বকেয়া উদ্ধারে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে চিঠি দিয়েছেন ভারতের আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান গৌতম আদানি। অন্তর্বর্তী সরকারের ক্ষমতা গ্রহণের ২ সপ্তাহ পরই বিদ্যুৎ বাবদ বকেয়া ৮০ কোটি ডলার দ্রুত পরিশোধের তাগাদা দেন তিনি। গেল বছরের শেষ দিক থেকেই বিল স্থগিত ছিল আদানি গ্রুপের।
২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ রপ্তানির কল্যাণে ব্যাপক লাভের মুখ দেখে বাজারমূল্যে ভারতের অন্যতম শীর্ষ ব্যবসায়িক সংগঠন আদানি গ্রুপ। এতোদিন শুধু বাংলাদেশে রপ্তানির লক্ষ্যে ভারতের ঝাড়খান্ডে ১৬শ’ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন আদানি গোড্ডা কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রে বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়ে আসলেও বাংলাদেশে ক্ষমতার পটপরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে পাল্টায় দৃশ্য।
বাংলাদেশকেন্দ্রিক বিদ্যুৎ বাণিজ্যে সম্ভাব্য ঝুঁকি থেকে গোড্ডা প্রকল্পকে রক্ষায় গেলো মাসেই সেখানে উৎপাদিত বিদ্যুৎ ভারতের বাজারেও বিক্রি করতে পারবে বলে আদানি গ্রুপকে অনুমতি দেয় ভারত সরকার। এ লক্ষ্যে সেসময় তাৎক্ষণিকভাবে জাতীয় বিদ্যুৎ রপ্তানি বিধিমালা সংশোধনও করে নয়াদিল্লি।
ওই পদক্ষেপের দু’সপ্তাহের মাথায় জানা যায়, গেল বছরের শেষের দিক থেকে বাংলাদেশে রপ্তানিকৃত বিদ্যুতের মূল্য পায়নি আদানি গ্রুপ। প্রায় আট-নয় মাসের বকেয়া বাবদ বাংলাদেশ থেকে আদানি গ্রুপের পাওনা ৮০ কোটি ডলার। বকেয়া অর্থ উদ্ধারে তখনই অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে চিঠি দেন আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান গৌতম আদানি।
ইকোনমিক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, ২৭ আগস্ট লেখা চিঠিতে বাংলাদেশের সঙ্গে আদানি গ্রুপ প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে যাচ্ছে বলে জানান গৌতম আদানি। কিন্তু বড় অঙ্কের অর্থ আটকে থাকায় আদানির পাওনাদারদের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে। এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের কাছে আটকে থাকা আদানির পাওনা অর্থ দ্রুত পরিশোধ এবং ভবিষ্যতেও নিয়মিত অর্থ পরিশোধের অনুরোধ জানান ভারতীয় এ ধনকুবের।
আদানি গোড্ডা থেকে বাংলাদেশে বাণিজ্যিকভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয় গেল বছর এপ্রিলে। দেশে উৎপাদিত বিদ্যুতের চেয়ে আমদানিকৃত বিদ্যুতের খরচ তুলনামূলক কম হলেও আদানির রপ্তানিকৃত কয়লাবিদ্যুৎ দেশের সবচেয়ে ব্যয়বহুল বলে শুরু থেকেই ব্যাপক বিতর্কিত এ প্রকল্প।