০৩:২০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির আভাস, বন্দরে ৩ নম্বর সংকেত

  • অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট : ১২:২৫:৩৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • ১৬ দেখেছেন

আগামী ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের পাঁচ বিভাগে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির আভাস দিয়েছে বেসরকারি আবহাওয়া সংস্থা বাংলাদেশ ওয়েদার অবজারভেশন টিম (বিডব্লিউওটি)। ভারী বৃষ্টির ফলে নয় জেলার নিচু এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া পার্বত্য অঞ্চলে পাহাড় ধসের আশঙ্কা করছে বিডব্লিউওটি।

এদিকে, দেশের সাত অঞ্চলের ওপর দিয়ে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা সৃষ্টি হচ্ছে। এ কারণে দেশের সমুদ্র বন্দরগুলোকে ৩ নম্বর তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকালে আবহাওয়াবিদ মনোয়ার হোসেন সই করা আবহাওয়া সতর্কবার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা সৃষ্টি হচ্ছে। এর প্রভাবে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা, উত্তর বঙ্গোপসাগর এবং সমুদ্র বন্দরগুলোর ওপর দিয়ে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। যে কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

আবহওয়ার আরেক পূর্বাভাসে বলা হয়েছে- পূর্ব মধ্য প্রদেশ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি ঘনীভূত হয়ে একই এলাকায় স্থল নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি আরও ঘনীভূত হতে পারে। সেই সাথে বাংলাদেশের ওপর মৌসুমি বায়ু সক্রিয় এবং উত্তর অবস্থায় রয়েছে। বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে একটি লঘুচাপ সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।

পূর্বাভাসে আরও বলা হয়েছে ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে অতি ভারি বর্ষণ হতে পারে। সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা হ্রাস পেতে পারে।

এছাড়াও পরবর্তী পাঁচ দিনের শেষের দিকে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা হ্রাস পারে বলের জানিয়েছে আবহওয়া অধিদপ্তর।

এদিকে, বেসরকারি বিডব্লিউওটি সংস্থাটি জানায়, আবহাওয়ার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্যারামিটার ও আবহাওয়ার মডেলগুলো বিশ্লেষণ করে আগামী এক সপ্তাহে দেশের আবহাওয়ার বিশেষ পরিবর্তনের সম্ভাবনা রয়েছে। এসব পরিবর্তনে মধ্যে ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ, জলাবদ্ধতা, পাহাড় ধস ও বন্যার মতো দুর্যোগের আশঙ্কা রয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম বিভাগ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ/স্থল লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। যা বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলের ওপর দিয়ে ধীর গতিতে পশ্চিমবঙ্গের দিকে অগ্রসর হতে পারে। এর প্রভাবে আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশের একাংশে বৃষ্টি বলয় প্রবল সক্রিয় হতে পারে। যে কারণে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম, বরিশাল, খুলনা, সিলেট ও ঢাকা বিভাগের অনেক এলাকায় ব্যাপক ভারী বর্ষণ হতে পারে।

বিডব্লিউওটি আরও জানায়, ১২ সেপ্টেম্বর থেকে ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে উজানে এবং দেশের মধ্যে ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণের কারণে কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি, ফেনী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর ও চাঁদপুর জেলার নিচু এলাকা প্লাবিত হতে পারে। পাশাপাশি খুলনা, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের নিচু এলাকায় ভারী বর্ষণের কারণে সাময়িক জলাবদ্ধতার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া পার্বত্য চট্টগ্রামের কতিপয় অঞ্চলে আজ থেকে ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ভারী বর্ষণজনিত কারণে পাহাড় ধসের আশঙ্কা রয়েছে। বঙ্গোপসাগরে সম্ভাব্য লঘুচাপটি সুস্পষ্ট লঘুচাপ বা স্থল নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা থাকায় এর প্রভাবে ১৩ থেকে ১৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সাগর বেশ উত্তাল থাকতে পারে। এতে গভীর সাগরে বিচরণ অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে- রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে অতি ভারি বর্ষণ হতে পারে। সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির আভাস, বন্দরে ৩ নম্বর সংকেত

আপডেট : ১২:২৫:৩৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

আগামী ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের পাঁচ বিভাগে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির আভাস দিয়েছে বেসরকারি আবহাওয়া সংস্থা বাংলাদেশ ওয়েদার অবজারভেশন টিম (বিডব্লিউওটি)। ভারী বৃষ্টির ফলে নয় জেলার নিচু এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া পার্বত্য অঞ্চলে পাহাড় ধসের আশঙ্কা করছে বিডব্লিউওটি।

এদিকে, দেশের সাত অঞ্চলের ওপর দিয়ে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা সৃষ্টি হচ্ছে। এ কারণে দেশের সমুদ্র বন্দরগুলোকে ৩ নম্বর তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকালে আবহাওয়াবিদ মনোয়ার হোসেন সই করা আবহাওয়া সতর্কবার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা সৃষ্টি হচ্ছে। এর প্রভাবে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা, উত্তর বঙ্গোপসাগর এবং সমুদ্র বন্দরগুলোর ওপর দিয়ে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। যে কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

আবহওয়ার আরেক পূর্বাভাসে বলা হয়েছে- পূর্ব মধ্য প্রদেশ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি ঘনীভূত হয়ে একই এলাকায় স্থল নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি আরও ঘনীভূত হতে পারে। সেই সাথে বাংলাদেশের ওপর মৌসুমি বায়ু সক্রিয় এবং উত্তর অবস্থায় রয়েছে। বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে একটি লঘুচাপ সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।

পূর্বাভাসে আরও বলা হয়েছে ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে অতি ভারি বর্ষণ হতে পারে। সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা হ্রাস পেতে পারে।

এছাড়াও পরবর্তী পাঁচ দিনের শেষের দিকে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা হ্রাস পারে বলের জানিয়েছে আবহওয়া অধিদপ্তর।

এদিকে, বেসরকারি বিডব্লিউওটি সংস্থাটি জানায়, আবহাওয়ার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্যারামিটার ও আবহাওয়ার মডেলগুলো বিশ্লেষণ করে আগামী এক সপ্তাহে দেশের আবহাওয়ার বিশেষ পরিবর্তনের সম্ভাবনা রয়েছে। এসব পরিবর্তনে মধ্যে ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ, জলাবদ্ধতা, পাহাড় ধস ও বন্যার মতো দুর্যোগের আশঙ্কা রয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম বিভাগ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ/স্থল লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। যা বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলের ওপর দিয়ে ধীর গতিতে পশ্চিমবঙ্গের দিকে অগ্রসর হতে পারে। এর প্রভাবে আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশের একাংশে বৃষ্টি বলয় প্রবল সক্রিয় হতে পারে। যে কারণে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম, বরিশাল, খুলনা, সিলেট ও ঢাকা বিভাগের অনেক এলাকায় ব্যাপক ভারী বর্ষণ হতে পারে।

বিডব্লিউওটি আরও জানায়, ১২ সেপ্টেম্বর থেকে ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে উজানে এবং দেশের মধ্যে ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণের কারণে কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি, ফেনী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর ও চাঁদপুর জেলার নিচু এলাকা প্লাবিত হতে পারে। পাশাপাশি খুলনা, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের নিচু এলাকায় ভারী বর্ষণের কারণে সাময়িক জলাবদ্ধতার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া পার্বত্য চট্টগ্রামের কতিপয় অঞ্চলে আজ থেকে ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ভারী বর্ষণজনিত কারণে পাহাড় ধসের আশঙ্কা রয়েছে। বঙ্গোপসাগরে সম্ভাব্য লঘুচাপটি সুস্পষ্ট লঘুচাপ বা স্থল নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা থাকায় এর প্রভাবে ১৩ থেকে ১৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সাগর বেশ উত্তাল থাকতে পারে। এতে গভীর সাগরে বিচরণ অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে- রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে অতি ভারি বর্ষণ হতে পারে। সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।