০৩:২৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কমছেই না রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ

  • অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট : ১২:১৯:৪০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • ১৭ দেখেছেন

রাখাইনে তীব্র সংঘাতের জেরে গত কয়েকদিন ধরে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে আসছে রোহিঙ্গারা। সীমান্ত পেরিয়ে এ পর্যন্ত ১২ থেকে ১৫ হাজার রোহিঙ্গা ঢুকেছে উখিয়া-টেকনাফে।

তবে নতুন করে আসা এসব রোহিঙ্গার কোনো হিসাব নেই সরকারি দপ্তরে। উদ্যোগ নেই তাদের তালিকাভুক্ত করার। ফলে নানা জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে যাচ্ছে নতুন আসা এই রোহিঙ্গারা। তাতে পুশব্যাক বা আনুষ্ঠানিকভাবে আশ্রয় দেয়ার প্রশ্ন আসলে তখন তাদের খুঁজে পাওয়াই হবে কঠিন।

যদিও শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলছে, সরকারি নির্দেশনার আগে তাদের ব্যাপারে কিছু করার সুযোগ নেই।

রোহিঙ্গাদের ঢুকতে দেয়ার ঘোর বিরোধিতা করে স্থানীয় নাগরিক সমাজ বলছেন, পরিস্থিতির কারণে যারা ঢুকছে তাদের ব্যাপারে এখনই পদক্ষেপ দরকার। একইসঙ্গে রোহিঙ্গা প্রবেশে জড়িত দালালদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়ার দাবি তাদের।

কক্সবাজার নাগরিক আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক এইচএম নজরুল ইসলাম বলেন, আর একটি রোহিঙ্গাও যেন আমাদের দেশে প্রবেশ করতে না পারে সে জন্যে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের কঠোর পদক্ষেপ চাই আমরা।

আর কক্সবাজার সিভিল সোসাইটির সভাপতি আবু মোরশেদ চৌধুরী বলেন, রোহিঙ্গাদের সঠিক তালিকা আমরা পাচ্ছি না। কারণ তারাও মনে করছে যে ওরা তালিকাভুক্ত হলে আবার তাদের পুশব্যাক করা হতে পারে। সেজন্যে তারা পালিয়ে অন্য কোথাও চলে যাচ্ছে বা আত্মীয়ের বাড়ি আশ্রয় নিচ্ছে। তবে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের সঠিক তালিকা আমাদের থাকা দরকার।

উখিয়া-টেকনাফের স্থল ও নৌপথে অন্তত ৩০টি পয়েন্ট দিয়ে গেল কয়েকদিনে অনুপ্রবেশ করেছে ১২ থেকে ১৫ হাজার রোহিঙ্গা। মূলত একাধিক দালাল চক্রের হাত ধরে তারা ঢুকে পড়ছে বাংলাদেশে।

কমছেই না রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ

আপডেট : ১২:১৯:৪০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

রাখাইনে তীব্র সংঘাতের জেরে গত কয়েকদিন ধরে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে আসছে রোহিঙ্গারা। সীমান্ত পেরিয়ে এ পর্যন্ত ১২ থেকে ১৫ হাজার রোহিঙ্গা ঢুকেছে উখিয়া-টেকনাফে।

তবে নতুন করে আসা এসব রোহিঙ্গার কোনো হিসাব নেই সরকারি দপ্তরে। উদ্যোগ নেই তাদের তালিকাভুক্ত করার। ফলে নানা জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে যাচ্ছে নতুন আসা এই রোহিঙ্গারা। তাতে পুশব্যাক বা আনুষ্ঠানিকভাবে আশ্রয় দেয়ার প্রশ্ন আসলে তখন তাদের খুঁজে পাওয়াই হবে কঠিন।

যদিও শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলছে, সরকারি নির্দেশনার আগে তাদের ব্যাপারে কিছু করার সুযোগ নেই।

রোহিঙ্গাদের ঢুকতে দেয়ার ঘোর বিরোধিতা করে স্থানীয় নাগরিক সমাজ বলছেন, পরিস্থিতির কারণে যারা ঢুকছে তাদের ব্যাপারে এখনই পদক্ষেপ দরকার। একইসঙ্গে রোহিঙ্গা প্রবেশে জড়িত দালালদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়ার দাবি তাদের।

কক্সবাজার নাগরিক আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক এইচএম নজরুল ইসলাম বলেন, আর একটি রোহিঙ্গাও যেন আমাদের দেশে প্রবেশ করতে না পারে সে জন্যে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের কঠোর পদক্ষেপ চাই আমরা।

আর কক্সবাজার সিভিল সোসাইটির সভাপতি আবু মোরশেদ চৌধুরী বলেন, রোহিঙ্গাদের সঠিক তালিকা আমরা পাচ্ছি না। কারণ তারাও মনে করছে যে ওরা তালিকাভুক্ত হলে আবার তাদের পুশব্যাক করা হতে পারে। সেজন্যে তারা পালিয়ে অন্য কোথাও চলে যাচ্ছে বা আত্মীয়ের বাড়ি আশ্রয় নিচ্ছে। তবে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের সঠিক তালিকা আমাদের থাকা দরকার।

উখিয়া-টেকনাফের স্থল ও নৌপথে অন্তত ৩০টি পয়েন্ট দিয়ে গেল কয়েকদিনে অনুপ্রবেশ করেছে ১২ থেকে ১৫ হাজার রোহিঙ্গা। মূলত একাধিক দালাল চক্রের হাত ধরে তারা ঢুকে পড়ছে বাংলাদেশে।