ঢাকা ১২:১৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

দক্ষিণ-পশ্চিমের ৮ জেলায় জলাবদ্ধতা, নেপথ্যে দুর্বল ড্রেনেজ ব্যবস্থা

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০২:০৭:৫০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / ৩৬৪ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

তিন দিনের টানা বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতার কবলে পড়েছে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের আট জেলা। স্থানীয়দের অভিযোগ, অপরিকল্পিত নগরায়ন ও দুর্বল ড্রেনেজ ব্যবস্থার কারণে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে তাঁদের। সংস্কার ও নির্মাণকাজে অনিয়মের কারণে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা। এর মাশুল গুণতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।

এবার ভারী বৃষ্টিতে ছয় বার জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয় বরিশালে। নগরবাসীর অভিযোগ, নিয়মিত ড্রেন পরিষ্কার না করা ও পয়ঃনিষ্কাশন লাইন অকার্যকর থাকায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে তাঁদের।

এলাকাবাসী বলছেন, ৫০ বছরেও পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থার সংস্কার করা হয়নি। এখন বৃষ্টি হলেই নগরীতে পানি জমার সাথে নদীর পানি প্রবেশ করে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়।

গত ৫ বছরে জলাবদ্ধতা নিরসনে কোনো কাজ না হওয়ায় দুর্ভোগ বেড়েছে। সংকট কাটাতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার কথা ভাবছেন কর্তৃপক্ষ।

বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) প্রধান প্রকৌশলী মো. আরিফুর রহমান বলেন, ‘বরিশালের পানি নিষ্কাশনের আউটলেটগুলো সচল করতে হবে। এখন বর্ষা এলে আউটলেটগুলো তলিয়ে যায় সবার আগেই। আমরা নদী ও খালের গভীরতা বাড়াতে পারলে দ্রুত পানির নিষ্কাশন নিশ্চিত হবে।’

খুলনায় অতিবৃষ্টিতে জলাবদ্ধতার কবলে পড়েছে নগরবাসী। তাঁদের অভিযোগ, লোক দেখানো উন্নয়ন কাজ এবং তা সময়মতো শেষ না করায় দুর্ভোগ বেড়েছে।

জলাবদ্ধতায় স্থবির যশোরের জনজীবনও। স্থানীয়দের অভিযোগ, অপরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থার কারণে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে শহরের উত্তর ও দক্ষিণাংশের পানি নিষ্কাশন।

খাগড়াছড়ি পৌর শহরেও দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা। এ জন্য অপরিকল্পিত ড্রেন-নালা তৈরি ও লুটপাটের প্রকল্পকে দুষছেন স্থানীয়রা।

এলাকাবাসীর ভাষ্য, আগে বন্যা হতো না। ড্রেন করার পর থেকে বন্যা হচ্ছে। নালার মুখ নিচু হওয়ার কারণে খালে পানির প্রবাহ বাড়লে পানি নালা দিয়ে শহরের ভেতরের প্রবেশ করে। এই নিয়ে চার বার পানি উঠেছে।

ছড়া ও নদীর পানি প্রবাহ স্বাভাবিক রাখতে উদ্যোগ নেওয়ার পাশাপাশি অপরিকল্পিত ড্রেন অপসারণের কথা বলছেন পৌর কর্তৃপক্ষ।

খাগড়াছড়ি পৌরসভা প্রশাসক নাজমুন আরা সুলতানা বলেন, ‘নদী বা ছড়ার স্বাভাবিক প্রবাহ বন্ধ হলে লাভের চেয়ে ক্ষতিই বেশি হয়। আমরা বিষয়টি দেখব। ড্রেনটি যদি অপরিকল্পিতভাবে নির্মাণ হয় সেটি অপসারণের উদ্যোগ নেব।’

এ ছাড়া জলাবদ্ধতায় দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, ঝিনাইদহ, কুষ্টিয়াতেও ভোগান্তি বেড়েছে স্থানীয়দের।

নিউজটি শেয়ার করুন

দক্ষিণ-পশ্চিমের ৮ জেলায় জলাবদ্ধতা, নেপথ্যে দুর্বল ড্রেনেজ ব্যবস্থা

আপডেট সময় : ০২:০৭:৫০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪

তিন দিনের টানা বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতার কবলে পড়েছে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের আট জেলা। স্থানীয়দের অভিযোগ, অপরিকল্পিত নগরায়ন ও দুর্বল ড্রেনেজ ব্যবস্থার কারণে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে তাঁদের। সংস্কার ও নির্মাণকাজে অনিয়মের কারণে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা। এর মাশুল গুণতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।

এবার ভারী বৃষ্টিতে ছয় বার জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয় বরিশালে। নগরবাসীর অভিযোগ, নিয়মিত ড্রেন পরিষ্কার না করা ও পয়ঃনিষ্কাশন লাইন অকার্যকর থাকায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে তাঁদের।

এলাকাবাসী বলছেন, ৫০ বছরেও পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থার সংস্কার করা হয়নি। এখন বৃষ্টি হলেই নগরীতে পানি জমার সাথে নদীর পানি প্রবেশ করে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়।

গত ৫ বছরে জলাবদ্ধতা নিরসনে কোনো কাজ না হওয়ায় দুর্ভোগ বেড়েছে। সংকট কাটাতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার কথা ভাবছেন কর্তৃপক্ষ।

বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) প্রধান প্রকৌশলী মো. আরিফুর রহমান বলেন, ‘বরিশালের পানি নিষ্কাশনের আউটলেটগুলো সচল করতে হবে। এখন বর্ষা এলে আউটলেটগুলো তলিয়ে যায় সবার আগেই। আমরা নদী ও খালের গভীরতা বাড়াতে পারলে দ্রুত পানির নিষ্কাশন নিশ্চিত হবে।’

খুলনায় অতিবৃষ্টিতে জলাবদ্ধতার কবলে পড়েছে নগরবাসী। তাঁদের অভিযোগ, লোক দেখানো উন্নয়ন কাজ এবং তা সময়মতো শেষ না করায় দুর্ভোগ বেড়েছে।

জলাবদ্ধতায় স্থবির যশোরের জনজীবনও। স্থানীয়দের অভিযোগ, অপরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থার কারণে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে শহরের উত্তর ও দক্ষিণাংশের পানি নিষ্কাশন।

খাগড়াছড়ি পৌর শহরেও দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা। এ জন্য অপরিকল্পিত ড্রেন-নালা তৈরি ও লুটপাটের প্রকল্পকে দুষছেন স্থানীয়রা।

এলাকাবাসীর ভাষ্য, আগে বন্যা হতো না। ড্রেন করার পর থেকে বন্যা হচ্ছে। নালার মুখ নিচু হওয়ার কারণে খালে পানির প্রবাহ বাড়লে পানি নালা দিয়ে শহরের ভেতরের প্রবেশ করে। এই নিয়ে চার বার পানি উঠেছে।

ছড়া ও নদীর পানি প্রবাহ স্বাভাবিক রাখতে উদ্যোগ নেওয়ার পাশাপাশি অপরিকল্পিত ড্রেন অপসারণের কথা বলছেন পৌর কর্তৃপক্ষ।

খাগড়াছড়ি পৌরসভা প্রশাসক নাজমুন আরা সুলতানা বলেন, ‘নদী বা ছড়ার স্বাভাবিক প্রবাহ বন্ধ হলে লাভের চেয়ে ক্ষতিই বেশি হয়। আমরা বিষয়টি দেখব। ড্রেনটি যদি অপরিকল্পিতভাবে নির্মাণ হয় সেটি অপসারণের উদ্যোগ নেব।’

এ ছাড়া জলাবদ্ধতায় দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, ঝিনাইদহ, কুষ্টিয়াতেও ভোগান্তি বেড়েছে স্থানীয়দের।