০৪:৫১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ১৯ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাইডেন কতদিনের ছুটি নিলেন?

প্রেসিডেন্ট হিসেবে মোট কার্যদিবসের উল্লেখযোগ্য সময়ই ছুটি নিয়ে কাটিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। সম্প্রতি প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে রিপাবলিকান ন্যাশনাল কমিটি। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ৮১ বছর বয়সী বাইডেন দায়িত্ব নেওয়ার পর চার বছরের কম সময়ে ৫৩২ দিন ছুটি কাটিয়েছেন। এর মানে দাঁড়াচ্ছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট মোট কার্যদিবসের ৪০ শতাংশ দিনই অফিস করেননি।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, বাইডেন অল্প সময়ে যে ছুটি কাটিয়েছেন তা একজন মার্কিন নাগরিক কর্মজীবনে পাঁচ দশকে কাটিয়ে থাকেন। গড়ে একজন মার্কিন নাগরিক বছরে ১১ দিন ছুটি পান।

বিশ্লেষকরা বলছেন, বৈশ্বিক ও অভ্যন্তরীণ চ্যালেঞ্জের মধ্যে প্রেসিডেন্টের এমন ছুটি নেওয়া ঠিক হয়নি। এ নিয়ে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমলে হোয়াইট হাউসে দায়িত্ব পালন করা মার্ক পাওলেটা বলেন, বাইডেন সমুদ্র সৈকতে শুয়ে দ্রুত ঘুমিয়ে পড়ার একটি ছবি ভেসে উঠছে যখন আমেরিকাসহ পুরো বিশ্ব জ্বলছে। এটি বাইডেনের শাসনামল বুঝিয়ে দিচ্ছে।

বিশ্লেষকরা মুদ্রাস্ফীতি, সীমান্ত নিরাপত্তা এবং আন্তর্জাতিক সংঘাতের মতো বিষয়গুলোকেও সামনে এনেছেন। তাঁরা পরামর্শ দিয়েছেন, প্রেসিডেন্টকে এই বিষয় মোকাবিলায় আরও মনোযোগী হওয়া উচিত।

তবে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সহযোগীরা জানিয়েছেন, ছুটিতে থাকলেও বাইডেন তাঁর পূর্বসূরিদের মতো অফিস না করেই কাজ চালিয়ে গেছেন।

মার্কিন সাবেক প্রেসিডেন্টদের সঙ্গে তুলনা করলে দেখা যায়, বাইডেনই প্রেসিডেন্ট হিসেবে সবচেয়ে বেশি ছুটি কাটিয়েছেন। ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর মোট কার্যদিবসের ২৬ শতাংশ ছুটিতে কাটিয়েছেন। আর বারাক ওমাবা ও রোনাল্ড রিগ্যান তাঁদের মোট কার্যদিবসের ১১ শতাংশ ছুটি কাটিয়েছেন। আরেক সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার তাঁর চার বছরের শাসনামলে মাত্র ৭৯ দিন ছুটি নিয়েছিলেন।

বাইডেন কতদিনের ছুটি নিলেন?

আপডেট : ০৩:৩৫:১৮ অপরাহ্ন, রোববার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

প্রেসিডেন্ট হিসেবে মোট কার্যদিবসের উল্লেখযোগ্য সময়ই ছুটি নিয়ে কাটিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। সম্প্রতি প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে রিপাবলিকান ন্যাশনাল কমিটি। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ৮১ বছর বয়সী বাইডেন দায়িত্ব নেওয়ার পর চার বছরের কম সময়ে ৫৩২ দিন ছুটি কাটিয়েছেন। এর মানে দাঁড়াচ্ছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট মোট কার্যদিবসের ৪০ শতাংশ দিনই অফিস করেননি।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, বাইডেন অল্প সময়ে যে ছুটি কাটিয়েছেন তা একজন মার্কিন নাগরিক কর্মজীবনে পাঁচ দশকে কাটিয়ে থাকেন। গড়ে একজন মার্কিন নাগরিক বছরে ১১ দিন ছুটি পান।

বিশ্লেষকরা বলছেন, বৈশ্বিক ও অভ্যন্তরীণ চ্যালেঞ্জের মধ্যে প্রেসিডেন্টের এমন ছুটি নেওয়া ঠিক হয়নি। এ নিয়ে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমলে হোয়াইট হাউসে দায়িত্ব পালন করা মার্ক পাওলেটা বলেন, বাইডেন সমুদ্র সৈকতে শুয়ে দ্রুত ঘুমিয়ে পড়ার একটি ছবি ভেসে উঠছে যখন আমেরিকাসহ পুরো বিশ্ব জ্বলছে। এটি বাইডেনের শাসনামল বুঝিয়ে দিচ্ছে।

বিশ্লেষকরা মুদ্রাস্ফীতি, সীমান্ত নিরাপত্তা এবং আন্তর্জাতিক সংঘাতের মতো বিষয়গুলোকেও সামনে এনেছেন। তাঁরা পরামর্শ দিয়েছেন, প্রেসিডেন্টকে এই বিষয় মোকাবিলায় আরও মনোযোগী হওয়া উচিত।

তবে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সহযোগীরা জানিয়েছেন, ছুটিতে থাকলেও বাইডেন তাঁর পূর্বসূরিদের মতো অফিস না করেই কাজ চালিয়ে গেছেন।

মার্কিন সাবেক প্রেসিডেন্টদের সঙ্গে তুলনা করলে দেখা যায়, বাইডেনই প্রেসিডেন্ট হিসেবে সবচেয়ে বেশি ছুটি কাটিয়েছেন। ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর মোট কার্যদিবসের ২৬ শতাংশ ছুটিতে কাটিয়েছেন। আর বারাক ওমাবা ও রোনাল্ড রিগ্যান তাঁদের মোট কার্যদিবসের ১১ শতাংশ ছুটি কাটিয়েছেন। আরেক সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার তাঁর চার বছরের শাসনামলে মাত্র ৭৯ দিন ছুটি নিয়েছিলেন।