০৭:২৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৩ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অস্ট্রেলিয়ার জয়রথ থামিয়ে সিরিজে সমতা ফেরাল ইংল্যান্ড

সিরিজের প্রথম ম্যাচে বল হাতে উইকেট নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার বড় সংগ্রহ থামিয়েছিলেন। তবে ৩ ওভারে ২২ রানে ৩ উইকেট পাওয়া লিয়াম লিভিংস্টোন সাউদাম্পটনে ব্যাট হাতে দলকে জেতাতে ব্যর্থ হন। আগের ম্যাচে হারের ক্ষত গতকাল রাতে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে সুদে-আসলে বুঝে নিয়েছেন এই ইংলিশ অলরাউন্ডার। কার্ডিফে লিভিংস্টোন ঝড়ে সফরকারীদের ৩ উইকেটে হারিয়ে সিরিজে সমতায় ইংল্যান্ড।

ইংল্যান্ড সফরের আগে স্কটল্যান্ডকে ৩-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ করেছিল অস্ট্রেলিয়া। স্কটিশদের ধবলধোলাইয়ের পর ইংল্যান্ডকেও সিরিজের প্রথম ম্যাচে দাপটের সঙ্গে হারায় মিচেল মার্শের দল। তবে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে টানা চার ম্যাচ ধরে জয়হীন থাকা অস্ট্রেলিয়াকে থামিয়েছেন ইংলিশ অলরাউন্ডার লিয়াম লিভিংস্টোন।

কার্ডিফে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে লিভিংস্টোনের অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে অস্ট্রেলিয়াকে ৩ উইকেটে হারিয়েছে ইংল্যান্ড। সিরিজে টিকে থাকার লড়াইয়ে ১৯৪ রানের বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে লিয়াম লিভিংস্টোনের ৮৭ ও জেকভ ব্যাথেলের ৪৪ রানের ইনিংসে এক ওভার আগেই ৩ উইকেটে ম্যাচ জিতে নেয় ইংল্যান্ড। এই জয়ে তিন ম্যাচ সিরিজে সমতা ফেরাল স্বাগতিকরা।

অস্ট্রেলিয়ার দেওয়া ১৯৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে প্রথম তিন ওভারে উড়ন্ত সূচনা পান দুই ইংলিশ ওপেনার ফিল সল্ট ও উইল জ্যাকস। বিনা উইকেটে ৩ ওভারে ৩৪ রান তোলা স্বাগতিকদের ইনিংসে চতুর্থ ওভারেই ধস নামান শন অ্যাবট। এক ওভারে ওপেনার জ্যাকস ও জরদান কক্সকে ফিরিয়ে অজি শিবিরে সস্তি এনে দেন অ্যাবট।

তবে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে লিভিংস্টোনকে সঙ্গে নিয়ে রানের গতি বাড়াত থাকেন অধিনায়ক ফিল সল্ট। ব্যাটিং পাওয়ার প্লেতে ২ উইকেট হারিয়ে ৬৫ রান তোলে স্বাগতিকরা।

উড়ন্ত সূচনা পাওয়া ইংলিশ ডেরায় নবম ওভারে আঘাত হানেন ম্যাথিউ শর্ট। ইংলিশ অধিনায়ক সল্টকে ৩৯ রানে (২৩বল) ফেরান এই অফ স্পিনার। তৃতীয় উইকেট পতনের পর ক্রিজে নেমে লিভিংস্টোনকে সঙ্গ দিতে থাকেন গত ম্যাচে অভিষিক্ত হওয়া জ্যাকভ বেথেল।

মাঝ ওভারে অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের ওপর চড়াও হন লিভিংস্টোন। প্রথম ম্যাচে ৩৭ রান করা এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান দলকে জেতাতে না পারার ক্ষোভ দ্বিতীয় ম্যাচে সুদে-আসলে নিয়েছেন। জয়ের জন্য স্বাগতিকদের শেষ দশ ওভারে ১০৪ রানের প্রয়োজন ছিল।

মাঝ ওভারে জাম্পা-গ্রিনদের বল একের পর এক মাঠ ছাড়া করেছেন লিভিংস্টোন-ব্যাথেল জুটি। ১৬ ওভারে ১৬৯ রান স্কোর বোর্ডে তোলে এই জুটি। জয় যখন দ্বারপ্রান্তে তখন ২৪ বলে ৪৪ রান করে শর্টের বলে ফেরেন বেথেল।

এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান ফিরলেও দলের জয় নিশ্চিত করেন লিভিংস্টোন। শেষ পর্যন্ত এই ডানহাতি অলরাউন্ডারের ৪৭ বলে ৮৭ রানের (৬ চার, ৫ ছয়) বিধ্বংসী ইনিংসে ৬ বল হাতে রেখে ৩ উইকেট জয় পায় ইংল্যান্ড। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ২২ রানে ৫ উইকেট নেন শর্ট।

এর আগে টসে হেরে ইংলিশ বোলারদের ওপর চড়াও হন অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যানরা। পাওয়ার প্লেতে ১ উইকেটে ৬৭ রান তোলা অজিরা মাঝ ওভারে জ্যাক ফ্রেজার ম্যাগার্কের ফিফটিতে বড় সংগ্রহের ভীত গড়ে।শেষ দিকে জস ইংলিশের ৪২ ও অ্যারন হার্ডির ৯ বলে ২০ রানের ইনিংসে ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৯৩ রান করে অস্ট্রেলিয়া। ইংলিশদের হয়ে ৩ ওভারে ১৬ রানে ২ উইকেট নেন লিভিংস্টোন।

সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টি আগামীকাল ম্যানচেস্টারে অনুষ্ঠিত হবে।

রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রকল্প বাতিল : পরিকল্পনা উপদেষ্টা

অস্ট্রেলিয়ার জয়রথ থামিয়ে সিরিজে সমতা ফেরাল ইংল্যান্ড

আপডেট : ০২:১২:২৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সিরিজের প্রথম ম্যাচে বল হাতে উইকেট নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার বড় সংগ্রহ থামিয়েছিলেন। তবে ৩ ওভারে ২২ রানে ৩ উইকেট পাওয়া লিয়াম লিভিংস্টোন সাউদাম্পটনে ব্যাট হাতে দলকে জেতাতে ব্যর্থ হন। আগের ম্যাচে হারের ক্ষত গতকাল রাতে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে সুদে-আসলে বুঝে নিয়েছেন এই ইংলিশ অলরাউন্ডার। কার্ডিফে লিভিংস্টোন ঝড়ে সফরকারীদের ৩ উইকেটে হারিয়ে সিরিজে সমতায় ইংল্যান্ড।

ইংল্যান্ড সফরের আগে স্কটল্যান্ডকে ৩-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ করেছিল অস্ট্রেলিয়া। স্কটিশদের ধবলধোলাইয়ের পর ইংল্যান্ডকেও সিরিজের প্রথম ম্যাচে দাপটের সঙ্গে হারায় মিচেল মার্শের দল। তবে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে টানা চার ম্যাচ ধরে জয়হীন থাকা অস্ট্রেলিয়াকে থামিয়েছেন ইংলিশ অলরাউন্ডার লিয়াম লিভিংস্টোন।

কার্ডিফে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে লিভিংস্টোনের অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে অস্ট্রেলিয়াকে ৩ উইকেটে হারিয়েছে ইংল্যান্ড। সিরিজে টিকে থাকার লড়াইয়ে ১৯৪ রানের বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে লিয়াম লিভিংস্টোনের ৮৭ ও জেকভ ব্যাথেলের ৪৪ রানের ইনিংসে এক ওভার আগেই ৩ উইকেটে ম্যাচ জিতে নেয় ইংল্যান্ড। এই জয়ে তিন ম্যাচ সিরিজে সমতা ফেরাল স্বাগতিকরা।

অস্ট্রেলিয়ার দেওয়া ১৯৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে প্রথম তিন ওভারে উড়ন্ত সূচনা পান দুই ইংলিশ ওপেনার ফিল সল্ট ও উইল জ্যাকস। বিনা উইকেটে ৩ ওভারে ৩৪ রান তোলা স্বাগতিকদের ইনিংসে চতুর্থ ওভারেই ধস নামান শন অ্যাবট। এক ওভারে ওপেনার জ্যাকস ও জরদান কক্সকে ফিরিয়ে অজি শিবিরে সস্তি এনে দেন অ্যাবট।

তবে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে লিভিংস্টোনকে সঙ্গে নিয়ে রানের গতি বাড়াত থাকেন অধিনায়ক ফিল সল্ট। ব্যাটিং পাওয়ার প্লেতে ২ উইকেট হারিয়ে ৬৫ রান তোলে স্বাগতিকরা।

উড়ন্ত সূচনা পাওয়া ইংলিশ ডেরায় নবম ওভারে আঘাত হানেন ম্যাথিউ শর্ট। ইংলিশ অধিনায়ক সল্টকে ৩৯ রানে (২৩বল) ফেরান এই অফ স্পিনার। তৃতীয় উইকেট পতনের পর ক্রিজে নেমে লিভিংস্টোনকে সঙ্গ দিতে থাকেন গত ম্যাচে অভিষিক্ত হওয়া জ্যাকভ বেথেল।

মাঝ ওভারে অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের ওপর চড়াও হন লিভিংস্টোন। প্রথম ম্যাচে ৩৭ রান করা এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান দলকে জেতাতে না পারার ক্ষোভ দ্বিতীয় ম্যাচে সুদে-আসলে নিয়েছেন। জয়ের জন্য স্বাগতিকদের শেষ দশ ওভারে ১০৪ রানের প্রয়োজন ছিল।

মাঝ ওভারে জাম্পা-গ্রিনদের বল একের পর এক মাঠ ছাড়া করেছেন লিভিংস্টোন-ব্যাথেল জুটি। ১৬ ওভারে ১৬৯ রান স্কোর বোর্ডে তোলে এই জুটি। জয় যখন দ্বারপ্রান্তে তখন ২৪ বলে ৪৪ রান করে শর্টের বলে ফেরেন বেথেল।

এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান ফিরলেও দলের জয় নিশ্চিত করেন লিভিংস্টোন। শেষ পর্যন্ত এই ডানহাতি অলরাউন্ডারের ৪৭ বলে ৮৭ রানের (৬ চার, ৫ ছয়) বিধ্বংসী ইনিংসে ৬ বল হাতে রেখে ৩ উইকেট জয় পায় ইংল্যান্ড। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ২২ রানে ৫ উইকেট নেন শর্ট।

এর আগে টসে হেরে ইংলিশ বোলারদের ওপর চড়াও হন অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যানরা। পাওয়ার প্লেতে ১ উইকেটে ৬৭ রান তোলা অজিরা মাঝ ওভারে জ্যাক ফ্রেজার ম্যাগার্কের ফিফটিতে বড় সংগ্রহের ভীত গড়ে।শেষ দিকে জস ইংলিশের ৪২ ও অ্যারন হার্ডির ৯ বলে ২০ রানের ইনিংসে ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৯৩ রান করে অস্ট্রেলিয়া। ইংলিশদের হয়ে ৩ ওভারে ১৬ রানে ২ উইকেট নেন লিভিংস্টোন।

সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টি আগামীকাল ম্যানচেস্টারে অনুষ্ঠিত হবে।