মুক্তিযোদ্ধা কোটায় সরকারি ও আধা সরকারি প্রতিষ্ঠানে কতজনের চাকরি হয়েছে এর তালিকা হচ্ছে। এখানে কোনো অনিয়ম হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম।
আজ রোববার সচিবালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে অস্ট্রেলিয়ান রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে উপদেষ্টা এই সিদ্ধান্তের কথা জানান।
উপদেষ্টা ফরুক ই আজম বলেন, অর্থনৈতিক সহযোগিতার বিষয়ে নির্দিষ্ট কোনও প্রস্তাব দেওয়া হয়নি। আমরা বলেছি বন্যার কারণে মানুষের অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। কেউ মাছ চাষ করতেন, কেউ হাঁস মুরগি পালন করতেন, গ্রামীণ পর্যায়ে অর্থনৈতিক উদ্যোগ ছিল, সেই উদ্যোগগুলো তারা হারিয়েছেন। সে ক্ষেত্রে আর্থিক সহযোগিতা তাদের প্রয়োজন। এই বিষয়গুলো আমরা তাদেরকে জানিয়েছি। তারা সহযোগিতার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
তিনি বলেন, ব্যাকের মাধ্যমে এখনো তারা সহযোগিতা করছেন। এনজিওগুলো তাদের সহযোগিতা নিয়ে মাঠে কাজ করছে। কিছু কিছু জায়গা থেকে ক্ষয়ক্ষতির তথ্যগুলো আসছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিপূর্ণ হিসাব এখনো করা হয়নি। আগামী ১৭ তারিখ আমরা সেটা জানাতে পারবো।
তিনি আরও বলেন, বন্যায় পুনর্বাসনের প্রক্রিয়া পদ্ধতি সকল মন্ত্রণালয় করবে, সেটি সমন্বয় করার জন্য কেন্দ্রীয়ভাবে কমিটি গঠন করা হয়েছে। এটা জেলা পর্যায়ের কমিটি হয়েছে, উপজেলা পর্যায়েও হবে। এই কমিটিতে সকল পর্যায়ের নেতৃত্ব রাখা হয়েছে। পুনর্বাসনের যে কাজগুলো হবে সেগুলো তারা মনিটরিং করবে।
ফারুক-ই-আজম বলেন, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধাদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হতো। মন্ত্রণালয় সেখানে তদারকি করত না। তিনি বলেন, সকল মন্ত্রণালয়, দপ্তর, অধিদপ্তরে চিঠি দিয়ে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরি প্রাপ্তদের তালিকা চাওয়া হয়েছে।
মুক্তিযুদ্ধের মতো গৌরবোজ্জ্বল ঘটনা আর নেই উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা সেই গৌরব ফিরে চায়। ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার তালিকা রিভিউ করা হবে। যারা ভুয়া, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বন্যা পুনর্বাসন কার্যক্রম নিয়ে ত্রাণ উপদেষ্টা বলেন, বন্যায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও নিরূপণ হয়নি। আরও এক সপ্তাহ লাগবে। বন্যায় পুনর্বাসন কর্মসূচিতে সাহায্য ও সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে। বিষয়টি তারা বিবেচনায় নিয়ে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে।