আগস্টের চেয়ে সেপ্টেম্বরে ডেঙ্গুতে মৃত্যু ও আক্রান্ত রোগী বেড়েছে দ্বিগুণ। নগরবাসীর অভিযোগ, নিয়মিত ছিটানো হচ্ছে না মশার ওষুধ। সে কারণেই রাজধানীতে বেড়েছে ডেঙ্গুরোগী। এত দিনে সিটি করপোরেশন ঘোষণা দিয়েছে, মশা মারতে ও এডিসের প্রজননস্থল ধ্বংস করতে অভিযান শুরু হচ্ছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, জুলাইতে শুরু হয় ডেঙ্গুর মৌসুম। সে মাসে আক্রান্ত হয় ২ হাজার ৬৬৯ জন। আর মারা যান ১২ জন। এরপর আগস্টে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় ২৭ জনের। আর আক্রান্ত হয় ৬ হাজার ৫২১ জন। সেপ্টেম্বর মাসের ১৭ দিনে আক্রান্ত হয়েছে ৬ হাজার ৫০১ জন। মৃত্যু হয়েছে ২৫ জনের। মৌসুমের শেষ দিকে বাড়ছে ডেঙ্গুরোগী। মশা মারার দুর্বল কার্যক্রমকে দুষছেন নগরবাসী।
হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা এক রোগী বলেন, ৫ আগস্টের পর থেকে এলাকায় মশার ওষুধ ছিটানোর জন্য কেউ আসেনি। এর আগে তো প্রতিদিনই এলাকায় মশা নিধনের জন্য ওষুধ ছিটানো হত। ফলে মশার উপদ্রব বেড়ে গেছে।
চিকিৎসকেরা জানান, যাত্রাবাড়ী, খিলগাঁও ও মিরপুরসহ কয়েকটি এলাকা থেকে ডেঙ্গুরোগী বেশি আসছে। অধিকাংশই হাসপাতালে আসছে শক সিনড্রোম নিয়ে। দরকার হচ্ছে আইসিইউ।
মুগদা হাসপাতালের মুখপাত্র সত্যজিত কুমার সাহা বলেন, সিটি করপোরেশন বর্তমানে তাদের কর্মকাণ্ড অনেকটা কমিয়ে দিয়েছে। ফলে এলাকার বিভিন্ন স্থানে সৃষ্টি হচ্ছে জলাবদ্ধতার। এ ছাড়া পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার অভাবেও বাড়ছে মশা। মশা নিধনে সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে নিয়মিত যেসব পদক্ষেপ নেওয়া হত এখন সেগুলোও নেওয়া হচ্ছে না। এতেই বাড়ছে মশা। এই শেষ সময়ে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে অভিযানে নামছে সিটি করপোরেশন।
ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর খায়রুল আলম বলেন, মোবাইল কোর্ট না থাকার কারণে সিটি করপোরেশন পূর্ণ উদ্যমে কাজ করার সুযোগ পায়নি। এখন ধীরে ধীরে সিটি করপোরেশন পূর্ণরুপে কাজে অগ্রসর হচ্ছে। এ ছাড়া বর্ষা শেষ হয়ে শীতের দিন আসছে। এ সময় এমনিতেই মশার উপদ্রব কমে যায়।
এ বছর সারা দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে ১৯ হাজার ৩৪২ জন আর মৃত্যু ১০৮ জনের।