০৩:১৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশে ঢুকে পড়ছে হাজার হাজার রোহিঙ্গা

  • অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট : ০১:৫৬:১৯ অপরাহ্ন, রোববার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • ১৭ দেখেছেন

মিয়ানমার থেকে সীমান্ত পেরিয়ে নাফ নদীর বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে আবারও বাংলাদেশে ঢুকেছেন রোহিঙ্গারা। শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) এক দিনেই বাংলাদেশে ঢুকে পড়েছে প্রায় ৫০০ রোহিঙ্গা। এর আগের দিন শুক্রবার কক্সবাজারের সীমান্ত দিয়ে এসেছে আরও দুই শতাধিক রোহিঙ্গা। এর মধ্য দিয়ে গত দুই দিনে দেশটিতে ৭০০ রোহিঙ্গার অনুপ্রবেশ ঘটল।

সূত্র জানায়, গত দুই সপ্তাহে উখিয়া ও টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে এসেছে কমপক্ষে আট হাজার রোহিঙ্গা। এছাড়া মিয়ানমারের মংডুর মনিপাড়া, সিকদারপাড়া ও আইরপাড়া এলাকায় অন্তত ৪০ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে।

এ ব্যাপারে টেকনাফে আশ্রয়শিবিরের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ১৬ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সহকারী পুলিশ সুপার মাইন উদ্দিন বলেন, কিছুসংখ্যক রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরে ঢুকে পড়েছে। তাদের নজরদারিতে রাখা হচ্ছে। নতুন করে কোনো রোহিঙ্গা যেন ঢুকতে না পারে, সে ব্যাপারে আশ্রয়শিবিরে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আদনান চৌধুরী বলেন, সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটছে। অনুপ্রবেশের সময় বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গাকে নাফ নদ থেকে পুনরায় মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হচ্ছে। অনুপ্রবেশ ঠেকাতে নাফ নদ ও সীমান্তে টহল জোরদার করা হয়েছে।

পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা জানায়, রাখাইনে চলমান সংঘাতের মধ্যে সীমান্তে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে তারা বাংলাদেশে ঢুকে উখিয়া-টেকনাফের ক্যাম্পগুলোতে আশ্রয় নিচ্ছেন। শনিবার পালিয়ে আসা এক রোহিঙ্গা জানান, তার দুই মেয়ে ও স্ত্রীকে নিয়ে জীবন রক্ষার জন্য তারা সপরিবারে পালিয়ে এসেছেন।

সীমান্ত এলাকার বাসিন্দা ও জনপ্রতিনিধিরা জানান, রাতের অন্ধকারে মংডু টাউনশিপের সুদাপাড়া, ফয়েজীপাড়া, সিকদারপাড়া ও নুরুল্লাপাড়া গ্রাম থেকে রোহিঙ্গারা নৌকা নিয়ে নাফ নদ অতিক্রম করে বাংলাদেশে ঢুকে পড়ছে। তারা আরও জানান, রাখাইনের মংডু টাউনশিপের বিপরীতে (পশ্চিমে) চার কিলোমিটার প্রস্থের নাফ নদ পেরোলেই বাংলাদেশের টেকনাফ উপজেলা। তাই তারা সহজেই নাফ নদী পেরিয়ে বাংলাদেশে ঢুকে পড়ে।

বাংলাদেশে ঢুকে পড়ছে হাজার হাজার রোহিঙ্গা

আপডেট : ০১:৫৬:১৯ অপরাহ্ন, রোববার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

মিয়ানমার থেকে সীমান্ত পেরিয়ে নাফ নদীর বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে আবারও বাংলাদেশে ঢুকেছেন রোহিঙ্গারা। শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) এক দিনেই বাংলাদেশে ঢুকে পড়েছে প্রায় ৫০০ রোহিঙ্গা। এর আগের দিন শুক্রবার কক্সবাজারের সীমান্ত দিয়ে এসেছে আরও দুই শতাধিক রোহিঙ্গা। এর মধ্য দিয়ে গত দুই দিনে দেশটিতে ৭০০ রোহিঙ্গার অনুপ্রবেশ ঘটল।

সূত্র জানায়, গত দুই সপ্তাহে উখিয়া ও টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে এসেছে কমপক্ষে আট হাজার রোহিঙ্গা। এছাড়া মিয়ানমারের মংডুর মনিপাড়া, সিকদারপাড়া ও আইরপাড়া এলাকায় অন্তত ৪০ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে।

এ ব্যাপারে টেকনাফে আশ্রয়শিবিরের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ১৬ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সহকারী পুলিশ সুপার মাইন উদ্দিন বলেন, কিছুসংখ্যক রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরে ঢুকে পড়েছে। তাদের নজরদারিতে রাখা হচ্ছে। নতুন করে কোনো রোহিঙ্গা যেন ঢুকতে না পারে, সে ব্যাপারে আশ্রয়শিবিরে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আদনান চৌধুরী বলেন, সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটছে। অনুপ্রবেশের সময় বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গাকে নাফ নদ থেকে পুনরায় মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হচ্ছে। অনুপ্রবেশ ঠেকাতে নাফ নদ ও সীমান্তে টহল জোরদার করা হয়েছে।

পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা জানায়, রাখাইনে চলমান সংঘাতের মধ্যে সীমান্তে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে তারা বাংলাদেশে ঢুকে উখিয়া-টেকনাফের ক্যাম্পগুলোতে আশ্রয় নিচ্ছেন। শনিবার পালিয়ে আসা এক রোহিঙ্গা জানান, তার দুই মেয়ে ও স্ত্রীকে নিয়ে জীবন রক্ষার জন্য তারা সপরিবারে পালিয়ে এসেছেন।

সীমান্ত এলাকার বাসিন্দা ও জনপ্রতিনিধিরা জানান, রাতের অন্ধকারে মংডু টাউনশিপের সুদাপাড়া, ফয়েজীপাড়া, সিকদারপাড়া ও নুরুল্লাপাড়া গ্রাম থেকে রোহিঙ্গারা নৌকা নিয়ে নাফ নদ অতিক্রম করে বাংলাদেশে ঢুকে পড়ছে। তারা আরও জানান, রাখাইনের মংডু টাউনশিপের বিপরীতে (পশ্চিমে) চার কিলোমিটার প্রস্থের নাফ নদ পেরোলেই বাংলাদেশের টেকনাফ উপজেলা। তাই তারা সহজেই নাফ নদী পেরিয়ে বাংলাদেশে ঢুকে পড়ে।