চার পেসারের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টেস্ট জয়ের স্বপ্ন দেখছে সফরকারী শ্রীলংকা। সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে পরাজিত শ্রীলংকাকে হোয়াইটওয়াশ এড়াতে টেস্টের বাকী দু’দিনে আরও ১২৫ রান করতে হবে। হাতে আছে ৯ উইকেট।
পেসারদের নৈপুন্যে টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ইংল্যান্ডকে ১৫৬ রানে গুটিয়ে দিয়ে জয়ের জন্য ২১৯ রানের টার্গেট পায় লংকানরা। সেই লক্ষ্যে তৃতীয় দিন শেষে ১ উইকেটে ৯৪ রান তুলেছে সফরকারীরা। প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ডের ৩২৫ রানের জবাবে ২৬৩ রানে অলআউট হয় শ্রীলংকা।
দ্য ওভালে প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ডের ৩২৫ রানের জবাবে দ্বিতীয় দিন শেষে ৫ উইকেটে ২১১ রান করে ১১৪ রানে পিছিয়ে ছিলো লংকানরা। তৃতীয় দিন বাকী ৫ উইকেটে ৫২ রান যোগ করে ২৬৩ রানে অলআউট হয় শ্রীলংকা। এতে প্রথম ইনিংসে ৬২ রানে লিড পায় ইংল্যান্ড। ৬৪ রান নিয়ে দিন শুরু করে ৬৯ রানে থামেন শ্রীলংকার অধিনায়ক ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা। তার ১১১ বলের ইনিংসে ১১টি চার ছিলো।
অধিনায়কের মত বেশি দূর যেতে পারেননি আগের দিন ৫৪ রানে অপরাজিত থাকা কামিন্দু মেন্ডিস। ৭টি চারে ৯১ বলে ৬৪ রান করেন কামিন্দু। ৯৩ রানে পঞ্চম উইকেট পতনের পর ১৯০ বলে ১২৭ রানের জুটি গড়েন ধনাঞ্জয়া ও কামিন্দু। ওলি স্টোন ও জশ হাল ৩টি করে এবং ক্রিস ওকস ২টি উইকেট নেন।
৬২ রানে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে শ্রীলংকার চার পেসার লাহিরু কুমারা, বিশ^ ফার্নান্দো, আসিথা ফার্নান্দো ও মিলান রতœানায়েকের তোপের মুখে পড়ে ৮২ রানে ৭ উইকেট হারায় ইংল্যান্ড। এসময় সর্বোচ্চ ৩৫ রান করেন ওপেনার ড্যানে লরেন্স। অষ্টম উইকেটে ওলি স্টোনকে নিয়ে ৪৪ বলে ৫৮ রান করেন উইকেটরক্ষক জেমি স্মিথ। এরমধ্যে স্মিথের সংগ্রহ ছিলো ১৯ বলে ৫২ রান।
দলীয় ১৪০ রানে স্মিথকে বিদায় দেন বিশ্ব। এরপর ১৫৬ রানে গুটিয়ে যায় ইংল্যান্ড। ঘরের মাঠে শ্রীলংকার বিপক্ষে এটি সর্বনি¤œ স্কোর ইংল্যান্ডের। ওভালের এই ভেন্যুতেই ১৯৯৮ সালে ১৮১ রানে অলআউট হয়েছিলো তারা। ঐ ম্যাচ ১০ উইকেটে জিতেছিলো শ্রীলংকা। ১০টি চার ও ১টি ছক্কায় ৫০ বলে ৬৭ রান করেন স্মিথ। কুমারা ৪টি, বিশ^ ৩টি, আসিথা ২টি ও রতœানায়েকে ১টি উইকেট নেন।
২১৯ রানের টার্গেটে ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কা ও কুশল মেন্ডিসের মারমুখী ব্যাটিংয়ে দিনের শেষ ভাগে ১৫ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ৯৪ রান তুলেছে শ্রীলংকা। ওপেনার দিমুথ করুনারতেœ ৮ রানে ফিরলেও, ৭টি চারে নিশাঙ্কা ৪৪ বলে ৫৩ এবং কুশল ৬টি বাউন্ডারিতে ২৫ বলে ৩০ রানে অপরাজিত আছেন।