ঢাকা ০৯:০৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

৭০ বছর পর ফরাসিদের ভুলে যাওয়া স্বাদ দিল ইতালি

স্পোর্টস ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০১:০১:২৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / ৩৬২ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ম্যাচের বয়স সবে ১৩ সেকেন্ড। ম্যাচ শুরু হতে না হতেই গোল খেয়ে বসে ইতালি। প্যারিসের পার্ক দে প্রিন্সেসে ফরাসি সমর্থকরা তখন বাঁধনহারা উদযাপনে মত্ত। ইতালির ডিফেন্ডার লরেনসোর ভুলের সুযোগে বাঁ প্রান্ত দিয়ে আক্রমণে উঠে আজ্জুরি সমর্থকদের স্তব্ধ করে দেন বাহলি বারকোলা। যা ফ্রান্সের গত ৯০ বছরের ইতিহাসে দ্রুততম গোল।

কিন্তু শুরুর এ ছন্দ বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি ফ্রান্স। দ্রুতই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় লুসিয়ানো স্পালেত্তির দল। পার্ক দে প্রিন্সেসে দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তনের গল্প লিখে ম্যাচটা শেষ পর্যন্ত ৩-১ ব্যবধানে জিতে নিয়েছে ইতালি। ইতালির হয়ে গোল তিনটি করেছেন ফেদেরিকো দিমারকো, দাভিদে ফ্রাত্তেসি ও জিয়াকোমো রাসপাদোরি।

উয়েফা নেশনস লিগের ‘এ’ স্তরের গ্রুপ-২ এর প্রথম ম্যাচ জয়ে রাঙালো ইতালি। অবশ্য আজ্জুরিদের এ জয়ের মাহাত্ম্যও কম নয়। ২০০৮ সালের পর এই প্রথম ফ্রান্সকে হারানোর স্বাদ পেল ইতালি। মাঝের এ সময়টাতে তিনবারের দেখায় প্রতিবারই শেষ হাসি হেসেছিল ফরাসিরা।

সেখানেই শেষ নয়, ফ্রান্সের ঘরের মাটিতে ফ্রান্সকে শেষবার হারিয়েছিল সেই ১৯৫৪ সালে। দীর্ঘ ৭০ বছর পর ভুলে যাওয়া সেই জয়ের স্বাদ পেল আজ্জুরিরা। একইসঙ্গে ২০২২ বিশ্বকাপের ফাইনালের পর এবারই প্রথম এক ম্যাচে তিন গোল হজম করল ফরাসিরা।

এত আক্ষেপের ভিড়ে ফ্রান্সের একমাত্র পাওয়া বারকোলার দ্রুততম গোল। ম্যাচের শুরুতে লরেনসোর উদ্দেশ্যে ব্যাকপাস দিয়েছিলেন আন্দ্রেয়া ক্যামবিয়েসো। কিন্তু আয়েসিভঙ্গিতে থাকা লরেনসোকে সুযোগ না অনেকটা ক্ষিপ্রভাবে বল দখলে নিয়ে এগিয়ে যান বারকোলা। বাঁ প্রান্ত দিয়ে ঢুকে দারুণ শটে ইতালি গোলকিপার জিয়ানলুইসি দোন্নারুম্মাকে পরাস্ত করেন।

ফ্রান্স ফুটবল জানাচ্ছে, এটাই দেশটির গত ৯০ বছরের ইতিহাসে দ্রুততম গোল। তবে অপটা জেইন জানাচ্ছে, ১৯৯৩ সালের আগেও প্রথম মিনিটে ৩টি গোল পেয়েছিল ফ্রান্স। কিন্তু সেসব গোলের প্রকৃত তথ্য নেই বলে বারকোলার গোলটিকে অফিসিয়ালি দ্রুততম গোলের স্বীকৃতি দিতে নারাজ তারা। তবে আন-অফিসিয়ালি বারকোলার গোলটাকে ফ্রান্স ইতিহাসে দ্রুততম গোল বলে মেনে নিয়েছে অপটা।

শুরুতে পিছিয়ে পড়েও ম্যাচে ফিরতে ইতালির সময় লেগেছে ৩০ মিনিট। সেটাও দিমারকোর দৃষ্টিনন্দন এক গোলে। সান্দ্রো টোনালির সঙ্গে বল দেওয়া-নেওয়া করে বক্সের ভেতর থেকে বাঁ পায়ের দারুণ এক ভলিতে স্কোরলাইন ১-১ করেন দিমারকো। প্রথমার্ধে আর কোনো গোল হয়নি। ৫১তম মিনিটে ইতালিকে এগিয়ে দেন ফ্রাত্তেসি। নির্ধারিত সময়ের ১৬ মিনিট আগে স্কোরলাইন ৩-১ করেন রাসপাদোরি।

নিউজটি শেয়ার করুন

৭০ বছর পর ফরাসিদের ভুলে যাওয়া স্বাদ দিল ইতালি

আপডেট সময় : ০১:০১:২৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ম্যাচের বয়স সবে ১৩ সেকেন্ড। ম্যাচ শুরু হতে না হতেই গোল খেয়ে বসে ইতালি। প্যারিসের পার্ক দে প্রিন্সেসে ফরাসি সমর্থকরা তখন বাঁধনহারা উদযাপনে মত্ত। ইতালির ডিফেন্ডার লরেনসোর ভুলের সুযোগে বাঁ প্রান্ত দিয়ে আক্রমণে উঠে আজ্জুরি সমর্থকদের স্তব্ধ করে দেন বাহলি বারকোলা। যা ফ্রান্সের গত ৯০ বছরের ইতিহাসে দ্রুততম গোল।

কিন্তু শুরুর এ ছন্দ বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি ফ্রান্স। দ্রুতই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় লুসিয়ানো স্পালেত্তির দল। পার্ক দে প্রিন্সেসে দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তনের গল্প লিখে ম্যাচটা শেষ পর্যন্ত ৩-১ ব্যবধানে জিতে নিয়েছে ইতালি। ইতালির হয়ে গোল তিনটি করেছেন ফেদেরিকো দিমারকো, দাভিদে ফ্রাত্তেসি ও জিয়াকোমো রাসপাদোরি।

উয়েফা নেশনস লিগের ‘এ’ স্তরের গ্রুপ-২ এর প্রথম ম্যাচ জয়ে রাঙালো ইতালি। অবশ্য আজ্জুরিদের এ জয়ের মাহাত্ম্যও কম নয়। ২০০৮ সালের পর এই প্রথম ফ্রান্সকে হারানোর স্বাদ পেল ইতালি। মাঝের এ সময়টাতে তিনবারের দেখায় প্রতিবারই শেষ হাসি হেসেছিল ফরাসিরা।

সেখানেই শেষ নয়, ফ্রান্সের ঘরের মাটিতে ফ্রান্সকে শেষবার হারিয়েছিল সেই ১৯৫৪ সালে। দীর্ঘ ৭০ বছর পর ভুলে যাওয়া সেই জয়ের স্বাদ পেল আজ্জুরিরা। একইসঙ্গে ২০২২ বিশ্বকাপের ফাইনালের পর এবারই প্রথম এক ম্যাচে তিন গোল হজম করল ফরাসিরা।

এত আক্ষেপের ভিড়ে ফ্রান্সের একমাত্র পাওয়া বারকোলার দ্রুততম গোল। ম্যাচের শুরুতে লরেনসোর উদ্দেশ্যে ব্যাকপাস দিয়েছিলেন আন্দ্রেয়া ক্যামবিয়েসো। কিন্তু আয়েসিভঙ্গিতে থাকা লরেনসোকে সুযোগ না অনেকটা ক্ষিপ্রভাবে বল দখলে নিয়ে এগিয়ে যান বারকোলা। বাঁ প্রান্ত দিয়ে ঢুকে দারুণ শটে ইতালি গোলকিপার জিয়ানলুইসি দোন্নারুম্মাকে পরাস্ত করেন।

ফ্রান্স ফুটবল জানাচ্ছে, এটাই দেশটির গত ৯০ বছরের ইতিহাসে দ্রুততম গোল। তবে অপটা জেইন জানাচ্ছে, ১৯৯৩ সালের আগেও প্রথম মিনিটে ৩টি গোল পেয়েছিল ফ্রান্স। কিন্তু সেসব গোলের প্রকৃত তথ্য নেই বলে বারকোলার গোলটিকে অফিসিয়ালি দ্রুততম গোলের স্বীকৃতি দিতে নারাজ তারা। তবে আন-অফিসিয়ালি বারকোলার গোলটাকে ফ্রান্স ইতিহাসে দ্রুততম গোল বলে মেনে নিয়েছে অপটা।

শুরুতে পিছিয়ে পড়েও ম্যাচে ফিরতে ইতালির সময় লেগেছে ৩০ মিনিট। সেটাও দিমারকোর দৃষ্টিনন্দন এক গোলে। সান্দ্রো টোনালির সঙ্গে বল দেওয়া-নেওয়া করে বক্সের ভেতর থেকে বাঁ পায়ের দারুণ এক ভলিতে স্কোরলাইন ১-১ করেন দিমারকো। প্রথমার্ধে আর কোনো গোল হয়নি। ৫১তম মিনিটে ইতালিকে এগিয়ে দেন ফ্রাত্তেসি। নির্ধারিত সময়ের ১৬ মিনিট আগে স্কোরলাইন ৩-১ করেন রাসপাদোরি।