ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড ছাড়তে ইসরায়েলকে সময় বেঁধে দিচ্ছে জাতিসংঘ
- আপডেট সময় : ০১:২৮:৩৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
- / ৩৬২ বার পড়া হয়েছে
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) ফিলিস্তিনের দেয়া একটি খসড়া প্রস্তাব গ্রহণ করা হবে। এই প্রস্তাবের মাধ্যমে অধিকৃত ফিলিস্তিনি অঞ্চল থেকে ইসরায়েলের অবৈধ উপস্থিতি (দখলদারি) ছাড়তে ১২ মাসের সময় বেঁধে দেয়া হবে। খবর রয়টার্সের।
এই পদক্ষেপের কারণে নিউইয়র্কে জাতিসংঘের অধিবেশনের আগে আগে ইসরায়েল আরও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে। বৈশ্বিক এই সংস্থার বার্ষিক অধিবেশন উপলক্ষে বিশ্বনেতারা নিউইয়র্কে জড়ো হবেন। আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর ১৯৩ সদস্যের সাধারণ পরিষদে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর ভাষণ দেয়ার কথা রয়েছে। একই দিনে ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসও ভাষণ দেবেন।
নতুন এই প্রস্তাবে গত জুলাই মাসে দেয়া আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের (আইসিজে) পরামর্শমূলক মতামতকে স্বাগত জানানো হবে। ফিলিস্তিনি অঞ্চলে ইসরায়েলি দখলদারি ও বসতি স্থানপকে অবৈধ এবং তা প্রত্যাহার করার পক্ষে তখন মত দেন আদালত। তবে দখলদারি ও বসতি প্রত্যাহারের কথা বললেও কোনো সময়সীমা বেঁধে দেননি আদালত। কিন্তু এই কাজের জন্য ইসরায়েলকে ১২ মাসের সময় দেবে সাধারণ পরিষদ।
আইসিজের মতামত মেনে চলা বাধ্যতামূলক নয়। তবে আন্তর্জাতিক আইনে তা গুরুত্ব বহন করে। এ কারণে ইসরায়েলের প্রতি সমর্থন দুর্বল হতে পারে। এ ছাড়া সাধারণ পরিষদের প্রস্তাবও বাধ্যতামূলক নয়। তবে এটারও রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক গুরুত্ব রয়েছে।
বুধবারের এই প্রস্তাবটি পাস হওয়ার জন্য উপস্থিত সদস্যদের দুই-তৃতীয়াংশ ভোটের প্রয়োজন হবে। প্রস্তাবটি পাস হওয়ার মতো ভোট পাবেন বলে আশাবাদী ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূদ রিয়াদ মানসুর। মঙ্গলবার তিনি সাধারণ পরিষদকে বলেন, আপনারা দয়া করে ইতিহাসের সঠিক দিকে থাকুন। আন্তর্জাতিক আইনের সাথে, স্বাধীনতার সাথে, শান্তির সাথে থাকুন।
এদিকে ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত ড্যানি ড্যানন এই প্রস্তাবের সমালোচনা করে একে কূটনৈতিক সন্ত্রাসবাদ বলে মন্তব্য করেছেন। এ ছাড়া মার্কিন রাষ্ট্রদূত লিন্ডা থমাস-গ্রিনফিল্ডও এই প্রস্তাবের বিরুদ্ধে ভোট দেয়ার অনুরোধ করেছেন। দীর্ঘদিন ধরে বৈশ্বিক মঞ্চে ইসরায়েলকে এই ধরনের পদক্ষেপ থেকে সুরক্ষা দিয়ে আসছে ওয়াশিংটন।
১৯৬৭ সালের মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধে পশ্চিম তীর, গাজা ও পূর্ব জেরুজালেম দখল করে নেয় ইসরায়েল। এই তিন অঞ্চল নিয়ে নিজেদের একটি স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখেন ফিলিস্তিনিরা।