আ.লীগ আমলের ১৫০ প্রভাবশালীর দুর্নীতির খোঁজে দুদক
- আপডেট সময় : ০৭:৫৬:৫৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
- / ৩৫৮ বার পড়া হয়েছে
শেখ হাসিনা সরকারের প্রভাবশালী ১৫০ জনের দুর্নীতি ও অবৈধ সম্পদের তদন্ত শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন। অন্তর্বর্তী সরকারের এক মাসে সাবেক ৬০ জন মন্ত্রী ও এমপির দুর্নীতির প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে দুদক। এরমধ্যে প্রায় দুই ডজনেরও বেশি প্রভাবশালী দুর্নীতিবাজ বিভিন্ন সময় দুদকের তলবে সাড়া দেয়নি। তাদের অনেকের ব্যাংক হিসাব জব্দ ও দেশত্যাগেও নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে হাসিনা সরকারের পতনের আগ থেকেই ওই সরকারের প্রভাবশালী অর্ধশত মন্ত্রী-এমপির অবৈধ সম্পদের সুনির্দিষ্ট তথ্য ছিল দুর্নীতি দমন কমিশনের কাছে। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর প্রতিদিনই এই তালিকা দীর্ঘ হচ্ছে। সাাবেক এসব এমপি-মন্ত্রীর বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, টেন্ডারবাজি, অর্থ পাচারসহ দুর্নীতির বিভিন্ন অভিযোগ উঠে আসছে দুদকের অনুসন্ধানে।
সংস্থাটির গোয়েন্দা প্রতিবেদনে প্রাথমিকভাবে দুর্নীতির তথ্য-প্রমাণও মিলছে। প্রমাণ মেলায় অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। প্রাথমিক যাচাই-বাছাই ছাড়া শুধু অভিযোগের ভিত্তিতে দুদক সাবেক অন্তত ৬০ মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও সংসদ সদস্যের দুর্নীতি অনুসন্ধান শুরু করে। তাদের মধ্যে সাবেক মন্ত্রী ও মন্ত্রী পদমর্যাদার ২০ জন, প্রতিমন্ত্রী ও সমমর্যাদার ১৬ জন ও সাবেক সংসদ সদস্য রয়েছেন ২৪ জন। দুদক সচিব খোরশেদা ইয়াসমীন জানান, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির প্রাথমিক সত্যতা থাকায় কমিশন অনুসন্ধানে নামে।
সাবেক এমপি-মন্ত্রী ৬০ জনের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, নানা অনিয়ম-দুর্নীতি করে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ ও জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে। কারও কারও বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি ও দখলের অভিযোগও আছে। কেউ কেউ টাকা পাচার করেছে বিদেশে। আবার শেয়ারবাজার জালিয়াতি, প্রভাব খাটিয়ে সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন ব্যাংক থেকে হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাৎ করার অভিযোগ রয়েছে দুদকের কাছে।
দুর্নীতি ও অবৈধ সম্পদ অনুসন্ধানে আওয়ামী লীগ সরকারের প্রভাবশালী ১৫০ জনের তালিকা করে করেছে দুদক। এরইমধ্যে অর্ধশত সাবেক মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও সংসদ সদস্যের ব্যাংক হিসাব জব্দ ও দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।