গণঅভ্যত্থানের মাধ্যমে শেখ হাসিনার পতনে নেতৃত্ব দেয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নতুন রাজনৈতিক প্লাটফর্ম হিসেবে একটি ‘জাতীয় নাগরিক কমিটি’ গঠনের ঘোষণা দিয়েছে।
শেখ হাসিনা সরকার পতনের এক মাসের মাথায় ৫৫ সদস্যের এই নাগরিক কমিটি গঠনের মাধ্যমে নিজেদের রাজনৈতিক প্লাটফর্ম তৈরি করলো শিক্ষার্থীরা। তবে এখনই এটিকে রাজনৈতিক দলে রূপ দেবার সিদ্ধান্ত হয়নি। থাকবে না রাজনৈতিক দলের মত কার্যক্রমও। অন্যদিকে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন পৃথকভাবে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রনেতা নাসির উদ্দিন পাটোয়ারিকে আহ্বায়ক ও গণতান্ত্রিক ছাত্র শক্তির আহবায়ক আক্তার হোসেনকে সদস্য সচিব করে গঠিত কমিটি আত্মপ্রকাশ করে আজ রোববার (৮ই সেপ্টেম্বর) রাজধানীর জাতীয় শহিদ মিনারে।
মূলত: দেশের তরুন ও যুবসমাজকে চলমান রাষ্ট্র সংস্কার কাজে সংযুক্ত করাই হবে এই জাতীয় কমিটির প্রাথমিক কাজ। দেশের বিভিন্ন সেক্টরে এখনো যে স্বৈরাচারী ধারা, দুর্নীতি, অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনা তার বিরুদ্ধে আন্দোলন চালাবে জাতীয় নাগরিক কমিটি।
এটা রাজনৈতিক প্লাটফর্ম হলেও এখনই রাজনৈতিক দল হিসেবে কাজ করার কথা ভাবছে না কমিটির নেতারা। দল হিসেবে কার্যক্রম কবে কিংবা কিভাবে হবে সেটা ভবিষ্যতের পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করছে বলেই মনে করেন তারা।
জাতীয় নাগরিক কমিটির সংগঠকরা বলছেন, রাষ্ট্রের প্রয়োজনীয় সংস্কারে প্রেশার গ্রুপ হিসেবে কাজ করবে এ কমিটি। প্রাথমিকভাবে কেন্দ্রীয় আহবায়ক কমিটি সারাদেশের ৬৪ জেলা ও ১২টি মহানগর এবং উপজেলা পর্যায়ে নাগরিক কমিটি গঠন করবে। এরপর জাতীয়ভাবে কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে। সেই কাউন্সিল নতুন করে পূর্ণাঙ্গ কমিটি প্রস্তুত করবে।