ঢাকা ০৩:৫৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी
ব্রেকিং নিউজ ::
ঘন কুয়াশায় ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে বাসসহ ১০-১২টি যানবাহনের সংঘর্ষ: শ্রীনগর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন একজনের মৃত্যু, আহত ১৪; ক্ষতিগ্রস্ত যানবাহন সরানোর কাজ চলছে, শুরু হয়েছে যান চলাচল :::: ঘন কুয়াশায় ঢাকা-বরিশাল নৌপথে সুন্দরবন-১২ ও প্রিন্স আওলাদ-১০ লঞ্চের মুখোমুখি সংঘর্ষ, বেশ কয়েকজন আহত :::: ঘন কুয়াশায় পদ্মাসেতুর জাজিরা প্রান্তে বাস-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে আহত ১ :::: ব্রিটেনে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পদে মার্ক বার্নেটকে মনোনীত করলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প :::: ইসরাইলে মিসাইল হামলার প্রতিক্রিয়ায় ইয়েমেনের রাজধানী সানার হুথি নিয়ন্ত্রিত এলাকায় মার্কিন সেনাবাহিনীর অভিযান :::: অনূর্ধ্ব-১৯ নারী এশিয়া কাপের ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে ৪১ রানে হারলো বাংলাদেশ

গাজা যুদ্ধ নিয়ে নতুন বার্তা দিলেন ইয়াহিয়া সিনওয়ার

আর্ন্তজাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০২:৫১:২০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / ৩৬৭ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

গাজা উপত্যকায় প্রায় এক বছর ধরে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে লড়াই করছেন হামাস যোদ্ধারা। এরই মধ্যে তাদের বহু সদস্য প্রাণ হারিয়েছেন। তারপরও ইসরায়েলের এই অন্যায় যুদ্ধের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার মতো পর্যাপ্ত রসদ রয়েছে বলে জানিয়েছেন ফিলিস্তিনি এই স্বাধীনতাকামী সংগঠনের প্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ার। খবর আরব নিউজের।

গত মাসে নিহত হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়ার স্থলাভিষিক্ত হওয়া ইয়াহিয়া সিনওয়ার ইয়েমেনের মিত্রদের উদ্দেশে একটি চিঠিতে বলেছেন, আমরা দীর্ঘমেয়াদী একটি যুদ্ধের জন্য নিজেদের প্রস্তুত করেছি।

ইয়াহিয়া সিনওয়ার জানান, গাজা ও মধ্যপ্রাচ্যের ইরান সমর্থিত অন্যান্য মিত্রদের সঙ্গে নিয়ে শত্রুদের রাজনৈতিক মনোবল ভেঙে দেয়া হবে। এই মিত্রদের মধ্যে লেবানন ও ইরাকের সশস্ত্র গোষ্ঠীর সদস্যরাও রয়েছেন।

হুতি বিদ্রোহীদের উদ্দেশে দেয়া চিঠিতে তিনি বলেন, আপনারা ও আমরা একসঙ্গে লেবানন ও ইরাকের গোষ্ঠীগুলোকে সঙ্গে নিয়ে এই শত্রুদের মনোবল ভেঙে ফেলবো এবং তাদের পরাজয় ঘটাবো।

এর আগে হামাসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ওসামা হামদান বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানান, নিহত হামাস যোদ্ধাদের জায়গা নিতে নতুন প্রজন্মের সদস্য নিয়োগ করা হচ্ছে। ক্ষয়ক্ষতি সত্ত্বেও লড়াই চালিয়ে যাওয়ার মতো উচ্চ ক্ষমতা রয়েছে তাদের। যদিও গত সপ্তাহে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়াভ গ্যালান্ট বলেন, গাজায় একটি সামরিক গোষ্ঠী হিসেবে হামাসের অস্তিত্ব নেই।

গত ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে প্রবেশ করে নজিরবিহীন হামলা চালিয়ে ১২০০ ইসরায়েলিকে হত্যা ছাড়াও প্রায় ২৫০ জন ইসরায়েলি ও বিদেশি নাগরিককে বন্দী করে গাজায় নিয়ে আসে হামাস। একই দিন থেকে হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে গাজায় নির্বিচারে বোমা হামলা করে আসছে ইসরায়েল। এরই মধ্যে তাদের হামলায় ৪১ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন।

গত নভেম্বরে কাতার ও মিসরের মধ্যস্থতায় হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে সাতদিনের একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়েছিল। চুক্তির আওতায় হামাস শতাধিক ইসরায়েলি বন্দীকে মুক্তিও দেয়। তবে এখনো তাদের হাতে শতাধিক ইসরায়েলি বন্দী রয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

গাজা যুদ্ধ নিয়ে নতুন বার্তা দিলেন ইয়াহিয়া সিনওয়ার

আপডেট সময় : ০২:৫১:২০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

গাজা উপত্যকায় প্রায় এক বছর ধরে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে লড়াই করছেন হামাস যোদ্ধারা। এরই মধ্যে তাদের বহু সদস্য প্রাণ হারিয়েছেন। তারপরও ইসরায়েলের এই অন্যায় যুদ্ধের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার মতো পর্যাপ্ত রসদ রয়েছে বলে জানিয়েছেন ফিলিস্তিনি এই স্বাধীনতাকামী সংগঠনের প্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ার। খবর আরব নিউজের।

গত মাসে নিহত হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়ার স্থলাভিষিক্ত হওয়া ইয়াহিয়া সিনওয়ার ইয়েমেনের মিত্রদের উদ্দেশে একটি চিঠিতে বলেছেন, আমরা দীর্ঘমেয়াদী একটি যুদ্ধের জন্য নিজেদের প্রস্তুত করেছি।

ইয়াহিয়া সিনওয়ার জানান, গাজা ও মধ্যপ্রাচ্যের ইরান সমর্থিত অন্যান্য মিত্রদের সঙ্গে নিয়ে শত্রুদের রাজনৈতিক মনোবল ভেঙে দেয়া হবে। এই মিত্রদের মধ্যে লেবানন ও ইরাকের সশস্ত্র গোষ্ঠীর সদস্যরাও রয়েছেন।

হুতি বিদ্রোহীদের উদ্দেশে দেয়া চিঠিতে তিনি বলেন, আপনারা ও আমরা একসঙ্গে লেবানন ও ইরাকের গোষ্ঠীগুলোকে সঙ্গে নিয়ে এই শত্রুদের মনোবল ভেঙে ফেলবো এবং তাদের পরাজয় ঘটাবো।

এর আগে হামাসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ওসামা হামদান বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানান, নিহত হামাস যোদ্ধাদের জায়গা নিতে নতুন প্রজন্মের সদস্য নিয়োগ করা হচ্ছে। ক্ষয়ক্ষতি সত্ত্বেও লড়াই চালিয়ে যাওয়ার মতো উচ্চ ক্ষমতা রয়েছে তাদের। যদিও গত সপ্তাহে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়াভ গ্যালান্ট বলেন, গাজায় একটি সামরিক গোষ্ঠী হিসেবে হামাসের অস্তিত্ব নেই।

গত ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে প্রবেশ করে নজিরবিহীন হামলা চালিয়ে ১২০০ ইসরায়েলিকে হত্যা ছাড়াও প্রায় ২৫০ জন ইসরায়েলি ও বিদেশি নাগরিককে বন্দী করে গাজায় নিয়ে আসে হামাস। একই দিন থেকে হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে গাজায় নির্বিচারে বোমা হামলা করে আসছে ইসরায়েল। এরই মধ্যে তাদের হামলায় ৪১ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন।

গত নভেম্বরে কাতার ও মিসরের মধ্যস্থতায় হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে সাতদিনের একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়েছিল। চুক্তির আওতায় হামাস শতাধিক ইসরায়েলি বন্দীকে মুক্তিও দেয়। তবে এখনো তাদের হাতে শতাধিক ইসরায়েলি বন্দী রয়েছে।