০৯:৩১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৩ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আমদানির পরেও কেন কমছে না ডিমের দাম?

গত বছরের নভেম্বরে ভারত থেকে ৫০ লাখ ডিম আমদানির অনুমতি দেয় সরকার। এ বছরের ১০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সেগুলো দেশে আসার কথা ছিল। কিন্তু এসেছে মাত্র ২ লাখ ৯২ হাজার ডিম।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, ডলার সংকট ও রাজনৈতিক অস্থিরতায় ডিম আমদানি কম হয়েছে। ফলে ডিমের দাম তো কমেইনি বরং বেড়েছে। টিসিবির হিসাবে, এক বছরে ডিমের দাম বেড়েছে ৪ শতাংশ।

ফলে ডিম এখন আর সস্তায় মিলছে না। বাজারে খুচরা পর্যায়ে প্রতি ডজন ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৬৫ টাকায়।

রাজধানীর একজন ডিম বিক্রেতা বলেন, ‘সরকার পরিবর্তন হয়েছে। এখন তো বাজারজাত ঠিকভাবে হচ্ছে না বা ওভাবে ডিম আসছেও না। বিভিন্ন চাপের কারণে এভাবে ডিমের দাম বাড়ছে।’

ডিমের বাজার নিয়ন্ত্রণে গত বছরের নভেম্বরে ৫০ লাখ ডিম আমদানির অনুমতি পেয়েছিল দুটি প্রতিষ্ঠান। ঐ মাসেই প্রথম চালানে আসে ৬১ হাজার ৮৫০ ডিম। দশ মাস পর দ্বিতীয় চালানে গত সোমবার আসে ২ লাখ ৩১ হাজার ৮৪০টি।

আমদানিকারকরা জানান, ভারত থেকে প্রতিটি ডিম কেনা হয়েছে ৫ টাকা ৭০ পয়সা দরে। এর সাথে রয়েছে আমদানি শুল্ক, পরিবহন ও শ্রমিক খরচ। সব মিলিয়ে খরচ ১০ টাকার বেশি।

ব্যবসায়ীদের দাবি, এলসি সংকট ও রাজনৈতিক অস্থিরতায় আমদানি সম্ভব হয়নি। চাহিদা অনুযায়ী আমদানি হলে বাজারে কিছুটা হলেও প্রভাব পড়তো।

ডিম আমদানিকারক রাতুল ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী আব্দুল লতিফ বলেন, ‘এটা বর্তমান সরকারের হাতেই আছে, এনবিআর ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের হাতে। তারা দেখবেন বিষয়টা। যদি শুল্ক প্রত্যাহার করেন তাহলে আমরা কন্টিনিউ এই পণ্যটা বাজারে নিয়ে আসব এবং প্রতিদিন প্রায় ১০ লাখ করে ডিম আনার ক্যাপাসিটি আমাদের আছে।’

ডিমের দাম কেন নাগালে আসছে না, এমন প্রশ্নে ব্যবসায়ীদের দাবি, উৎপাদন খরচ বেশি তাই দাম কমছে না।

এগ প্রডিউসারস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি তাহের আহমেদ সিদ্দিকী বলেন, ‘ফিডের দাম বেশি। তারপর প্রোডাকশনটাও তো সব সময় একই থাকে না। একটা মুরগি যে প্রোডাকশন দেয় সেটা কি সব সময় এক রকম থাকে? অনেক সময় কম বেশি হতে পারে না? এটা ন্যাচারাল ব্যাপার।’

পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের তথ্যানুযায়ী, দেশে দিনে ডিমের চাহিদা সাড়ে চার কোটি পিস।

আমদানির পরেও কেন কমছে না ডিমের দাম?

আপডেট : ০১:৩৯:১৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪

গত বছরের নভেম্বরে ভারত থেকে ৫০ লাখ ডিম আমদানির অনুমতি দেয় সরকার। এ বছরের ১০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সেগুলো দেশে আসার কথা ছিল। কিন্তু এসেছে মাত্র ২ লাখ ৯২ হাজার ডিম।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, ডলার সংকট ও রাজনৈতিক অস্থিরতায় ডিম আমদানি কম হয়েছে। ফলে ডিমের দাম তো কমেইনি বরং বেড়েছে। টিসিবির হিসাবে, এক বছরে ডিমের দাম বেড়েছে ৪ শতাংশ।

ফলে ডিম এখন আর সস্তায় মিলছে না। বাজারে খুচরা পর্যায়ে প্রতি ডজন ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৬৫ টাকায়।

রাজধানীর একজন ডিম বিক্রেতা বলেন, ‘সরকার পরিবর্তন হয়েছে। এখন তো বাজারজাত ঠিকভাবে হচ্ছে না বা ওভাবে ডিম আসছেও না। বিভিন্ন চাপের কারণে এভাবে ডিমের দাম বাড়ছে।’

ডিমের বাজার নিয়ন্ত্রণে গত বছরের নভেম্বরে ৫০ লাখ ডিম আমদানির অনুমতি পেয়েছিল দুটি প্রতিষ্ঠান। ঐ মাসেই প্রথম চালানে আসে ৬১ হাজার ৮৫০ ডিম। দশ মাস পর দ্বিতীয় চালানে গত সোমবার আসে ২ লাখ ৩১ হাজার ৮৪০টি।

আমদানিকারকরা জানান, ভারত থেকে প্রতিটি ডিম কেনা হয়েছে ৫ টাকা ৭০ পয়সা দরে। এর সাথে রয়েছে আমদানি শুল্ক, পরিবহন ও শ্রমিক খরচ। সব মিলিয়ে খরচ ১০ টাকার বেশি।

ব্যবসায়ীদের দাবি, এলসি সংকট ও রাজনৈতিক অস্থিরতায় আমদানি সম্ভব হয়নি। চাহিদা অনুযায়ী আমদানি হলে বাজারে কিছুটা হলেও প্রভাব পড়তো।

ডিম আমদানিকারক রাতুল ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী আব্দুল লতিফ বলেন, ‘এটা বর্তমান সরকারের হাতেই আছে, এনবিআর ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের হাতে। তারা দেখবেন বিষয়টা। যদি শুল্ক প্রত্যাহার করেন তাহলে আমরা কন্টিনিউ এই পণ্যটা বাজারে নিয়ে আসব এবং প্রতিদিন প্রায় ১০ লাখ করে ডিম আনার ক্যাপাসিটি আমাদের আছে।’

ডিমের দাম কেন নাগালে আসছে না, এমন প্রশ্নে ব্যবসায়ীদের দাবি, উৎপাদন খরচ বেশি তাই দাম কমছে না।

এগ প্রডিউসারস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি তাহের আহমেদ সিদ্দিকী বলেন, ‘ফিডের দাম বেশি। তারপর প্রোডাকশনটাও তো সব সময় একই থাকে না। একটা মুরগি যে প্রোডাকশন দেয় সেটা কি সব সময় এক রকম থাকে? অনেক সময় কম বেশি হতে পারে না? এটা ন্যাচারাল ব্যাপার।’

পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের তথ্যানুযায়ী, দেশে দিনে ডিমের চাহিদা সাড়ে চার কোটি পিস।