দেশে প্রচলিত সব কালো আইন বাতিল ও প্রযোজ্য ক্ষেত্রে সংশোধন করা হবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় জাতির উদ্দেশে ভাষণে তিনি একথা বলেন। তিনি জানিয়েছেন, এরইমধ্যে তালিকা প্রস্তুত হয়েছে। খুব শিগগির এই কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হবে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সাইবার নিরাপত্তা আইনসহ বাংলাদেশে বিদ্যমান সব কালো আইনের তালিকা করা হয়েছে। অতি সত্বর এ সকল কালো আইন বাতিল ও প্রযোজ্য ক্ষেত্রে সংশোধন করা হবে। সাংবাদিক সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডসহ বহুল আলোচিত পাঁচটি হত্যাকাণ্ডের তদন্ত ও বিচার অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ও দ্রুততম সময়ে নিষ্পত্তির জন্য সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে।
প্রধানউপদেষ্টা বলেন, সম্প্রতি আমরা বলপূর্বক গুম থেকে সকল ব্যক্তির সুরক্ষার জন্য আন্তর্জাতিক কনভেনশন সনদে স্বাক্ষর করেছি। ফলে স্বৈরাচার দ্বারা প্রতিষ্ঠিত “গুম সংস্কৃতি”র সমাপ্তি ঘটানোর জন্য আন্তর্জাতিকভাবে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হলাম। এ ছাড়া আমরা ফ্যাসিবাদী শাসনের ১৫ বছরে গুমের প্রতিটি ঘটনা তদন্ত করার জন্য পৃথক একটি কমিশন গঠন করছি। যেসব পরিবার তাদের নিখোঁজ বাবা, স্বামী, ছেলে এবং ভাইদের পাওয়ার জন্য বছরের পর বছর ধরে যন্ত্রণার সঙ্গে অপেক্ষা করছেন, আমরা আপনাদের বেদনায় সমব্যথী। তিনি বলেন, আয়নাঘরগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।এবং সেই সাথে বের হয়ে আসছে ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের গুমের শিকার ভাইবোনদের কষ্ট ও যন্ত্রণা-গাঁথা ।
গণবিপ্লবের মুখে গত ৫ আগস্ট স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীত্ব ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান। ওদিনই তার দেশত্যাগের কারণে নতুন সরকার গঠনের প্রক্রিয়া সামনে চলে আসে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ৮ আগস্ট নোবেলবিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেন। দায়িত্ব গ্রহণের পর গত ২৫ আগস্ট প্রথমবারের মতো জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন প্রধান উপদেষ্টা। এর দুই সপ্তাহ পরে আজ আবারও জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিচ্ছেন তিনি। অবশ্য এরমধ্যে তিনি ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনার সরকারের পদত্যাগের এক মাসপূর্তিতে ৫ সেপ্টেম্বর দেশবাসীকে একটি বিশেষ বার্তা দিয়েছিলেন।