ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেনের নেতৃত্বে গঠিত গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তির সকল কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। আজ শনিবার সংগঠনটির ফেসবুক পেজে একটি পোস্টে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
ওই পোস্টে লেখা হয়, গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তির সকল কমিটি ও কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। ডাকসুর সাবেক সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেন জানান, এই সংগঠনটির কার্যক্রম আরও আগেই স্থগিত করা হয়েছে।
এমন এক সময়ে গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তি তাদের কমিটি ও কার্যক্রম স্থগিত করল যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে সব ধরনের ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম এই সংগঠনের কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব পদে ছিলেন। এছাড়া ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ এই সংগঠনের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক ছিলেন।
সম্প্রতি গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অধিকাংশ সমম্বয়ক দলনিরপেক্ষ এই ছাত্র সংগঠনের বিভিন্ন পদে ছিলেন।
সমম্বয়ক লুৎফর রহমান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আরিফ সোহেল, যুগ্ম আহ্বায়ক পদে ছিলেন। এছাড়া সমম্বয়ক নুসরাত তাবাসসুম, যুগ্ম সদস্য সচিব পদে ছিলেন।
সমম্বয়ক আব্দুল কাদের ও তারেকুল ইসলাম সংগঠনটির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন। আবু বাকের মজুমদার ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সদস্য সচিব। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যুগ্ম সদস্য সচিব হিসেবে ছিলেন রাফিয়া রেহনুমা হৃদি, আব্দুল হান্নান মাসউদ।
এছাড়া সদস্য হিসেবে মো. রাশিদুল ইসলাম রিফাত, হাসির আল ইসলাম, আব্দুল্লাহ সালেহীন অয়ন, মুসাদ্দিক আলী ইবনে মোহাম্মদ যুক্ত ছিলেন।
২০২৩ সালের ৪ অক্টোবর ডাকসুর সামনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন করে সংগঠনটি আত্মপ্রকাশ করে। সংগঠনটির এক বছর পূর্ণ হওয়ার আগেই সরকারের অংশ হয়েছেন সংগঠনের দুই নেতা।