ভবিষ্যতে যাতে সীমান্তে বাংলাদেশি হত্যার ঘটনা আর না ঘটে সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে দুর্গাপূজার আইনশৃঙ্খলা নিয়ে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা এ কথা জানান।
সীমান্ত হত্যার বিষয়ে জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, ‘বর্ডার কিলিং (সীমান্তে হত্যা) নিয়ে এখানে একটু আলোচনা হয়েছে। এজন্য শুধু আমি বলব, ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা যাতে না ঘটে সেই ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আমি সংশ্লিষ্ট অথরিটিকে (কর্তৃপক্ষ) আদেশ করেছি। আমি আশা করব ভবিষ্যতে এই ধরনের ঘটনা ঘটবে না।’
তিনি বলেন, ‘আমি আপনাদের (সাংবাদিক) কাছে অনুরোধ করব, ভবিষ্যতে যাতে এই ধরনের ঘটনা না ঘটে আপনারাও আমাকে সাহায্য-সহযোগিতা করবেন।’
উপদেষ্টা বলেন, পূজাকে কেন্দ্র করে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এর মধ্যে নতুন মন্ডপ নির্মাণের ক্ষেত্রে সরকার শুরু থেকেই নিরাপত্তা দেবে।
মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে ১৫৭টি এবং উত্তর সিটি কর্পোরেশনে ৮৮টি মন্ডপ হবে। সারাদেশে পূজা মন্ডপের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে।’ বর্তমানে দেশে ৩২ হাজার ৬৬৬টি পূজা মন্ডপ রয়েছে বলেও জানান তিনি।
পূজা মন্ডপে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা নিশ্চিতের বিষয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘পুরো পূজোর সময় আলাদাভাবে স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ দিয়ে নিরাপত্তা অবস্থা জোরদার করা হবে।
তিনি বলেন, রাত ১টা থেকে তিনটা পর্যন্ত এবং তিনটা থেকে পাঁচটা পর্যন্ত স্বেচ্ছাসেবকরা পর্যায়ক্রমে দ্বায়িত্ব পালন করবেন। রাত্রে তিনজন এবং দিনে ২জন হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে।
উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘আজান এবং নামাজের সময় সকল মন্ডপের মাইক বন্ধ রাখতে হবে। নামাজের ৫ মিনিট আগে থেকে শুরু করে নামাজ শেষ হওয়া পর্যন্ত মাইক বন্ধ রাখতে হবে।’
উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘পূজার সময় আরেকটি সমস্যা দেখা দেয়, যেহেতু আমাদের লোক যাওয়া-আসা করে, এপারের লোক ওপারে পূজা দেখতে যায়, আবার ওপারের লোক এপারে পূজা দেখতে আসে। এখানে সবাইকে আমি অনুরোধ করেছি, এবার আপনারা বর্ডার বেল্টে ভালো ভালো পূজামণ্ডপ করেন। যাতে আমাদের লোক ওপারে না যায় পূজা দেখার জন্য। ওপারের লোকও যেন এপারে না আসে, এটার ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য।’