০১:২২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য ‘ভালোভাবে নেয়নি’ ভারত

  • অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট : ০১:৫৯:৩২ অপরাহ্ন, রোববার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • ১৭ দেখেছেন

ভারতীয় বার্তাসংস্থা পিটিআইকে দেওয়া অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাক্ষাৎকারটি ভালোভাবে নেয়নি ভারত সরকার। এ সাক্ষাৎকারে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সীমান্ত হত্যা এবং তিস্তার পানি বণ্টনসহ বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে কথা বলেছেন তিনি। ভারতীয় কয়েকটি সূত্র সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসকে এ তথ্য জানিয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি সূত্র জানিয়েছে, ড. ইউনূসের ওই সাক্ষাৎকারের কারণে জাতিসংঘ অধিবেশনের সাইডলাইনে বাংলাদেশি নেতা ও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যে কোনো দ্বিপক্ষীয় বৈঠক নাও হতে পারে।

হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, জাতিসংঘে মোদির সঙ্গে ড. ইউনূসের বৈঠকের আয়োজন করতে গত সপ্তাহে ভারতকে একটি প্রস্তাব দেয় বাংলাদেশ। এ নিয়ে এখনও ভারত থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক জবাব আসেনি।

ড. ইউনূস পিটিআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে বসে যেসব দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন, সেগুলো উচিত নয়। তিনি প্রত্যর্পণের অনুরোধ জানানোর আগ পর্যন্ত হাসিনাকে চুপ থাকার আহ্বান জানান।

প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস আরও বলেন, শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে এনে সবার সামনে বিচার করা হবে।

এছাড়া আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য রাজনৈতিক দলকে ভারত যে ইসলামিক দল মনে করে, সেটিও ঠিক নয় বলে মন্তব্য করেন ড. ইউনূস।

গত ৫ আগস্ট গণ-আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। ওইদিনই তিনি ভারতে গিয়ে দিল্লিতে আশ্রয় নেন। এরপর থেকে সেখানেই অবস্থান করছেন তিনি। এর তিন দিন পর অন্তর্বর্তী সরকার প্রধান হিসেবে শপথ নেন ড. ইউনূস। পরে তিনি মোদির সঙ্গে ফোনে কথা বলার সময় বাংলাদেশে হিন্দু এবং অন্যান্য সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার বিষয়ে প্রতিশ্রুতি দেন।

প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য ‘ভালোভাবে নেয়নি’ ভারত

আপডেট : ০১:৫৯:৩২ অপরাহ্ন, রোববার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ভারতীয় বার্তাসংস্থা পিটিআইকে দেওয়া অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাক্ষাৎকারটি ভালোভাবে নেয়নি ভারত সরকার। এ সাক্ষাৎকারে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সীমান্ত হত্যা এবং তিস্তার পানি বণ্টনসহ বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে কথা বলেছেন তিনি। ভারতীয় কয়েকটি সূত্র সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসকে এ তথ্য জানিয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি সূত্র জানিয়েছে, ড. ইউনূসের ওই সাক্ষাৎকারের কারণে জাতিসংঘ অধিবেশনের সাইডলাইনে বাংলাদেশি নেতা ও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যে কোনো দ্বিপক্ষীয় বৈঠক নাও হতে পারে।

হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, জাতিসংঘে মোদির সঙ্গে ড. ইউনূসের বৈঠকের আয়োজন করতে গত সপ্তাহে ভারতকে একটি প্রস্তাব দেয় বাংলাদেশ। এ নিয়ে এখনও ভারত থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক জবাব আসেনি।

ড. ইউনূস পিটিআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে বসে যেসব দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন, সেগুলো উচিত নয়। তিনি প্রত্যর্পণের অনুরোধ জানানোর আগ পর্যন্ত হাসিনাকে চুপ থাকার আহ্বান জানান।

প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস আরও বলেন, শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে এনে সবার সামনে বিচার করা হবে।

এছাড়া আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য রাজনৈতিক দলকে ভারত যে ইসলামিক দল মনে করে, সেটিও ঠিক নয় বলে মন্তব্য করেন ড. ইউনূস।

গত ৫ আগস্ট গণ-আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। ওইদিনই তিনি ভারতে গিয়ে দিল্লিতে আশ্রয় নেন। এরপর থেকে সেখানেই অবস্থান করছেন তিনি। এর তিন দিন পর অন্তর্বর্তী সরকার প্রধান হিসেবে শপথ নেন ড. ইউনূস। পরে তিনি মোদির সঙ্গে ফোনে কথা বলার সময় বাংলাদেশে হিন্দু এবং অন্যান্য সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার বিষয়ে প্রতিশ্রুতি দেন।