গরমের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সারা দেশে বাড়ছে লোডশেডিং
- আপডেট সময় : ১০:৫৯:৪৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
- / ৩৬৪ বার পড়া হয়েছে
গরমের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে লোডশেডিং। গ্রামাঞ্চলের পাশাপাশি রাজধানীতেও ঘণ্টায় ঘণ্টায় লোডশেডিং হওয়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছে নগরবাসী।
আগস্টের শেষদিকে রাজধানীতে অল্প লোডশেডিং শুরু হলেও এখন তা তীব্র আকার নিয়েছে। রাজধানীবাসী বলছে, চলতি মাসের শুরু থেকে লোডশেডিংয়ের মাত্রা বেড়ে গেছে। প্রচণ্ড গরমে দিনে দু-এক ঘণ্টা পরপর বিদ্যুৎ চলে যাচ্ছে। প্রতিদিনই রাত ১০টা পর্যন্ত এই অবস্থা চলতে থাকে। একবার গেলে বিদ্যুৎ আসছে দেড় থেকে দুই ঘণ্টা পর।
রাজধানী ছাড়া দেশের বিভিন্ন স্থানেও লোডশেডিং বাড়ার খবর পাওয়া গেছে। পিরোজপুরে দিনে ও রাতে বেড়েছে লোডশেডিং। এতে মারাত্মকভাবে বিপর্যস্ত হচ্ছে জনজীবন। আগস্ট মাসের শুরু থেকে দিনে ও রাতে পাঁচ থেকে ছয় ঘণ্টা লোডশেডিং হচ্ছে। এত অনেকটাই বিপর্যস্ত রোগী, শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ীসহ সাধারণ মানুষেরা।
জেলা বিদ্যুৎ সরবরাহ কেন্দ্র ওজোপাডিকোর সূত্রমতে, পিরোজপুর সদর উপজেলায় ওয়েস্ট পাওয়ার ডিভিশনের (ওজোপাডিকোর) ২০ হাজার গ্রাহক রয়েছে। এদের মধ্যে প্রায় ২১০০ বিভিন্ন বড়-ছোট ব্যবসায়ী গ্রাহক রয়েছে। পিরোজপুর সদর উপজেলাতে মোট বিদ্যুতের চাহিদা ৭.৫ মেগাওয়াট থাকলেও সেখানে পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ৪ থেকে ৪.৫ মেগাওয়াট। ফলে দিনে ও রাতে প্রায় পাঁচ থেকে ছয় ঘণ্টা লোডশেডিংয়ে থাকতে হচ্ছে গ্রাহকদের। সদর উপজেলাতে পাঁচটি ফিডার থাকলেও প্রায় গড়ে দুটি ফিডার বন্ধ থাকছে লোডশেডিংয়ের কারণে।
পিরোজপুর ওজোপাডিকোর উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. হাবিবুর রহমান বলেন, ‘আগস্ট মাসের শুরু থেকে পিরোজপুরে লোডশেডিংয়ের পরিমাণ কিছুটা বেড়েছে। আমাদের বিদ্যুৎ পার্শ্ববর্তী বাগেরহাট জেলা থেকে সরবরাহ করা হয়। কিন্তু সেখানেও একই অবস্থা। আশা করা যাচ্ছে কিছুদিনের মধ্যে এ সমস্যা কমে আসবে।
হবিগঞ্জেও লোডশেডিংয়ে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের আওতাধীন হবিগঞ্জ শহরে প্রতিদিন দিনে পাঁচ থেকে সাত ঘণ্টার বেশি লোডশেডিং হচ্ছে। প্রচণ্ড গরম ও লোডশেডিংয়ে ভোগান্তিতে পড়েছে শহরবাসীসহ জেলার প্রত্যন্ত এলাকার মানুষ। বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধরা নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শিক্ষার্থীদের পড়ালেখা। প্রভাব পড়েছে ব্যবসা-বাণিজ্যে।
হবিগঞ্জ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মনজুর মোর্শেদ জানান, হবিগঞ্জের জেলা শহরসহ উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে লোডশেডিংয়ে জনজীবন দুর্বিসহ হয়ে পড়েছে। জেলা শহরে বিদ্যুতের চাহিদা ১৭ থেকে ১৯ মেগাওয়াট। কিন্তু জাতীয় গ্রিড থেকে হবিগঞ্জ বিদ্যুৎ বিভাগ পাচ্ছে ১১ থেকে ১৩ মেগাওয়াট। ঘাটতি থাকছে প্রায় ছয় থেকে আট মেগাওয়াট।
প্রচণ্ড গরমের মধ্যে ১২ থেকে ১৪ ঘণ্টা বিদ্যুৎহীন থাকছে সুনামগঞ্জের বেশিরভাগ গ্রামাঞ্চলের মানুষ।
সুনামগঞ্জ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবু নুয়মান বলছেন, চাহিদার চেয়ে কম পাওয়ায় বাধ্য হয়ে লোডশেডিং দিতে হচ্ছে। সুনামগঞ্জ শহর ও শহরতলিতে শনিবার বিদ্যুতের চাহিদা ছিল ১২ মেগাওয়াট। কিন্তু জাতীয় গ্রিড লাইন থেকে সুনামগঞ্জ বিদ্যুৎ বিভাগ পেয়েছে আট মেগাওয়াট। অপরদিকে গ্রামের লোকজন আরও বেশি বিদ্যুৎ ভোগান্তিতে পড়েছেন। সুনামগঞ্জের গ্রামাঞ্চলে পল্লী বিদ্যুতের চাহিদা ৫১ মেগাওয়াট। পাওয়া যাচ্ছে ৩২ থেকে ৩৩ মেগাওওয়াট।