০৬:২৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ১৯ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দল হারলেই তিনি দোষ চাপান অন্যদের ঘাড়ে

  • স্পোর্টস ডেস্ক
  • আপডেট : ১২:৪০:২০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • ২০ দেখেছেন

সর্বশেষ ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপে ফ্রান্সের কাছে ১-০ গোলে হেরে টুর্নামেন্টের শেষ ষোলো থেকেই বিদায় নিয়েছিল বেলজিয়াম। দলের হারের জন্য সে সময় সতীর্থদের ধুয়ে দিয়েছিলেন দলটির অধিনায়ক কেভিন ডি ব্রুইনা। সে ঘটনার প্রায় আড়াইমাস পর গতকাল সোমবার রাতে আবারও ফ্রান্সের মুখোমুখি হয়েছিল বেলজিয়াম। এবার ছিল নেশনস লিগের ‘এ’ স্তরের ‘গ্রুপ-২’ এ নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচ। কিন্তু টুর্নামেন্ট বদলালেও ইউরোর স্মৃতিই যেন ঘুরে ফিরে এসেছে গ্রুপামা স্টেডিয়ামে।

কোলো মুয়ানি ও উসমান দেম্বেলের দুই অর্ধের দুটি গোলে গতকাল স্বাগতিক ফ্রান্সের কাছে ২-০ গোলে হেরেছে বেলজিয়াম। যথারীতি এ হারের দায়ও সতীর্থদের ওপর চাপিয়েছেন ডি ব্রুইনা। ম্যাচের প্রথমার্ধ শেষে একবার সতীর্থদের ওপর ক্ষোভ ঝাড়তে দেখা গিয়েছিল বেলজিয়াম অধিনায়ককে। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনেও এসেও সতীর্থদের ওপর তোপ দাগিয়েছেন ম্যানচেস্টার সিটি তারকা।

ডি ব্রুইনা বলেছেন, ‘কী কী ভুল হয়েছে, সেটা আমি এখানে বলতে চাই না। এটা আমি বিরতির সময়ই দলকে বলেছিলাম। আমি এটা মিডিয়াকে পুনরাবৃত্তি করতে চাই না। কিন্তু সবকিছু আরও ভালো হতে পারত।’

ক্ষোভ ঝেড়ে বেলজিয়াম অধিনায়ক আরও বলেছেন, ‘আমরা যে মানদন্ডে পৌঁছাতে চাই, সেটা যদি সর্বোচ্চ হয়, তাহলে আমি বলব, আজকে আমরা যেভাবে খেলেছি, ঐ পর্যায়ে পৌঁছানোর জন্য এটা মোটেও যথেষ্ঠ ছিল না। সবাইকে নিজের সবটা দিতে হবে। আর সেটা যদি না করতে পারি, সব শেষ হয়ে যাওয়াটাই স্বাভাবিক।’

বেলজিয়ামের যে সোনালী প্রজন্মের কথা দীর্ঘদিন ধরেই বলা হয়, সেটাও এখন প্রায় অস্তাচলের দিকে। সিনিয়রদের মধ্যে দলে নিয়মিত কেবল ডি ব্রুইনাই। সোনালী প্রজন্মের এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় সাফল্য ২০১৮ বিশ্বকাপ। রাশিয়াতে সেমিফাইনালে যাত্রা থেমেছিল দলটির। ব্রুইনা স্বীকার করেছেন, বেলজিয়াম এখন ওই পর্যায়ের দল নয়। তাই বলে দলকে এভাবে বিপর্যস্ত দেখতে চান না ম্যানসিটি তারকা।

ডি ব্রুইনার ভাষায়, ‘এটা মানছি যে আমরা ২০১৮ সালের মতো শক্তিশালী নই। আমিই প্রথম, যে সেগুলো (দলের ভুল) দেখে। কিন্তু অন্যান্য যা হচ্ছে, তা মেনে নেওয়ার মতো নয়। সেসব আমি আর বলতে চাই না।’

বলতে না চাইলেও একটা সমস্যা দেখিয়ে দিয়েছেন ম্যানসিটি তারকা, ‘নিচের দিকে আমাদের অনেক খেলোয়াড় ছিল। যদি আপনার দলের ছয়জন খেলোয়াড় নিচের দিকে খেলে, তাহলে দলে কোনো সমন্বয় থাকে না। সমস্যাটা এখানেই। এটাকে ট্রানজিশন বলে না। এটা হচ্ছে নিজেদের কাজগুলো সবাই ঠিকঠাক না করার ফল।’

ডি ব্রুইনার এমন ক্ষোভ প্রকাশ স্বাভাবিক ভাবেই নিয়েছেন বেলজিয়াম কোচ দমেনিকো তেদেস্কো, ‘ও (ডি ব্রুইনা) আমাদের অধিনায়ক এবং ওর জয়ের প্রতি তীব্র ক্ষুধা আছে। তাই সে এভাবে আবেগীভাবে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে।’

দল হারলেই তিনি দোষ চাপান অন্যদের ঘাড়ে

আপডেট : ১২:৪০:২০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সর্বশেষ ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপে ফ্রান্সের কাছে ১-০ গোলে হেরে টুর্নামেন্টের শেষ ষোলো থেকেই বিদায় নিয়েছিল বেলজিয়াম। দলের হারের জন্য সে সময় সতীর্থদের ধুয়ে দিয়েছিলেন দলটির অধিনায়ক কেভিন ডি ব্রুইনা। সে ঘটনার প্রায় আড়াইমাস পর গতকাল সোমবার রাতে আবারও ফ্রান্সের মুখোমুখি হয়েছিল বেলজিয়াম। এবার ছিল নেশনস লিগের ‘এ’ স্তরের ‘গ্রুপ-২’ এ নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচ। কিন্তু টুর্নামেন্ট বদলালেও ইউরোর স্মৃতিই যেন ঘুরে ফিরে এসেছে গ্রুপামা স্টেডিয়ামে।

কোলো মুয়ানি ও উসমান দেম্বেলের দুই অর্ধের দুটি গোলে গতকাল স্বাগতিক ফ্রান্সের কাছে ২-০ গোলে হেরেছে বেলজিয়াম। যথারীতি এ হারের দায়ও সতীর্থদের ওপর চাপিয়েছেন ডি ব্রুইনা। ম্যাচের প্রথমার্ধ শেষে একবার সতীর্থদের ওপর ক্ষোভ ঝাড়তে দেখা গিয়েছিল বেলজিয়াম অধিনায়ককে। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনেও এসেও সতীর্থদের ওপর তোপ দাগিয়েছেন ম্যানচেস্টার সিটি তারকা।

ডি ব্রুইনা বলেছেন, ‘কী কী ভুল হয়েছে, সেটা আমি এখানে বলতে চাই না। এটা আমি বিরতির সময়ই দলকে বলেছিলাম। আমি এটা মিডিয়াকে পুনরাবৃত্তি করতে চাই না। কিন্তু সবকিছু আরও ভালো হতে পারত।’

ক্ষোভ ঝেড়ে বেলজিয়াম অধিনায়ক আরও বলেছেন, ‘আমরা যে মানদন্ডে পৌঁছাতে চাই, সেটা যদি সর্বোচ্চ হয়, তাহলে আমি বলব, আজকে আমরা যেভাবে খেলেছি, ঐ পর্যায়ে পৌঁছানোর জন্য এটা মোটেও যথেষ্ঠ ছিল না। সবাইকে নিজের সবটা দিতে হবে। আর সেটা যদি না করতে পারি, সব শেষ হয়ে যাওয়াটাই স্বাভাবিক।’

বেলজিয়ামের যে সোনালী প্রজন্মের কথা দীর্ঘদিন ধরেই বলা হয়, সেটাও এখন প্রায় অস্তাচলের দিকে। সিনিয়রদের মধ্যে দলে নিয়মিত কেবল ডি ব্রুইনাই। সোনালী প্রজন্মের এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় সাফল্য ২০১৮ বিশ্বকাপ। রাশিয়াতে সেমিফাইনালে যাত্রা থেমেছিল দলটির। ব্রুইনা স্বীকার করেছেন, বেলজিয়াম এখন ওই পর্যায়ের দল নয়। তাই বলে দলকে এভাবে বিপর্যস্ত দেখতে চান না ম্যানসিটি তারকা।

ডি ব্রুইনার ভাষায়, ‘এটা মানছি যে আমরা ২০১৮ সালের মতো শক্তিশালী নই। আমিই প্রথম, যে সেগুলো (দলের ভুল) দেখে। কিন্তু অন্যান্য যা হচ্ছে, তা মেনে নেওয়ার মতো নয়। সেসব আমি আর বলতে চাই না।’

বলতে না চাইলেও একটা সমস্যা দেখিয়ে দিয়েছেন ম্যানসিটি তারকা, ‘নিচের দিকে আমাদের অনেক খেলোয়াড় ছিল। যদি আপনার দলের ছয়জন খেলোয়াড় নিচের দিকে খেলে, তাহলে দলে কোনো সমন্বয় থাকে না। সমস্যাটা এখানেই। এটাকে ট্রানজিশন বলে না। এটা হচ্ছে নিজেদের কাজগুলো সবাই ঠিকঠাক না করার ফল।’

ডি ব্রুইনার এমন ক্ষোভ প্রকাশ স্বাভাবিক ভাবেই নিয়েছেন বেলজিয়াম কোচ দমেনিকো তেদেস্কো, ‘ও (ডি ব্রুইনা) আমাদের অধিনায়ক এবং ওর জয়ের প্রতি তীব্র ক্ষুধা আছে। তাই সে এভাবে আবেগীভাবে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে।’