তেমন না বাড়লেও কেজিতে প্রায় ২ টাকা বেড়েছে মোটা চালের দাম। প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫২ থেকে ৫৬ টাকায়। সরু চালের কেজি মিলছে ৭০ টাকার ওপরে। বন্যায় ত্রাণ হিসেবে মোটা চালে বিতরণে চাহিদা বাড়ায় দাম বেড়েছে বলে দাবি বিক্রেতাদের।

রাজধানীর এসব বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সপ্তাহ ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগি কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে ১৭৫ থেকে ১৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে, যা গত সপ্তাহে ১৬৫ থেকে ১৭৫ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। বাজারগুলোতে সোনালি মুরগি কেজিতে ২০ টাকা কমে ২৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। সোনালি হাইব্রিড কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে ২৪০ টাকা, দেশি মুরগি ৩০ টাকা কমে ৫২০ টাকা, লেয়ার লাল মুরগি ১০ টাকা কমে ৩০০ টাকা ও সাদা লেয়ার কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে ২৯০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

সরবরাহ বাড়ায় সব ধরনের সবজির দাম স্থিতিশীল রয়েছে। বাজারগুলোতে গ্রীষ্মকালীন সবজি কচুরমুখী কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকা, বেগুন ৬০ থেকে ৮০ টাকা, করলা ৬০ থেকে ৮০ টাকা, কাঁকরোল ৭০ টাকা, পটল ৪০ থেকে ৫০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা, পেঁপে ৩০ থেকে ৪০ টাকা, ধুন্দল ৫০ থেকে ৬০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, কচুর লতি ৭০ থেকে ৮০ টাকা, ঝিঙা ৬০ টাকা, শসা ৪০ থেকে ৫০ টাকা ও কাঁচামরিচ ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

বাজারগুলোতে শীতকালীন সবজি সিম ২০০ টাকা কেজি, ফুলকপি ৪০ থেকে ৫০ টাকা পিস, পাকা টমেটো প্রকার ভেদে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা ও গাজর ১৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

এসব বাজারে লেবুর হালি ১৫ থেকে ৩০ টাকা, ধনেপাতা কেজি ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া কলা হালি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা। তবে গত সপ্তাহের চেয়ে কেজিতে ৮০ টাকা কমে ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে কাঁচামরিচ। বাজারগুলোতে লাল শাক ১৫ টাকা আঁটি, লাউ শাক ৪০ টাকা, মুলা শাক ১৫ টাকা, পালং শাক ১৫ থেকে ২০ টাকা, কলমি শাক ১০ টাকা, পুঁই শাক ৩০ টাকা ও ডাটা শাক ২০ টাকা আঁটি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে। বাজারগুলোতে সপ্তাহ ব্যবধানে দেশি পেঁয়াজ ১২০ টাকা, আদা ২৮০ টাকা, রসুন ২২০ টাকা ও আলু কেজি ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

মাহমুদুল হাসান নামে এক ক্রেতা বলেন, দুয়েকটি সবজি বাদে সব সবজির দাম ৫০-৬০ টাকার ওপরে। সবজির এত দাম হলে স্বস্তি মেলে কী করে? আমরা তো ভেবেছিলাম নতুন সরকার ঠিকঠাকভাবে বাজার নিয়ন্ত্রণ করবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কিছুই হচ্ছে না। বাজার এখনও সিন্ডিকেটের দখলেই রয়ে গেছে।

তিনি বলেন, সবজিতে বাজার ভরপুর। অথচ দামের বেলায় মনে হয় এগুলো বিরল প্রজাতির সবজি। দু-তিন রকম সবজি কিনলেই এক-দেড়শো টাকার ওপরে চলে যাচ্ছে। মাছ-মাংস বাদ দিয়ে সবজি কিনে খাবো তারও উপায় নেই। আমাদের মতো নিম্ন আয়ের মানুষ খুব কষ্টে আছে।

এদিকে সবজির দাম প্রসঙ্গে মধ্যবাড্ডা কাঁচাবাজারের সবজি বিক্রেতা নাহিদুল হোসেন বলেন, বাজারে তুলনামূলক সবজির দাম কিছুটা কমই। তবে যেগুলো নতুন এসেছে সেগুলোর দাম একটু বেশি। আজকের বাজারে শিম বিক্রি করছি ২০০ টাকা কেজি দরে। গত সপ্তাহে শিম ছিলই না। শিমসহ ২/৪ আইটেমের সবজির বর্তমানে মৌসুম না হওয়ায় কিছুটা বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। আবার নতুন করে এসব সবজি উঠতে শুরু করলে এগুলোরও দাম কমে যাবে।

এসব বাজারে গরুর মাংস প্রতি কেজি ৬৫০ থেকে ৭৮০ টাকা, গরুর কলিজা ৭৮০ টাকা, গরুর মাথার মাংস ৪৫০ টাকা, গরুর বট ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা ও খাসির মাংস প্রতি কেজি ১১৫০-১২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজারগুলোতে এক ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৫৫ টাকা, হাঁসের ডিম ১৮০ টাকা ও দেশি মুরগির ডিমের হালি ৮৫ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।

ইলিশের সরবরাহ বাড়ায় সপ্তাহ ব্যবধানে বাজারগুলোতে সব ধরনের মাছের দাম কমেছে। এসব বাজারগুলোতে ৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ মাছ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯০০ থেকে ১০০০ টাকা, ৭০০ থেকে ৮০০ গ্রামের মাছ ১২০০ থেকে ১৩০০ টাকা, ১ কেজি ওজনের ইলিশ ১৪০০ থেকে ১৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি শিং মাছ চাষের (আকারভেদে) বিক্রি হচ্ছে ৩২০ থেকে ৪৫০ টাকা, প্রতি কেজি রুই মাছের দাম বেড়ে (আকারভেদে) ৩৩০ থেকে ৫০০ টাকা, দেশি মাগুর মাছ ৮০০ থেকে ১১০০ টাকা, মৃগেল মাছ ৩২০ থেকে ৪০০ টাকা, চাষের পাঙাস ২০০ থেকে ২২০ টাকা, চিংড়ি প্রতি কেজি ৭০০ থেকে ১৪০০ টাকা, বোয়াল মাছ প্রতি কেজি ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা, কাতল মাছ ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, পোয়া মাছ ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা, পাবদা মাছ ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, তেলাপিয়া ২২০ টাকা, কই মাছ ২২০ থেকে ২৩০ টাকা, মলা ৫৫০ টাকা, বাতাসি টেংরা ১৩০০ টাকা, টেংরা মাছ ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, কাচকি মাছ ৫০০ টাকা, পাঁচ মিশালি মাছ ২২০ টাকায়, রূপচাঁদা ১২০০ টাকা, বাইম মাছ ১২০০ থেকে ১৪০০ টাকা, দেশি কই ১২০০ টাকা, সোল মাছ ৬০০ থেকে ৯০০ টাকা, আইড় মাছ ৬৫০ থেকে ৮০০ টাকা, বেলে মাছ ৮০০ টাকা ও কাইকলা মাছ ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

এসব বাজারে ৫ কেজি সোয়াবিন তেল ৮১৮ টাকা, দেশি মশুর ডাল ১৪০ টাকা, মিনিকেট চাল ৭৫ থেকে ৭৮ টাকা ও নাজির শাইল ৭৫ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

ঢাকার বাইরে বিভিন্ন জেলার বাজারগুলোতে সবজির দাম কিছুটা কমেছে। মুরগি ও অন্যান্য মাংসের দাম অনেকটা স্থিতিশীল রয়েছে। কিছু জেলায় কাঁচামরিচ ও পেঁয়াজের দাম উঠানামা করছে। সেই সঙ্গে এর মধ্যে রয়েছে মাছ ও মাংসের দামও। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে প্রতিনিধিদের পাঠানো সংবাদে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

চট্টগ্রাম
চট্টগ্রামে সপ্তাহের ব্যবধানে কিছুটা কমেছে সবজি ও ডিমের দাম। কমতির দিকে মুরগি দামও। সরবরাহ ঠিক থাকায় দাম স্থিতিশীল আছে বলছেন বিক্রেতারা। আজ শুক্রবার নগরীর বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সরবরাহ বাড়ায় সব ধরনের সবজির দাম কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা কমেছে। তবে এই মুহূর্তে যে দাম সেটিও ক্রয়ক্ষমতার বাইরে। ডজনে ২০ থেকে ৩০ টাকা কমে ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৫০-১৫৫ টাকায়। দেশি মুরগির দাম স্থিতিশীল থাকলেও কিছুটা উঠানামা করছে ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির দাম। দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৫০০ টাকায়। ব্রয়লার ১৮০ টাকা এবং ২৮০ টাকায়।

রাজশাহী
রাজশাহীর বাজারে কমেছে কাঁচামরিচ ও পেঁয়াজের দাম। অন্যান্য সবজির দাম রয়েছে অপরিবর্তিত। তবে বেড়েছে ডিম ও ব্রয়লার মুরগির দাম। কাঁচামরিচ কেজিতে ২০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকায়। কেজিতে ১০ টাকা কমে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকা।

একইভাবে পূর্বের দামেই জেলার বাজারগুলোতে আলু বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়। কেজিতে ২০ টাকা কমে আদা বিক্রি হচ্ছে ২০০টাকা কেজি দরে। রসুন কেজিতে ২২০ টাকা, পটল বিক্রি ৩০ টাকা, করলা ৫০ টাকায়, বেগুন ৬০ টাকায়। এদিকে বেড়েছে মুরগির ডিমের দাম। প্রতি ডজনে ১২ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৪৪ টাকায়। কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকা এবং গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ টাকা কেজি দরে। কেজিতে ৫০ টাকা কমে রুইমাছ বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা, কাতল বিক্রি হচ্ছে ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা। সাড়ে ৪০০ টাকার পাবদা বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকা কেজি দরে।

বিক্রেতারা বলছেন, সরবরাহ বেশি থাকায় পেঁয়াজের দাম কমেছে। ক্রেতারা বলছেন, আগের চেয়ে দাম কমলেও অনেক জিনিসের দাম পূর্বের দামে এখনও আসেনি। সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়াসহ বাজারগুলোতে নিয়মিত নজরদারিতে বাড়াতে নতুন সরকারের প্রতি আহ্বান জানান ক্রেতারা।

বরিশাল
বরিশালের বাজারগুলোতে বেড়েছে সব ধরনের মুরগির দাম। প্রতিকেজি মুরগিতে বেড়েছে ১০-২০ টাকা পর্যন্ত। মুরগি খাবার ও বাচ্চার দাম বেড়ে যাওয়ার অজুহাত দিচ্ছেন বিক্রেতারা। জেলার বাজারগুলোতে ব্রয়লার মুরগি কেজিতে ১০-১৫ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৬০-১৬৫ টাকায়। এ ছাড়া সোনালি ১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকায় এবং লেয়ার মুরগি কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকায়।

এদিকে, সবজির বাজারে কাঁচামরিচের কেজি এখনও ২০০ টাকা। অন্যান্য সবজিতেও কিছুটা দাম বেড়েছে। এর মধ্যে টমেটো ১৬০ টাকা, কাঁকরোল ৮০, করলা ৬০, ফুলকপি ৬০, গাজর ১৬০, কাঁচামরিচ ২০০, শসা ৪০, বরবটি ৬০ টাকা। এছাড়া মুদি বাজারে আদার দাম কমলেও পেঁয়াজ ১১০ টাকা, আলু ৫০, প্রতি হালি ডিম ৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

সাধারণ ক্রেতারা বলছেন, বাজার এখনও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। বাজারে সব কিছুর দাম ঊর্ধ্বমুখী। তাই দাম নিয়ন্ত্রণে বাজার মনিটরিং জরুরি।

বগুড়া
বগুড়ায় শাক-সবজি, মাছ, মুরগি ও ডিমের বাজারে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে। তবে, ক্রেতাদের অভিযোগ দাম কমলেও এখনো নাগালের বাইরে। কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ১৬০-২০০ টাকায়, অন্যান্য সবজির মধ্যে করলা ৬০ টাকা, আলু ৫৫, পেঁয়াজ ১০ টাকা কমে ১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গেল সপ্তাহের তুলনায় জেলার আজকের বাজারে প্রতিটি কাঁচা শাক-সবজিতে কেজি প্রতি ১০-১৫ টাকা কমেছে।

বিক্রেতারা জানান, সবজির দাম-দর স্থিতিশীল রয়েছে। গরুর মাংস ৫০ টাকা কমে ৭০০ টাকা। ব্রয়লার মুরগির দাম ১০ টাকা বেড়ে ১৭০ টাকা আর সোনালি মুরগি ২০ টাকা বেড়ে ২৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ডিমের হালি গেল কয়েক দিনের তুলনায় ২ টাকা কমে ৪৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

ক্রেতারা জানান, এখনও ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে আসেনি পণ্যের মূল্য। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে তাদের দাবি, বাজার ব্যবস্থাপনায় কার্যকর ভূমিকা রাখলে আরও সহনীয় করা যাবে।

সিলেট
ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানের পরও অস্থিতিশীল রয়েছে সিলেটের নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের বাজার। সপ্তাহ ঘুরতে না ঘুরতেই সিলেটের বাজারে প্রায় সব ধরনের নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বেড়েছে। বেশিরভাগ সবজির দাম কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।

গত সপ্তাহের তুলনায় এ সপ্তাহে কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়। কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে ঝিঙা বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়। বেড়েছে পটল, ফুলকপি, বাঁধাকপি দামও। এ সপ্তাহে কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে পটল বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকায়, ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১১০ টাকায়।

এদিকে জেলায় দাম বেড়েছে কাঁচামরিচের। সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে কাঁচামরিচের দাম। এ সপ্তাহে কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২২০ টাকায়।

মাংসের দামেও অস্থিতিশীলতা রয়েছে। বয়লার মুরগি প্রতি কেজি ১৭০ টাকা, লাল মুরগি প্রতি পিস ৬২০ টাকা ও সোনালি মুরগি প্রতি পিস ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর গরুর মাংস প্রতি কেজি ৭৫০ থেকে ৭৭০ টাকা ও খাসীর মাংস প্রতি কেজি ৯৫০ থেকে ১০০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

ক্রেতারা বলছেন, প্রতিটি নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দামই চড়া। দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির কারণে পরিবার নিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের। এমন পরিস্থিতিতে নিয়মিত বাজার মনিটরিংয়ের দাবি তাদের।

খুলনা
গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে খুলনার বাজারে কমেছে সবজির দাম। তবে বৃদ্ধি পেয়েছে কাঁচামরিচের দাম। পেঁয়াজ ও রসুনের দাম স্থিতিশীল রয়েছে। খুলনার বাজারে গত সপ্তাহের চেয়ে রসুন কেজিতে ৫০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে ১৬০টাকা থেকে ২০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। বেগুনের দাম কেজিতে ৪০টাকা বৃদ্ধি পেয়ে বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা। এছাড়া বরবটি ঢেড়শ পেঁপে, পটলের দাম কেজিতে ৫ টাকা থেকে ১০ টাকা কমেছে। পেঁয়াজ রসুন আলুর দাম স্থিতিশীল রয়েছে। পেঁয়াজ কেজিতে ১১৫ টাকা, রসুন ১৪০ টাকা এবং আলু ৬০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে কিছুটা কমেছে সবজির দাম

আপডেট : ০২:৫৫:৩৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সপ্তাহের ব্যবধানে রাজধানীর বাজারে বেড়েছে চাল, মুরগি ও ডিমের দাম। আগের দামেই বিক্রির হচ্ছে আলু ও পেঁয়াজের দাম। শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, সরু চালের দাম তেমন না বাড়লেও কেজিতে প্রায় ২ টাকা বেড়েছে মোটা চালের দাম। প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫২ থেকে ৫৬ টাকায়। সরু চালের কেজি মিলছে ৭০ টাকার ওপরে। বন্যায় ত্রাণ হিসেবে মোটা চালে বিতরণে চাহিদা বাড়ায় দাম বেড়েছে বলে দাবি বিক্রেতাদের।

রাজধানীর এসব বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সপ্তাহ ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগি কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে ১৭৫ থেকে ১৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে, যা গত সপ্তাহে ১৬৫ থেকে ১৭৫ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। বাজারগুলোতে সোনালি মুরগি কেজিতে ২০ টাকা কমে ২৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। সোনালি হাইব্রিড কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে ২৪০ টাকা, দেশি মুরগি ৩০ টাকা কমে ৫২০ টাকা, লেয়ার লাল মুরগি ১০ টাকা কমে ৩০০ টাকা ও সাদা লেয়ার কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে ২৯০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

সরবরাহ বাড়ায় সব ধরনের সবজির দাম স্থিতিশীল রয়েছে। বাজারগুলোতে গ্রীষ্মকালীন সবজি কচুরমুখী কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকা, বেগুন ৬০ থেকে ৮০ টাকা, করলা ৬০ থেকে ৮০ টাকা, কাঁকরোল ৭০ টাকা, পটল ৪০ থেকে ৫০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা, পেঁপে ৩০ থেকে ৪০ টাকা, ধুন্দল ৫০ থেকে ৬০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, কচুর লতি ৭০ থেকে ৮০ টাকা, ঝিঙা ৬০ টাকা, শসা ৪০ থেকে ৫০ টাকা ও কাঁচামরিচ ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

বাজারগুলোতে শীতকালীন সবজি সিম ২০০ টাকা কেজি, ফুলকপি ৪০ থেকে ৫০ টাকা পিস, পাকা টমেটো প্রকার ভেদে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা ও গাজর ১৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

এসব বাজারে লেবুর হালি ১৫ থেকে ৩০ টাকা, ধনেপাতা কেজি ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া কলা হালি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা। তবে গত সপ্তাহের চেয়ে কেজিতে ৮০ টাকা কমে ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে কাঁচামরিচ। বাজারগুলোতে লাল শাক ১৫ টাকা আঁটি, লাউ শাক ৪০ টাকা, মুলা শাক ১৫ টাকা, পালং শাক ১৫ থেকে ২০ টাকা, কলমি শাক ১০ টাকা, পুঁই শাক ৩০ টাকা ও ডাটা শাক ২০ টাকা আঁটি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে। বাজারগুলোতে সপ্তাহ ব্যবধানে দেশি পেঁয়াজ ১২০ টাকা, আদা ২৮০ টাকা, রসুন ২২০ টাকা ও আলু কেজি ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

মাহমুদুল হাসান নামে এক ক্রেতা বলেন, দুয়েকটি সবজি বাদে সব সবজির দাম ৫০-৬০ টাকার ওপরে। সবজির এত দাম হলে স্বস্তি মেলে কী করে? আমরা তো ভেবেছিলাম নতুন সরকার ঠিকঠাকভাবে বাজার নিয়ন্ত্রণ করবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কিছুই হচ্ছে না। বাজার এখনও সিন্ডিকেটের দখলেই রয়ে গেছে।

তিনি বলেন, সবজিতে বাজার ভরপুর। অথচ দামের বেলায় মনে হয় এগুলো বিরল প্রজাতির সবজি। দু-তিন রকম সবজি কিনলেই এক-দেড়শো টাকার ওপরে চলে যাচ্ছে। মাছ-মাংস বাদ দিয়ে সবজি কিনে খাবো তারও উপায় নেই। আমাদের মতো নিম্ন আয়ের মানুষ খুব কষ্টে আছে।

এদিকে সবজির দাম প্রসঙ্গে মধ্যবাড্ডা কাঁচাবাজারের সবজি বিক্রেতা নাহিদুল হোসেন বলেন, বাজারে তুলনামূলক সবজির দাম কিছুটা কমই। তবে যেগুলো নতুন এসেছে সেগুলোর দাম একটু বেশি। আজকের বাজারে শিম বিক্রি করছি ২০০ টাকা কেজি দরে। গত সপ্তাহে শিম ছিলই না। শিমসহ ২/৪ আইটেমের সবজির বর্তমানে মৌসুম না হওয়ায় কিছুটা বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। আবার নতুন করে এসব সবজি উঠতে শুরু করলে এগুলোরও দাম কমে যাবে।

এসব বাজারে গরুর মাংস প্রতি কেজি ৬৫০ থেকে ৭৮০ টাকা, গরুর কলিজা ৭৮০ টাকা, গরুর মাথার মাংস ৪৫০ টাকা, গরুর বট ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা ও খাসির মাংস প্রতি কেজি ১১৫০-১২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজারগুলোতে এক ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৫৫ টাকা, হাঁসের ডিম ১৮০ টাকা ও দেশি মুরগির ডিমের হালি ৮৫ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।

ইলিশের সরবরাহ বাড়ায় সপ্তাহ ব্যবধানে বাজারগুলোতে সব ধরনের মাছের দাম কমেছে। এসব বাজারগুলোতে ৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ মাছ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯০০ থেকে ১০০০ টাকা, ৭০০ থেকে ৮০০ গ্রামের মাছ ১২০০ থেকে ১৩০০ টাকা, ১ কেজি ওজনের ইলিশ ১৪০০ থেকে ১৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি শিং মাছ চাষের (আকারভেদে) বিক্রি হচ্ছে ৩২০ থেকে ৪৫০ টাকা, প্রতি কেজি রুই মাছের দাম বেড়ে (আকারভেদে) ৩৩০ থেকে ৫০০ টাকা, দেশি মাগুর মাছ ৮০০ থেকে ১১০০ টাকা, মৃগেল মাছ ৩২০ থেকে ৪০০ টাকা, চাষের পাঙাস ২০০ থেকে ২২০ টাকা, চিংড়ি প্রতি কেজি ৭০০ থেকে ১৪০০ টাকা, বোয়াল মাছ প্রতি কেজি ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা, কাতল মাছ ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, পোয়া মাছ ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা, পাবদা মাছ ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, তেলাপিয়া ২২০ টাকা, কই মাছ ২২০ থেকে ২৩০ টাকা, মলা ৫৫০ টাকা, বাতাসি টেংরা ১৩০০ টাকা, টেংরা মাছ ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, কাচকি মাছ ৫০০ টাকা, পাঁচ মিশালি মাছ ২২০ টাকায়, রূপচাঁদা ১২০০ টাকা, বাইম মাছ ১২০০ থেকে ১৪০০ টাকা, দেশি কই ১২০০ টাকা, সোল মাছ ৬০০ থেকে ৯০০ টাকা, আইড় মাছ ৬৫০ থেকে ৮০০ টাকা, বেলে মাছ ৮০০ টাকা ও কাইকলা মাছ ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

এসব বাজারে ৫ কেজি সোয়াবিন তেল ৮১৮ টাকা, দেশি মশুর ডাল ১৪০ টাকা, মিনিকেট চাল ৭৫ থেকে ৭৮ টাকা ও নাজির শাইল ৭৫ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

ঢাকার বাইরে বিভিন্ন জেলার বাজারগুলোতে সবজির দাম কিছুটা কমেছে। মুরগি ও অন্যান্য মাংসের দাম অনেকটা স্থিতিশীল রয়েছে। কিছু জেলায় কাঁচামরিচ ও পেঁয়াজের দাম উঠানামা করছে। সেই সঙ্গে এর মধ্যে রয়েছে মাছ ও মাংসের দামও। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে প্রতিনিধিদের পাঠানো সংবাদে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

চট্টগ্রাম
চট্টগ্রামে সপ্তাহের ব্যবধানে কিছুটা কমেছে সবজি ও ডিমের দাম। কমতির দিকে মুরগি দামও। সরবরাহ ঠিক থাকায় দাম স্থিতিশীল আছে বলছেন বিক্রেতারা। আজ শুক্রবার নগরীর বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সরবরাহ বাড়ায় সব ধরনের সবজির দাম কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা কমেছে। তবে এই মুহূর্তে যে দাম সেটিও ক্রয়ক্ষমতার বাইরে। ডজনে ২০ থেকে ৩০ টাকা কমে ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৫০-১৫৫ টাকায়। দেশি মুরগির দাম স্থিতিশীল থাকলেও কিছুটা উঠানামা করছে ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির দাম। দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৫০০ টাকায়। ব্রয়লার ১৮০ টাকা এবং ২৮০ টাকায়।

রাজশাহী
রাজশাহীর বাজারে কমেছে কাঁচামরিচ ও পেঁয়াজের দাম। অন্যান্য সবজির দাম রয়েছে অপরিবর্তিত। তবে বেড়েছে ডিম ও ব্রয়লার মুরগির দাম। কাঁচামরিচ কেজিতে ২০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকায়। কেজিতে ১০ টাকা কমে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকা।

একইভাবে পূর্বের দামেই জেলার বাজারগুলোতে আলু বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়। কেজিতে ২০ টাকা কমে আদা বিক্রি হচ্ছে ২০০টাকা কেজি দরে। রসুন কেজিতে ২২০ টাকা, পটল বিক্রি ৩০ টাকা, করলা ৫০ টাকায়, বেগুন ৬০ টাকায়। এদিকে বেড়েছে মুরগির ডিমের দাম। প্রতি ডজনে ১২ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৪৪ টাকায়। কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকা এবং গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ টাকা কেজি দরে। কেজিতে ৫০ টাকা কমে রুইমাছ বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা, কাতল বিক্রি হচ্ছে ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা। সাড়ে ৪০০ টাকার পাবদা বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকা কেজি দরে।

বিক্রেতারা বলছেন, সরবরাহ বেশি থাকায় পেঁয়াজের দাম কমেছে। ক্রেতারা বলছেন, আগের চেয়ে দাম কমলেও অনেক জিনিসের দাম পূর্বের দামে এখনও আসেনি। সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়াসহ বাজারগুলোতে নিয়মিত নজরদারিতে বাড়াতে নতুন সরকারের প্রতি আহ্বান জানান ক্রেতারা।

বরিশাল
বরিশালের বাজারগুলোতে বেড়েছে সব ধরনের মুরগির দাম। প্রতিকেজি মুরগিতে বেড়েছে ১০-২০ টাকা পর্যন্ত। মুরগি খাবার ও বাচ্চার দাম বেড়ে যাওয়ার অজুহাত দিচ্ছেন বিক্রেতারা। জেলার বাজারগুলোতে ব্রয়লার মুরগি কেজিতে ১০-১৫ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৬০-১৬৫ টাকায়। এ ছাড়া সোনালি ১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকায় এবং লেয়ার মুরগি কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকায়।

এদিকে, সবজির বাজারে কাঁচামরিচের কেজি এখনও ২০০ টাকা। অন্যান্য সবজিতেও কিছুটা দাম বেড়েছে। এর মধ্যে টমেটো ১৬০ টাকা, কাঁকরোল ৮০, করলা ৬০, ফুলকপি ৬০, গাজর ১৬০, কাঁচামরিচ ২০০, শসা ৪০, বরবটি ৬০ টাকা। এছাড়া মুদি বাজারে আদার দাম কমলেও পেঁয়াজ ১১০ টাকা, আলু ৫০, প্রতি হালি ডিম ৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

সাধারণ ক্রেতারা বলছেন, বাজার এখনও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। বাজারে সব কিছুর দাম ঊর্ধ্বমুখী। তাই দাম নিয়ন্ত্রণে বাজার মনিটরিং জরুরি।

বগুড়া
বগুড়ায় শাক-সবজি, মাছ, মুরগি ও ডিমের বাজারে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে। তবে, ক্রেতাদের অভিযোগ দাম কমলেও এখনো নাগালের বাইরে। কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ১৬০-২০০ টাকায়, অন্যান্য সবজির মধ্যে করলা ৬০ টাকা, আলু ৫৫, পেঁয়াজ ১০ টাকা কমে ১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গেল সপ্তাহের তুলনায় জেলার আজকের বাজারে প্রতিটি কাঁচা শাক-সবজিতে কেজি প্রতি ১০-১৫ টাকা কমেছে।

বিক্রেতারা জানান, সবজির দাম-দর স্থিতিশীল রয়েছে। গরুর মাংস ৫০ টাকা কমে ৭০০ টাকা। ব্রয়লার মুরগির দাম ১০ টাকা বেড়ে ১৭০ টাকা আর সোনালি মুরগি ২০ টাকা বেড়ে ২৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ডিমের হালি গেল কয়েক দিনের তুলনায় ২ টাকা কমে ৪৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

ক্রেতারা জানান, এখনও ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে আসেনি পণ্যের মূল্য। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে তাদের দাবি, বাজার ব্যবস্থাপনায় কার্যকর ভূমিকা রাখলে আরও সহনীয় করা যাবে।

সিলেট
ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানের পরও অস্থিতিশীল রয়েছে সিলেটের নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের বাজার। সপ্তাহ ঘুরতে না ঘুরতেই সিলেটের বাজারে প্রায় সব ধরনের নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বেড়েছে। বেশিরভাগ সবজির দাম কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।

গত সপ্তাহের তুলনায় এ সপ্তাহে কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়। কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে ঝিঙা বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়। বেড়েছে পটল, ফুলকপি, বাঁধাকপি দামও। এ সপ্তাহে কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে পটল বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকায়, ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১১০ টাকায়।

এদিকে জেলায় দাম বেড়েছে কাঁচামরিচের। সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে কাঁচামরিচের দাম। এ সপ্তাহে কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২২০ টাকায়।

মাংসের দামেও অস্থিতিশীলতা রয়েছে। বয়লার মুরগি প্রতি কেজি ১৭০ টাকা, লাল মুরগি প্রতি পিস ৬২০ টাকা ও সোনালি মুরগি প্রতি পিস ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর গরুর মাংস প্রতি কেজি ৭৫০ থেকে ৭৭০ টাকা ও খাসীর মাংস প্রতি কেজি ৯৫০ থেকে ১০০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

ক্রেতারা বলছেন, প্রতিটি নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দামই চড়া। দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির কারণে পরিবার নিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের। এমন পরিস্থিতিতে নিয়মিত বাজার মনিটরিংয়ের দাবি তাদের।

খুলনা
গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে খুলনার বাজারে কমেছে সবজির দাম। তবে বৃদ্ধি পেয়েছে কাঁচামরিচের দাম। পেঁয়াজ ও রসুনের দাম স্থিতিশীল রয়েছে। খুলনার বাজারে গত সপ্তাহের চেয়ে রসুন কেজিতে ৫০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে ১৬০টাকা থেকে ২০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। বেগুনের দাম কেজিতে ৪০টাকা বৃদ্ধি পেয়ে বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা। এছাড়া বরবটি ঢেড়শ পেঁপে, পটলের দাম কেজিতে ৫ টাকা থেকে ১০ টাকা কমেছে। পেঁয়াজ রসুন আলুর দাম স্থিতিশীল রয়েছে। পেঁয়াজ কেজিতে ১১৫ টাকা, রসুন ১৪০ টাকা এবং আলু ৬০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।