১০:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে কৌশলগত সম্পর্ক বাড়াচ্ছে রাশিয়া

কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নে জোর দিয়েছে রাশিয়া। ইরানের পর উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে পারস্পরিক সহযোগিতাসহ কৌশলগত সম্পর্ক এগিয়ে নিচ্ছে মস্কো। এসব দেশের সঙ্গে পারমাণবিক অস্ত্র সরবরাহের বিষয়কে নিজেদের জন্য হুমকি হিসেবে দেখছে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিশ্ব। রাশিয়ার সঙ্গে চলমান যুদ্ধ নিয়ে শঙ্কায় পড়েছে ইউক্রেনও।

পশ্চিমা শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করতে রাশিয়া এবার পাশে পাচ্ছে ইরান ও উত্তর কোরিয়াকে। দু’দেশের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নে জোর দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ইতোমধ্যে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ইরানকে তাদের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হিসেবে মর্যাদা দিয়েছে মস্কো। রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক গভীর করতে এগিয়ে এসেছে উত্তর কোরিয়া।

ইরান ও উত্তর কোরিয়া দু’টি দেশের সঙ্গেই পশ্চিমাদের বৈরি সম্পর্ক বিদ্যমান। এবার তাদেরকেই নিজেদের সঙ্গী করে নিলো পশ্চিমাদের আরেক শত্রু দেশ রাশিয়া। গাজা-ইসরাইল যুদ্ধের শুরু থেকেই ফিলিস্তিনের পাশে দাঁড়িয়ে ইরানের লড়াই করে যাওয়াকে ভালো চোখে দেখছে না যুক্তরাষ্ট্র। এবার রাশিয়াকে স্বল্পপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহের অভিযোগে নতুন করে পশ্চিমাদের চক্ষুশূল হলো তেহরান। এ ঘটনায় মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিরতা বাড়বে বলে মনে করছে যুক্তরাষ্ট্র।

এদিকে, রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক আরও গভীর করতে আগ্রহী উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উন। ইউক্রেনের বিরুদ্ধে লড়াই করতে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে রাশিয়ার কাছে গোলাবারুদ বিক্রি করেছে দেশটি। গত জুন মাসে পিয়ংইয়ং সফরে গিয়ে কিমের সঙ্গে প্রতিরক্ষা চুক্তি করেন রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন। এবার দুই দেশের কৌশলগত সম্পর্ক উন্নয়নে পারস্পরিক স্বার্থ রক্ষায় একমত হয়েছে মস্কো ও পিয়ংইয়ং।

ইউক্রেনের দাবি, যুদ্ধে অনেকটা কোণঠাসা হয়ে পড়েছিল রাশিয়া। তবে ইরান ও উত্তর কোরিয়ার অস্ত্র সরবরাহের কারণে যুদ্ধক্ষেত্রে ইউক্রেনীয় বাহিনী এখন বড় সমস্যায় পড়বে। এদিকে, যুদ্ধে রাশিয়াকে সহযোগিতা না করার আহ্বান জানিয়েছে পশ্চিমা নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটো। তাদের অভিযোগ ইরান ও উত্তর কোরিয়ার মতো চীনও এতে ইন্ধন যোগাচ্ছে।

ন্যাটো মহাসচিব জেন্স স্টলটেনবার্গ বলেন, ‘যুদ্ধ শুধু আঞ্চলিক নয়, বিশ্বব্যাপী নিরাপত্তাকে সংকটে ফেলে দেয়। ইরান ও উত্তর কোরিয়া অত্যাধুনিক অস্ত্র সরবরাহ করে রাশিয়াকে সহযোগিতা করছে। চীনও ইউরোপে সবচেয়ে বড় সামরিক সংঘাতের ইন্ধন অব্যাহত রেখেছে। রাশিয়ার অবৈধ যুদ্ধকে সমর্থন করা বন্ধ করতে হবে সবাইকে।’

এদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের আলোচনা উঠে আসে ইরান ও উত্তর কোরিয়ার অস্ত্র সরবরাহের বিষয়। এ ঘটনায় তারা গভীর উদ্বেগ জানিয়েছেন। তবে রাশিয়ার বিরুদ্ধে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারে কিয়েভকে অনুমতি দেননি এই দুই নেতা।

রাশিয়াকে অস্ত্র সরবরাহের বিষয়টি ইরান অস্বীকার করলেও, এ ব্যাপারে একেবারে নিশ্চুপ ক্রেমলিন। আর ইউক্রেন বলছে, যুদ্ধে তাদের বিজয় অর্জন অনেকটা নির্ভর করছে ওয়াশিংটনের পরিকল্পনার ওপর।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অধ্যাদেশ অনুমোদন

উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে কৌশলগত সম্পর্ক বাড়াচ্ছে রাশিয়া

আপডেট : ০১:৫১:৩০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪

কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নে জোর দিয়েছে রাশিয়া। ইরানের পর উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে পারস্পরিক সহযোগিতাসহ কৌশলগত সম্পর্ক এগিয়ে নিচ্ছে মস্কো। এসব দেশের সঙ্গে পারমাণবিক অস্ত্র সরবরাহের বিষয়কে নিজেদের জন্য হুমকি হিসেবে দেখছে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিশ্ব। রাশিয়ার সঙ্গে চলমান যুদ্ধ নিয়ে শঙ্কায় পড়েছে ইউক্রেনও।

পশ্চিমা শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করতে রাশিয়া এবার পাশে পাচ্ছে ইরান ও উত্তর কোরিয়াকে। দু’দেশের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নে জোর দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ইতোমধ্যে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ইরানকে তাদের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হিসেবে মর্যাদা দিয়েছে মস্কো। রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক গভীর করতে এগিয়ে এসেছে উত্তর কোরিয়া।

ইরান ও উত্তর কোরিয়া দু’টি দেশের সঙ্গেই পশ্চিমাদের বৈরি সম্পর্ক বিদ্যমান। এবার তাদেরকেই নিজেদের সঙ্গী করে নিলো পশ্চিমাদের আরেক শত্রু দেশ রাশিয়া। গাজা-ইসরাইল যুদ্ধের শুরু থেকেই ফিলিস্তিনের পাশে দাঁড়িয়ে ইরানের লড়াই করে যাওয়াকে ভালো চোখে দেখছে না যুক্তরাষ্ট্র। এবার রাশিয়াকে স্বল্পপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহের অভিযোগে নতুন করে পশ্চিমাদের চক্ষুশূল হলো তেহরান। এ ঘটনায় মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিরতা বাড়বে বলে মনে করছে যুক্তরাষ্ট্র।

এদিকে, রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক আরও গভীর করতে আগ্রহী উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উন। ইউক্রেনের বিরুদ্ধে লড়াই করতে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে রাশিয়ার কাছে গোলাবারুদ বিক্রি করেছে দেশটি। গত জুন মাসে পিয়ংইয়ং সফরে গিয়ে কিমের সঙ্গে প্রতিরক্ষা চুক্তি করেন রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন। এবার দুই দেশের কৌশলগত সম্পর্ক উন্নয়নে পারস্পরিক স্বার্থ রক্ষায় একমত হয়েছে মস্কো ও পিয়ংইয়ং।

ইউক্রেনের দাবি, যুদ্ধে অনেকটা কোণঠাসা হয়ে পড়েছিল রাশিয়া। তবে ইরান ও উত্তর কোরিয়ার অস্ত্র সরবরাহের কারণে যুদ্ধক্ষেত্রে ইউক্রেনীয় বাহিনী এখন বড় সমস্যায় পড়বে। এদিকে, যুদ্ধে রাশিয়াকে সহযোগিতা না করার আহ্বান জানিয়েছে পশ্চিমা নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটো। তাদের অভিযোগ ইরান ও উত্তর কোরিয়ার মতো চীনও এতে ইন্ধন যোগাচ্ছে।

ন্যাটো মহাসচিব জেন্স স্টলটেনবার্গ বলেন, ‘যুদ্ধ শুধু আঞ্চলিক নয়, বিশ্বব্যাপী নিরাপত্তাকে সংকটে ফেলে দেয়। ইরান ও উত্তর কোরিয়া অত্যাধুনিক অস্ত্র সরবরাহ করে রাশিয়াকে সহযোগিতা করছে। চীনও ইউরোপে সবচেয়ে বড় সামরিক সংঘাতের ইন্ধন অব্যাহত রেখেছে। রাশিয়ার অবৈধ যুদ্ধকে সমর্থন করা বন্ধ করতে হবে সবাইকে।’

এদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের আলোচনা উঠে আসে ইরান ও উত্তর কোরিয়ার অস্ত্র সরবরাহের বিষয়। এ ঘটনায় তারা গভীর উদ্বেগ জানিয়েছেন। তবে রাশিয়ার বিরুদ্ধে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারে কিয়েভকে অনুমতি দেননি এই দুই নেতা।

রাশিয়াকে অস্ত্র সরবরাহের বিষয়টি ইরান অস্বীকার করলেও, এ ব্যাপারে একেবারে নিশ্চুপ ক্রেমলিন। আর ইউক্রেন বলছে, যুদ্ধে তাদের বিজয় অর্জন অনেকটা নির্ভর করছে ওয়াশিংটনের পরিকল্পনার ওপর।