ঢাকা ০৩:২৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

জনদুর্ভোগ কমাতে না পারলে কোনো পদক্ষেপই সফল করা যাবে না

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ১১:০৩:৩২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / ৩৫৬ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

গণঅভ্যুত্থানের অভিপ্রায় বাস্তবায়নে অস্থিরতা ও দীর্ঘসূত্রিতা কোনোটাই কাম্য নয় বলে মন্তব্য করেছে আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি)। জনগণের দুর্ভোগ লাঘব করতে না পারলে সংস্কারমূলক কোনো পদক্ষেপই সফল করা যাবে না বলে মনে করে দলটি।

জাতির উদ্দেশে দেওয়া প্রধান উপদেষ্টার ভাষণের প্রতিক্রিয়ায় আজ (বৃহস্পতিবার) রাজধানীর বিজয়নগরে এবি পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিমত ব্যক্ত করেন দলটির নেতৃবৃন্দ।

অন্তর্বর্তী সরকারের একমাস পূর্তির পর জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে নির্বাচন কমিশন, সংবিধান, পুলিশ প্রশাসন, দুর্নীতি দমন কমিশন, জনপ্রশাসন ও বিচার বিভাগ সংস্কারের জন্য যে ৬টি কমিশন গঠনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে সংবাদ সম্মেলন থেকে তাকে সাধুবাদ জানানো হয়েছে। কমিশনগুলো যেন দ্রুত কাজ শুরু করতে পারে এবং কোনো দীর্ঘসূত্রিতায় জড়িয়ে না পড়ে সেদিকে সতর্কতা অবলম্বনের জন্য দাবি জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে এবি পার্টির সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, সারা দেশে পুলিশি নিস্ক্রিয়তায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ও প্রমোশন, পদায়ন এবং পোস্টিংসহ নানা কারণে জনপ্রশাসনের অস্থিরতা চলছে। এগুলো নিরসন করতে হবে।

তিনি বলেন, অনেক ত্যাগ ও জীবনের বিনিময়ে যে অন্তর্বর্তী সরকার আমরা তার সাফল্য চাই। কিন্তু যেটা দৃশ্যমান হচ্ছে যে সিদ্ধান্ত নিতে একদিন লাগার কথা তা পাঁচ দিনেও হচ্ছে না। ইতোমধ্যে জনপ্রশাসনের অস্থিরতার বিষয়ে আলী ইমাম মজুমদারের ভূমিকা নিয়ে বিরাট প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। আমরা সুস্পষ্টভাবে বলতে চাই সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া, সেখানে অস্থিরতার কোনো সুযোগ নাই।

ছয়টি কমিশন গঠনের কথা উল্লেখ করে মঞ্জু বলেন, নির্বাচন কমিশন ও দুর্নীতি দমন কমিশন নিজেই একটা কমিশন, এই জায়গাগুলোতে যাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে সেখানে তাদেরকে সরাসরি কমিশনের চেয়ারম্যান আকারে নিয়োগ দিলেই তারা যথেষ্ট সংস্কার করতে পারতেন। নতুন করে আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় ফেলার কোনো প্রয়োজন ছিল না।

এবি পার্টির এ শীর্ষ নেতা বলেন, স্থানীয় সরকার বিভাগে ইউনিয়ন ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানরা না থাকায় মানুষ কোনো সেবা পাচ্ছে না। সেখানে যাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তারা জনগণকে যথাযথ সেবা দিতে পারছে না। এটা নিয়ে সরকারকে নতুন করে ভাবতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন— এবি পার্টির কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক প্রফেসর ডা. মেজর (অব.) আব্দুল ওহাব মিনার, বিএম নাজমুল হক, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) হেলাল উদ্দিন, দপ্তর সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন রানা, প্রচার সম্পাদক আনোয়ার সাদাত টুটুল, সিনিয়র সহকারী সদস্যসচিব এবিএম খালিদ হাসান, মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আলতাফ হোসাইন।

নিউজটি শেয়ার করুন

জনদুর্ভোগ কমাতে না পারলে কোনো পদক্ষেপই সফল করা যাবে না

আপডেট সময় : ১১:০৩:৩২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

গণঅভ্যুত্থানের অভিপ্রায় বাস্তবায়নে অস্থিরতা ও দীর্ঘসূত্রিতা কোনোটাই কাম্য নয় বলে মন্তব্য করেছে আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি)। জনগণের দুর্ভোগ লাঘব করতে না পারলে সংস্কারমূলক কোনো পদক্ষেপই সফল করা যাবে না বলে মনে করে দলটি।

জাতির উদ্দেশে দেওয়া প্রধান উপদেষ্টার ভাষণের প্রতিক্রিয়ায় আজ (বৃহস্পতিবার) রাজধানীর বিজয়নগরে এবি পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিমত ব্যক্ত করেন দলটির নেতৃবৃন্দ।

অন্তর্বর্তী সরকারের একমাস পূর্তির পর জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে নির্বাচন কমিশন, সংবিধান, পুলিশ প্রশাসন, দুর্নীতি দমন কমিশন, জনপ্রশাসন ও বিচার বিভাগ সংস্কারের জন্য যে ৬টি কমিশন গঠনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে সংবাদ সম্মেলন থেকে তাকে সাধুবাদ জানানো হয়েছে। কমিশনগুলো যেন দ্রুত কাজ শুরু করতে পারে এবং কোনো দীর্ঘসূত্রিতায় জড়িয়ে না পড়ে সেদিকে সতর্কতা অবলম্বনের জন্য দাবি জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে এবি পার্টির সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, সারা দেশে পুলিশি নিস্ক্রিয়তায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ও প্রমোশন, পদায়ন এবং পোস্টিংসহ নানা কারণে জনপ্রশাসনের অস্থিরতা চলছে। এগুলো নিরসন করতে হবে।

তিনি বলেন, অনেক ত্যাগ ও জীবনের বিনিময়ে যে অন্তর্বর্তী সরকার আমরা তার সাফল্য চাই। কিন্তু যেটা দৃশ্যমান হচ্ছে যে সিদ্ধান্ত নিতে একদিন লাগার কথা তা পাঁচ দিনেও হচ্ছে না। ইতোমধ্যে জনপ্রশাসনের অস্থিরতার বিষয়ে আলী ইমাম মজুমদারের ভূমিকা নিয়ে বিরাট প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। আমরা সুস্পষ্টভাবে বলতে চাই সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া, সেখানে অস্থিরতার কোনো সুযোগ নাই।

ছয়টি কমিশন গঠনের কথা উল্লেখ করে মঞ্জু বলেন, নির্বাচন কমিশন ও দুর্নীতি দমন কমিশন নিজেই একটা কমিশন, এই জায়গাগুলোতে যাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে সেখানে তাদেরকে সরাসরি কমিশনের চেয়ারম্যান আকারে নিয়োগ দিলেই তারা যথেষ্ট সংস্কার করতে পারতেন। নতুন করে আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় ফেলার কোনো প্রয়োজন ছিল না।

এবি পার্টির এ শীর্ষ নেতা বলেন, স্থানীয় সরকার বিভাগে ইউনিয়ন ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানরা না থাকায় মানুষ কোনো সেবা পাচ্ছে না। সেখানে যাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তারা জনগণকে যথাযথ সেবা দিতে পারছে না। এটা নিয়ে সরকারকে নতুন করে ভাবতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন— এবি পার্টির কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক প্রফেসর ডা. মেজর (অব.) আব্দুল ওহাব মিনার, বিএম নাজমুল হক, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) হেলাল উদ্দিন, দপ্তর সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন রানা, প্রচার সম্পাদক আনোয়ার সাদাত টুটুল, সিনিয়র সহকারী সদস্যসচিব এবিএম খালিদ হাসান, মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আলতাফ হোসাইন।