ঢাকা ০৮:৩০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

মিয়ানমারে ভয়াবহ বন্যায় নিহত ২৩৬

আর্ন্তজাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০২:৪৭:২৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / ৩৫৮ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

মিয়ানমারে টাইফুন ইয়াগির কারণে সৃষ্ট ভয়াবহ বন্যায় কমপক্ষে ২৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া এখনো ৭৭ জন নিখোঁজ রয়েছে। মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সরকারি তথ্যের বরাতে এসব জানিয়েছে রাষ্ট্র পরিচালিত সংবাদপত্র গ্লোবাল নিউ লাইট অব মিয়ানমার। খবর আলজাজিরার।

জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা সমন্বয় অফিস (ওসিএইচএ) জানিয়েছে, নিহতের এই সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে। সংস্থাটি বলছে, বিভিন্ন সূত্র তাদের জানিয়েছে শত শত মানুষ মারা গেছে। আরও অনেক মানুষ নিখোঁজ রয়েছে। প্রায় ৬ লাখ ৩১ হাজার মানুষ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

এই বছর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় আঘাত হানা সবচেয়ে শক্তিশালী ঝড় হলো ইয়াগি। এই ঝড়ে ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড, লাওস ও ফিলিপাইনে ৩০০ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে।

এই টাইফুনের প্রভাবে মিয়ানমারে অন্তত ৯টি অঞ্চল ও রাজ্যে বন্যা দেখা দিয়েছে। এদের মধ্যে রাজধানী নেইপিদো ও মধ্য মান্ডালয় অঞ্চল, কায়াহ, কায়িন ও শান রাজ্য রয়েছে।

ভয়াবহ বন্যা মোকাবিলায় গত শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর)বিদেশি সহায়তার জন্য বিরল আবেদন জানান মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর প্রধান সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্লাইং।

সামরিক বাহিনীর প্রধান সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্লাইং বলেছেন, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের উদ্ধার ও ত্রাণ সহায়তা সরবরাহ করতে সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশি দেশগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে।

উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রম পর্যবেক্ষণে গিয়ে তিনি বলেন, যত দ্রুত সম্ভব উদ্ধার, ত্রাণ ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। তবে এর আগে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী বিদেশি মানবিক সহায়তায় বন্ধ করে দিয়েছিল।

নিউজটি শেয়ার করুন

মিয়ানমারে ভয়াবহ বন্যায় নিহত ২৩৬

আপডেট সময় : ০২:৪৭:২৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

মিয়ানমারে টাইফুন ইয়াগির কারণে সৃষ্ট ভয়াবহ বন্যায় কমপক্ষে ২৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া এখনো ৭৭ জন নিখোঁজ রয়েছে। মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সরকারি তথ্যের বরাতে এসব জানিয়েছে রাষ্ট্র পরিচালিত সংবাদপত্র গ্লোবাল নিউ লাইট অব মিয়ানমার। খবর আলজাজিরার।

জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা সমন্বয় অফিস (ওসিএইচএ) জানিয়েছে, নিহতের এই সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে। সংস্থাটি বলছে, বিভিন্ন সূত্র তাদের জানিয়েছে শত শত মানুষ মারা গেছে। আরও অনেক মানুষ নিখোঁজ রয়েছে। প্রায় ৬ লাখ ৩১ হাজার মানুষ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

এই বছর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় আঘাত হানা সবচেয়ে শক্তিশালী ঝড় হলো ইয়াগি। এই ঝড়ে ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড, লাওস ও ফিলিপাইনে ৩০০ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে।

এই টাইফুনের প্রভাবে মিয়ানমারে অন্তত ৯টি অঞ্চল ও রাজ্যে বন্যা দেখা দিয়েছে। এদের মধ্যে রাজধানী নেইপিদো ও মধ্য মান্ডালয় অঞ্চল, কায়াহ, কায়িন ও শান রাজ্য রয়েছে।

ভয়াবহ বন্যা মোকাবিলায় গত শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর)বিদেশি সহায়তার জন্য বিরল আবেদন জানান মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর প্রধান সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্লাইং।

সামরিক বাহিনীর প্রধান সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্লাইং বলেছেন, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের উদ্ধার ও ত্রাণ সহায়তা সরবরাহ করতে সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশি দেশগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে।

উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রম পর্যবেক্ষণে গিয়ে তিনি বলেন, যত দ্রুত সম্ভব উদ্ধার, ত্রাণ ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। তবে এর আগে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী বিদেশি মানবিক সহায়তায় বন্ধ করে দিয়েছিল।