ঢাকা ০৩:০৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

বাংলাদেশকে বকেয়া ৮০০ মিলিয়ন ডলার পরিশোধের অনুরোধ ভারতের

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৭:৫৪:৪৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / ৩৬৩ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বকেয়া ৮০০ মিলিয়ন ডলার পরিশোধের অনুরোধ জানিয়েছে ভারতের আদানি গ্রুপ। শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) ভারতের আর্থিক ও ব্যবসা বিষয়ক সংবাদমাধ্যম মানি কন্ট্রোলের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। তবে, বকেয়া থাকার পরও বাংলাদেশকে গড্ডা পাওয়ার প্ল্যান্ট থেকে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের আশ্বাস দিয়েছে, প্রতিষ্ঠানটি।

২০১৭ সালে আদানি পাওয়ারের সঙ্গে ২৫ বছরের চুক্তি করেছিল তৎকালীন শেখ হাসিনার সরকার। চুক্তি অনুযায়ী ভারতের ঝাড়খণ্ডে ১৬০০ মেগাওয়াট গড্ডা পাওয়ার প্ল্যান্ট থেকে বাংলাদেশকে ১ হাজার ৪৯৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে সম্মত হয় প্রতিষ্ঠানটি। যা পিক পাওয়ার ডিমান্ডে বাংলাদেশে মোট চাহিদার ১০ শতাংশ।

আদানির সঙ্গে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চুক্তি অনুসারে প্রতিমাসে বাংলাদেশের কাছে গ্রুপটির পাওনা ৯০ থেকে ১০০ মিলিয়ন ডলার। তবে, সময়মতো অর্থ পরিশোধ না করায় প্রতিষ্ঠানটির পাওনা ৮০০ মিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে, যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা।

এমন বাস্তবতায়, বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ নিয়ে বার্তা দিয়েছে ভারতের আদানি পাওয়ার। বাংলাদেশে জমে থাকা বকেয়া পরিশোধে অন্তর্বর্তী সরকারকে অনুরোধ জানিয়েছে তারা। আদানি গ্রুপের সূত্রের বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম মানিকন্ট্রোল জানায়, ঋণদাতাদের ক্রমবর্ধমান চাপে বকেয়া সংগ্রহে জোর দিচ্ছে আদানি গ্রুপ। তবে, বাংলাদেশের কাছে পাওনার অংকটি বড় হলেও বিদ্যুৎ সরবরাহ অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

আদানির সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী, গ্রুপটিকে বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য যে অর্থ দিতে হবে তা মার্কিন ডলারেই পরিশোধ করতে হবে। ২৩ আগস্ট মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ জানায়, বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে ২০.৫ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। যা দিয়ে তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো যাবে। ফলে অন্তর্বর্তী সরকার এই বিপুল অংশ কীভাবে পরিশোধ করবে সে প্রশ্ন থেকেই যায়।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল, আইএমএফ থেকে ঋণ নেয়ার চেষ্টা করছে। ইতিমধ্যে সংস্থাটি থেকে ৪.৭ বিলিয়ন ডলার ঋণ নিয়েছে তারা।

এছাড়া, বাংলাদেশের মতো অন্যান্য দেশ যদি আদানির মতো প্রতিষ্ঠান থেকে বিদ্যুৎ কেনা বন্ধ করে দেয় তাহলে বিপাকে পড়তে পারে বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। এমন আশঙ্কা থেকে বিদ্যুৎ নীতিতে পরিবর্তন এনেছে ভারত সরকার। নতুন নীতি অনুসারে, যেসব বিদ্যুৎকেন্দ্র শুধু বিদেশে বিদ্যুৎ রপ্তানি করে থাকে, এখন থেকে তারা চাইলে স্থানীয় বাজারেও বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে পারবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশকে বকেয়া ৮০০ মিলিয়ন ডলার পরিশোধের অনুরোধ ভারতের

আপডেট সময় : ০৭:৫৪:৪৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বকেয়া ৮০০ মিলিয়ন ডলার পরিশোধের অনুরোধ জানিয়েছে ভারতের আদানি গ্রুপ। শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) ভারতের আর্থিক ও ব্যবসা বিষয়ক সংবাদমাধ্যম মানি কন্ট্রোলের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। তবে, বকেয়া থাকার পরও বাংলাদেশকে গড্ডা পাওয়ার প্ল্যান্ট থেকে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের আশ্বাস দিয়েছে, প্রতিষ্ঠানটি।

২০১৭ সালে আদানি পাওয়ারের সঙ্গে ২৫ বছরের চুক্তি করেছিল তৎকালীন শেখ হাসিনার সরকার। চুক্তি অনুযায়ী ভারতের ঝাড়খণ্ডে ১৬০০ মেগাওয়াট গড্ডা পাওয়ার প্ল্যান্ট থেকে বাংলাদেশকে ১ হাজার ৪৯৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে সম্মত হয় প্রতিষ্ঠানটি। যা পিক পাওয়ার ডিমান্ডে বাংলাদেশে মোট চাহিদার ১০ শতাংশ।

আদানির সঙ্গে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চুক্তি অনুসারে প্রতিমাসে বাংলাদেশের কাছে গ্রুপটির পাওনা ৯০ থেকে ১০০ মিলিয়ন ডলার। তবে, সময়মতো অর্থ পরিশোধ না করায় প্রতিষ্ঠানটির পাওনা ৮০০ মিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে, যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা।

এমন বাস্তবতায়, বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ নিয়ে বার্তা দিয়েছে ভারতের আদানি পাওয়ার। বাংলাদেশে জমে থাকা বকেয়া পরিশোধে অন্তর্বর্তী সরকারকে অনুরোধ জানিয়েছে তারা। আদানি গ্রুপের সূত্রের বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম মানিকন্ট্রোল জানায়, ঋণদাতাদের ক্রমবর্ধমান চাপে বকেয়া সংগ্রহে জোর দিচ্ছে আদানি গ্রুপ। তবে, বাংলাদেশের কাছে পাওনার অংকটি বড় হলেও বিদ্যুৎ সরবরাহ অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

আদানির সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী, গ্রুপটিকে বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য যে অর্থ দিতে হবে তা মার্কিন ডলারেই পরিশোধ করতে হবে। ২৩ আগস্ট মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ জানায়, বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে ২০.৫ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। যা দিয়ে তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো যাবে। ফলে অন্তর্বর্তী সরকার এই বিপুল অংশ কীভাবে পরিশোধ করবে সে প্রশ্ন থেকেই যায়।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল, আইএমএফ থেকে ঋণ নেয়ার চেষ্টা করছে। ইতিমধ্যে সংস্থাটি থেকে ৪.৭ বিলিয়ন ডলার ঋণ নিয়েছে তারা।

এছাড়া, বাংলাদেশের মতো অন্যান্য দেশ যদি আদানির মতো প্রতিষ্ঠান থেকে বিদ্যুৎ কেনা বন্ধ করে দেয় তাহলে বিপাকে পড়তে পারে বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। এমন আশঙ্কা থেকে বিদ্যুৎ নীতিতে পরিবর্তন এনেছে ভারত সরকার। নতুন নীতি অনুসারে, যেসব বিদ্যুৎকেন্দ্র শুধু বিদেশে বিদ্যুৎ রপ্তানি করে থাকে, এখন থেকে তারা চাইলে স্থানীয় বাজারেও বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে পারবে।