বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, আগামীর বাংলাদেশ কিভাবে চলবে জনগণই তা সিদ্ধান্ত নেবে। এর ব্যাতিক্রম হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এবি পার্টি আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, দীর্ঘ সময় ধরে আওয়ামী লীগ জনগণের যে মালিকানা কেড়ে নিয়েছে তা ফিরিয়ে দিতে কাজ করবে বিএনপি। নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে হলে ঐক্যের কোনো বিকল্প নেই।
তিনি আরও বলেন, ছাত্র জনতার আন্দোলনে যে মুক্ত বাংলাদেশ এসেছে তা ধরে রাখতে হবে। জনগণের আকাঙ্ক্ষা যারা বুঝবে না আগামীর রাজনীতিতে তাদের অবস্থান কতটুকু থাকবে তা নিয়েও সন্দেহ হয়।
আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর আজ এখানে দাঁড়িয়ে আমরা বলতে পারছি এটা আমার বাংলাদেশ। শেখ হাসিনা পলায়নের পর আমরা একটি নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি, যেখানে মানুষ নতুন করে চিন্তা করছে। এখন মানুষ মুক্তভাবে বাঁচতে চায়, চলতে চায়। দেশের শতকরা প্রায় ৬৫ শতাংশ মানুষ তরুণ যুবক, তাদের চিন্তাকে ধারণ না করে বাংলাদেশে কেউ রাজনীতি করতে পারবে না। আমরা বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বলব আপনারা মানুষের ভাবনাকে অগ্রাধিকার দিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে দেশের সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসুন।
এছাড়া দেশের সার্বিক সংস্কারে অন্তর্বর্তী সরকারকে জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে সহায়তা করা প্রয়োজন বলেও জানান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- ১২ দলীয় জোটের প্রধান মোস্তফা জামাল হায়দার, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম, গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক কর্নেল অব. মিয়া মোহাম্মদ মশিউজ্জামান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য আশরাফ আলী আকন, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, খেলাফত মজলিসের সেক্রেটারি অধ্যাপক ড. আহমদ আব্দুল কাদের, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, এবি পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক প্রফেসর ডা. মেজর (অব.) আব্দুল ওহাব মিনার ও বিএম নাজমুল হক, এবি যুব পার্টির আহ্বায়ক শাহাদাত উল্লাহ টুটুল, এবি পার্টি উইমেন ইনচার্জ ব্যারিস্টার নাসরীন সুলতানা মিলি, বাংলাদেশ ছাত্রপক্ষের আহ্বায়ক মোহাম্মদ প্রিন্স প্রমুখ।